ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শ্রদ্ধা ভালবাসায় উদ্্যাপিত হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

শ্রদ্ধা ভালবাসায় উদ্্যাপিত হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জন্মদিনে ব্যক্তিগতভাবে আড়ম্বর বা আনুষ্ঠানিকতা পছন্দ করতেন না হুমায়ূন আহমেদ। তবে শুভানুধ্যায়ী, সুহৃদ ও স্বজনের ভালবাসায় শেষ পর্যন্ত লেখকের জন্মদিনটি হয়ে উঠত আনন্দময়। অনানুষ্ঠানিক জন্মদিনটিও হয়ে যেত আনুষ্ঠানিকতাপূর্ণ। বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্যের এই জননন্দিত লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকারের ৭১তম জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। অজানা ভুবনে পাড়ি দেয়া এই সাহিত্য ও শিল্পস্রষ্টা না থাকলেও তাঁর জন্মদিনকে ঘিরে ছিল নানা আয়োজন। হুমায়ূনের বইয়ের প্রকাশক, পাঠক, অনুরাগী, বন্ধু ও সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস ও শ্রদ্ধা-ভালবাসায় উদযাপিত হলো তাঁর জন্মদিন। হুমায়ূনের হাজারও অনুরাগীর সমাগম ঘটেছে জন্মদিন উদ্যাপনের নানা আয়োজনে। প্রিয় লেখকের প্রতি ভক্তরা জানিয়েছেন হৃদয়ের অকৃত্রিম ভালবাসা। তিনি যেমন অবিরাম সৃষ্টি দিয়ে মানুষকে বিনোদিত করেছেন, এটা যেন ছিল তারই প্রতিদান। তাঁকে নিবেদন করে অনুষ্ঠিত হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলা ও হুমায়ূন মেলাসহ নানা আয়োজন। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে হুমায়ূন আহমেদ নাট্যদল বহুবচন প্রযোজিত নাটক ‘দেবী’। কিংবদন্তি লেখককে ভালবাসা জানিয়ে শাহবাগের গণগ্রন্থাগারে শুরু হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলা। ঢাকার অদূরে গাজীপুরের পিরুজালি গ্রামের নূহাশপল্লীতে লেখকের সমাধিসৌধে ফুলেল ভালবাসা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও ভক্ত-অনুরাগীরা। জননন্দিত এ কথাশিল্পীর পিত্রালয় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর ও হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান মোহনগঞ্জেও ছিল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রতিবছরের মতো এবারও ধানম-ির দখিন হাওয়ায় লেখকের বসার ঘরের টেবিলে রাখা ছিল জন্মদিনের কেক। সেই কেক কেটেছেন লেখকের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন এবং দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। গণগ্রন্থাগারে হুমায়ূনকে নিবেদিত বইমেলা : হুমায়ূন আহমেদের ১৭টি প্রকাশনা সংস্থার আয়োজনে সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলা। বিকেলে ৭০টি বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক আহসান হাবীব এবং স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। বক্তব্য রাখেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদ যে কাজ এ দেশের প্রকাশনা শিল্পের জন্য করেছেন, তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ১০০ জন লেখকও করতে পারেন না। নতুন পাঠকরা তাকে নতুন করে আবিষ্কার করবেন এবং তার জীবন ও সাহিত্যকে স্মরণ করবে। আহসান হাবীব বলেন, এ আয়োজনটি দারুণ। কারণ এখানে হুমায়ূন আহমেদের সব বই একসঙ্গে পাওয়া যায়। তিনি যে এত বই লিখেছেন, তা এ মেলাতে আসার পর নতুন করে জানা যায়। তিনি হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোকে নির্ভুল করে প্রকাশ করতে তার প্রকাশকদের প্রতি অনুরোধ করেন। মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের সবচেয়ে জমজমাট আয়োজন এটি। যা তার ৬০তম জন্মদিন থেকে হয়ে আসছে। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর এর পরিসর কমে আসছে। এ কমে আসাটা তার ভক্ত ও পরিবারের সদস্য হিসেবে পীড়াদায়ক। এ সময় তিনি হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন বর্ণাঢ্যভাবে পালনের ঘোষণা দেন। ফরিদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে তিনি একা হাতে গড়ে তুলেছেন। যার জন্য প্রকাশকরা চিরকাল তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন। তিনি না থাকলে আজকে যেসব প্রকাশক মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন, সেটি কোনদিনই হতো না। মেলায় হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ করা ১৭টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। এগুলো হলোÑ অনন্যা, অন্যপ্রকাশ, অনুপম, অন্বেষা, অবসর, আফসার ব্রাদার্স, কাকলী, জ্ঞানকোষ, তা¤্রলিপি, পার্ল, প্রতীক, বাংলাপ্রকাশ, মাওলা ব্রার্দাস, শিখা, সময়, সাগর পাবলিশার্স এবং সুবর্ণ। মেলা আগামী ১৯ নবেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চ্যাানেল আইয়ে হুমায়ূন মেলা : হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো ‘হুমায়ূন মেলা’। হেমন্ত সকালে হিমুপ্রেমীরা হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে হলুদ বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন ও মুকিত মজুমদার বাবু, কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন, সাংবাদিক রেজানুর রহমান, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, ফরীদ আহমেদসহ বিভিন্ন অঙ্গনের হুমায়ূন ভক্ত ও বিশিষ্টজনরা। উন্মুক্ত মঞ্চ থেকে পরিবেশিত হয় হুমায়ুন আহমেদের লেখা গান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, রফিকুল আলম, আকরামুল হক, চন্দনা মজুমদার, কিরণ চন্দ্র রায়, আগুন, সেলিম চৌধুরী, সেরাকণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজ ও বাংলার গানের শিল্পীরা। হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে স্মৃতিকথায় অংশ নেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, চলচ্চিত্র প্রযোজক একেএম জাহাঙ্গীর খান, প্রফেসর নূরজাহান সরকারসহ বিশিষ্টজরা। অনুষ্ঠানে হিমু ও রূপারা কেক কেটে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন করেন। গান ছাড়াও অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় নৃত্য। মেলায় ছিল হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের স্টলসহ অন্যান্য সামগ্রীর স্টল। রং-তুলির আঁচড়ে ছবি এঁকেছে শিশু শিল্পীরা। জাদুঘরে সেমিনার ॥ হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘর আয়োজন করে ‘হুমায়ূন সাহিত্যে বাঙালির জীবন ও সমাজ’ শীর্ষক সেমিনারের। জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। মুম রহমানের মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম ও অভিনেতা ডাঃ এজাজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শিল্পকলার নাট্যশালায় মঞ্চস্থ ‘দেবী’ ॥ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক ‘দেবী’। নাট্যদল বহুবচন প্রযোজিত হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে ইকবাল হোসেনের নাট্যরূপে দেবীর ১১৫ তম মঞ্চায়ন হয়েছে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন আরহাম আলো। নূহাশপল্লীতে ভক্ত ও পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধাঞ্জলি : সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং মঙ্গলবার সকালে পায়লা উড়িয়ে ও কেক কেটে হুমায়ূনের প্রিয় প্রাঙ্গণ গাজীপুরের নূহাশপল্লীতে জন্মদিন উদ্্যাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জনকণ্ঠের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, হেমন্তের সকাল থেকেই নূহাশপল্লীতে ভিড় জমে হুমায়ূন ভক্ত ও অনুরাগীদের। সমাধিতে ফুলেল দিয়ে প্রিয় লেখকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে তারা। লেখকের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং তাঁর দুই ছেলে। কবর জিয়ারত করে হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেলতলায় ভক্ত অনুরাগী ও এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে বাবার জন্মদিন উদ্যাপন করেন নিষাদ ও নিনিত। সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদের নানা স্মৃতি ও জিনিসপত্র বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতি সংরক্ষণে পারিবারিক সম্মতিতে খুব শীঘ্রই হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘরের কাজ শুরু হবে। যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা সব সময় হোতাপারা থেকে নূহাশপল্লী আসার রাস্তার দুরবস্থার কথা বলেন। এ রাস্তা সংস্কারের জন্য তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সব মিলিয়ে সাড়ম্বরে নূহাশপল্লীতে উদ্্যাপিত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে পুরো নূহাশপল্লীতে ২ হাজার ৫০০ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তাদের দুই ছেলে নিশাদ ও নিনিতসহ স্বজন এবং ভক্তদের নিয়ে নূহাশপল্লীতে কেক কাটেন এবং ১০ জোড়া পায়রা উড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। হুমায়ূন আহমদের জন্মদিন উপলক্ষে নূহাশপল্লীতে ভাস্কর আসাদ খানের দিনব্যাপী একক শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গাজীপুর জেলা শহর থেকে হিমু পরিবহনের ৩০ জনের দল মঙ্গলবার সকালে নূহাশপল্লীতে গিয়ে জনপ্রিয় ওই সাহিত্যিকের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। হিমু পরিবহনের সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, তারা এদিনে সকাল জেলা শহর থেকে নূহাশপল্লীতে যাওয়ার পথে এলাকাবাসীর কাছে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করেন। মোহনগঞ্জে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা : জনকণ্ঠকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কথাসাহিত্যিক চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে তার জন্মভিটা শেখ বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মঙ্গলবার নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে উদ্্যাপিত হয়েছে। মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার ও চয়নিকা মহিলা পাঠাগারসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংকৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী নানান র্কমসূচী পালন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, হুমায়ূন আহমেদের জন্মগৃহ পরিদশর্ন তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, পিঠা মুখ, লেখকের রচনা থেকে পাঠ, আলোচনাসভা ও সাংকৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের ছোট মামা মোঃ মাহবুবুন নবী শেখ, কবি ও লেখক রইস মনরম, চয়নিকা পাঠাগারের সভাপতি তাহমিনা ছাত্তার প্রমুখ। ফরিদপুরে হুমায়ূনের জন্মদিনের আয়োজন : জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, হুমায়ূন আহমেদের জন্মতিথিতে ফরিদপুরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাহিত্য পত্রিকা উঠোন। লেখকের বন্ধু অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক ও শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উঠোন সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক ম. হালিম, সাহিত্য অন্তপ্রাণ মৃধা রেজাউল ও কবি সৌরভ দুর্জয়। জন্মদিন উপলক্ষে লেখকের ৭০টি বই, নাসির আলী মামুনের তোলা আলোকচিত্র, হুমায়ূন আহমেদের সিনেমার পোস্টার, তাকে নিয়ে লেখা পেপার কাটিংয়ের মাধ্যমে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
×