ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গোমতীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ॥ বঞ্চিত মৎস্যজীবীরা

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

গোমতীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ॥ বঞ্চিত মৎস্যজীবীরা

মীর শাহ আলম, কুমিল্লা ॥ গোমতী নদীর দাউদকান্দি অংশে পানি প্রবাহ বন্ধ করে প্রায় ১৬শ’ একর এলাকাজুড়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে করে মাছ চাষ করছেন শাহজাহান খন্দকার ও আল-আমিন নামে দুই প্রভাবশালী। এতে ওই এলাকার মৎস্য ও কৃষির ওপর নির্ভরশীল ৫ শতাধিক পরিবার নদী থেকে মৎস্য আহরণসহ জমিনে ধান ও কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারছে না। পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষের ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ওই নদীতে দেশী মাছের প্রজনন। যোগসাজশে গত দুই বছর ধরে ওই প্রভাবশালীরা নদীর জলাধারসহ তৎসংলগ্ন বিশাল এলাকাজুড়ে মাছ চাষ অব্যাহত রাখলেও বিষয়টি অবগতনন বলে জানান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলম। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান। সরজমিনে জানা গেছে, ভারতের সোনামুড়া দিয়ে নেমে আসা খড়¯্রােতা গোমতী নদী। দাউদকান্দি উপজেলায় এসে গোমতী নদী মেঘনা নদীর সঙ্গে মিশে এক অপরূপ দৃশ্য ধারণ করেছে। যা যে কারও নজর কেড়ে নেয়। অথচ এই গোমতী ও মেঘনা নদীর মধ্যস্থানে ভেসে উঠা চরের কৃষি জমির মাঝখানে দাউদকান্দি উপজেলার চেঙ্গারচর ইউনিয়নের গোলাপেরচর এলাকায় গোমতী নদীর অভ্যন্তরে জলাধারসহ প্রায় ১৬শ’ একর এলাকায় বেড়িবাঁধ দিয়ে যোগসাজশে শাহজাহান খন্দকার ও আল-আমিন নামে দুই স্থানীয় প্রভাবশালী দুই বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। এতে ওই এলাকায় সরকারী অর্থায়নে নির্মিত বেশ কয়েকটি ব্রিজের নিচে মাটি ভরাটসহ নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ায় দেশী মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। স্থানীয় মৎসজীবী ও কৃষকরা জানান, একসময় ওই এলাকায় মাছ ধরে এবং চরের জমিনে ধান চাষ করে তাদের জীবিকা চলেছিল। প্রভাবশালী শাহজাহান খন্দকার, আল-আমিন ও তাদের লোকজনের ভয়ভীতি ও হুমকির মুখে স্থানীয় জেলে ও কৃষকরা গোমতী নদীর ওই অংশে মাছ আহরণ ও কৃষি কাজ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে শাহজাহান খন্দকার জানান, আমার মৎস্য খামার থেকে গোমতী নদীর দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার।
×