ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজয়ের মাসে নির্বাচন করতে ভয় পায় বিএনপি ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

বিজয়ের মাসে নির্বাচন করতে ভয় পায় বিএনপি ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে ভয় পায় বিএনপি। কারণ এ দলটির সঙ্গে রয়েছে একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী ও পরাজিত শত্রুরা। এ কারণে ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন পেছাতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার পক্ষের জনগণ বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় আনতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগরে ঢাকা-৮ আসনের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলেও তাদের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা জ্বালাও পোড়াওয়ের নামে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যখন সমস্ত জাতি ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন তারা জ্বালাও-পোড়ায়ের নামে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও করে আগামী নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। কারণ দেশে এখন নির্বাচনের হাওয়া শুরু হয়েছে। জনগণ ভোট দেবার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দিলীপ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমন্বিত উদ্যোগে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ॥ নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এগিয়ে সকলকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস সম্পর্কে অসচেতনতার কারণে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতায় প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করছে অসংখ্য মানুষ। শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ কেউ এই ব্যাধি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে। ইনসুলিনের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বারডেমÑ২ হাসপাতালে ‘শিশুদের ডায়াবেটিস প্রতিবন্ধকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক গোলটেবিল এক গোলটেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডায়াবেটিক সমিতির চেঞ্জিং ইন চিলড্রেন প্রোগ্রাম, নভো নরডিস্ক ও সমকাল এ অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ একে আজাদ খানের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সমকালের উপ সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব সাইফ উদ্দিন, এমিরেটাস অধ্যাপক ডাঃ হাজেরা মাহতাব, নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনান্দ শেঠি, বারডেমÑ২ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান ডাঃ শাহিদা আখতার, ইউনিসেফের প্রতিনিধি মাহবুব আরিফ জাহাঙ্গীর, স্যোসাল রেসপন্সিবিলিটি অব এশিয়ান কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমাইয়া রশিদ, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডাঃ মুনির আহমেদ, ব্র্যাক ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান নাজমুর রহিম, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের পরিচালক আহমেদ শাকিব প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শিশু ডায়াবেটিস রোগী তাজুল ইসলামও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শিশুদের কিনে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়Ñএটি শুনে বিস্মিত হয়েছি। শিশু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন বিনামূল্যে সরবরাহ করার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। বিষয়টি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তাহলে স্বল্প সংখ্যক শিশু ডায়াবেটিস রোগী কেন বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবেন। এটি হতে পারে না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলে তিনি শিশু ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিনের ব্যবস্থা করবেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীকে ইনসুলিনের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ করবেন জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু ইনসুলিনের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা জরুরী। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেব। আশাকরি তিনি ভ্যাট প্রত্যাহার করবেন। অধ্যাপক আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনের মান সবার আগে পরিবর্তন করতে হবে। একই সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস আক্রান্তের খবর প্রথমে জানার পর ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা যায়। এজন্য ব্যাপক হারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
×