সুচির সম্মাননা প্রত্যাহার এ্যামনেস্টির

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচিকে দেয়া সর্বোচ্চ খেতাব ‘এ্যাম্বাসেডর অব কনশেন্স’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সুচি ২০০৯ সালে গৃহবন্দী থাকাকালে এই সম্মাননাটি পেয়েছিলেন। খবর বিবিসির। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থার কারণে সাত লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কিন্তু তারপরও সুচি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের পক্ষে কোন কথা বলেননি, এতে তারা অত্যন্ত হতাশ হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে সুচি ধারাবাহিকভাবে একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার, সম্মাননা হারাচ্ছেন। এবার এ্যামনেস্টির সম্মাননাও হারালেন। মিয়ানমারের ৭৩ বছর বয়সী নেত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ্যামনেস্টির মহাসচিব কুমি নাইডু বলেছেন, ‘আপনি আশা, সাহসিকতা ও মানবাধিকার রক্ষার অক্ষয় প্রতীকের প্রতিনিধিত্ব আর না করায় আমরা অত্যন্ত হতাশ।’ চিঠিতে নাইডু আরও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মাত্রা ও এতে উদ্ভূত সামগ্রিক পরিস্থিতির গুরুত্ব সুচি স্বীকার করেননি, এতে রোহিঙ্গা সঙ্কট ‘উন্নতি হওয়ার আশা ক্ষীণ’ হয়ে গেছে বলে মনে করে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গৃহবন্দিত্ব থেকে সুচির মুক্তির অষ্টম বার্ষিকীতে তার সম্মাননা কেড়ে নেয়ার ঘোষণা দিল এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যারা এক সময় সুচিকে ‘গণতন্ত্রের বাতিঘর’ বলে অভিহিত করেছিল।