ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একদিনও পেছাতে চায় না আওয়ামী লীগ

নির্বাচন ৩ সপ্তাহ পেছানোর দাবি ঐক্যফ্রন্টের

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচন ৩ সপ্তাহ পেছানোর দাবি ঐক্যফ্রন্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে কমিশনের কাছে দাবি জানালেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনের তারিখ একদিনও না পেছানোর দাবি জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই দাবি জানান। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কমিশনকে এ ঘটনাকে নির্বাচনী সহিংসতা হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিশন সচিব সাংবাদিকদের বলেন নির্বাচন পেছানোর আর কোন সুযোগ নেই। তবে কমিশন এ বিষয়ে পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বুধবার বিকেলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানায়। তাদের নির্বাচন পেছানোর এই দাবি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস কশিমন দিয়েছে বলে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সাংবাদিকদের জানান। ঐক্যফ্রন্টের পরেই বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামেরর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেনÑ মশিউর রহমান, ডাঃ দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী প্রমুখ। ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, আওয়মী লীগের দাবি নির্বাচন আর পেছানো যাবে না। এক ঘণ্টার জন্যও নয়, একদিনের জন্যও নয়। যারা নির্বাচন পেছানোর দাবি করছেন, তাদের এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে। তাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। তখন কয়েক লাখ নতুন ভোটার হবে। কিন্তু সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তারা ভোট দিতে পারবেন না। আর নতুন ভোটাররা মামলা দিলে নির্বাচন ভ-ুল হতে পারে। নতুন বছরে ছাত্রদের নতুন বই দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে। সেটিও বিলম্বিত হতে পারে। এছাড়া বিশ্ব এজতেমা রয়েছে এ মাসেই। একটি বিশাল আয়োজন। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ও থাকার ব্যবস্থা করার বিষয় আছে। এ সময় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, কোন দেশ কি বিদেশী পর্যটকদের জন্য নির্বাচন পেছায়। এ ধরনের যুক্তি হাস্যকর। আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আমাদের নিজেদের। সেখানে কে পর্যবেক্ষণ করতে আসল আর কে আসল না তা বিষয় নয়। বিদেশীরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণে আসবেন। তারা ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তখন প্রচুর সংখ্যক বিদেশী পর্যবেক্ষক এসেছিলেন। তখন কোন কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট একদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশের কথা বলছে, অন্যদিকে আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, সেটি হতে পারে না। তাদের আজকের (বুধবার) কর্মকা-ে ১৪ পুলিশ আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসী কর্মকা- নির্বাচন আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন। শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এই ঘটনাকে নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য করে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।
×