ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রিয়াল মাদ্রিদের জয়, বার্সিলোনার হার

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

রিয়াল মাদ্রিদের জয়, বার্সিলোনার হার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চোট কাটিয়ে অবশেষে বার্সিলোনার হয়ে মাঠে নেমেছেন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে করেছেন জোড়া গোলও। কিন্তু ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে মাঠ ছাড়তে হয়েছে একরাশ হতাশা নিয়ে। কেননা রবিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগায় ঘরের মাঠে সফরকারী রিয়াল বেটিসের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে গেছে বার্সিলোনা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আলাভেসের বিপক্ষে ন্যুক্যাম্পে সবশেষ পরাজিত হয়েছিল বার্সা। কিন্তু টানা ৪২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর বেটিসের দুর্দান্ত কাউন্টার এ্যাটাকের কাছে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করতে হয়েছে আর্নেস্টো ভালভার্ডের শিষ্যদের। সবমিলিয়ে ১০ বছর পর বার্সিলোনার বিরুদ্ধে মধুর জয় পেয়েছে বেটিস। আর নুক্যাম্পে তাদের সবশেষ জয় ছিল ১৯৯৮ সালের মে মাসে। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ক্লাবটি। বার্সা-বেটিস ম্যাচে মোট গোল হয়েছে সাতটি। তেমনি সেল্টা ভিগোর মাঠেও গোলোৎসব করেছে অতিথি রিয়াল মাদ্রিদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা হারলেও রিয়াল সেল্টাকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে। ভারপ্রাপ্ত কোচ সান্টিয়াগো সোলারির অধীনে গ্যালাক্টিকোদের এটি টানা চতুর্থ জয়। গোলোৎসবের রাতে তাই রিয়াল শেষ হাসি হাসলেও হতাশ হতে হয়েছে বার্সাকে। অপ্রত্যাশিত হারের পরও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কাতালানরা। ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ পয়েন্ট বার্সার। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। বার্সাকে হারিয়ে বেটিস টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গত মৌসুমেরও তারা ষষ্ঠ স্থানে ছিল। একইসঙ্গে স্পেনের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল যার ধারাবাহিকতা তারা ধরে রেখেছে। বার্সিলোনা মিডফিল্ডের বিপরীতে বেটিস ছিল অনেক বেশি দ্রুত ও আক্রমণাত্মক। বারবার তারা মধ্যমাঠ ভেঙ্গে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ম্যাচের ২০ মিনিটে তার ফলও পেয়ে যায়। উইলিয়াম কারভালহো প্রথম সুযোগের পাসে জুনিয়র ফ্রিপো বাম দিক থেকে বেটিসকে এগিয়ে দেন। ৩৪ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো টেলোর সহযোগিতায় জোয়াকুইন ব্যবধান দ্বিগুণ করলে বার্সা শিবির হতাশায় ডোবে। বিরতির পর আর্থার মেলোর স্থানে আর্টুরো ভিদাল মাঠে নামনে। ৬৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে মেসি এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু তিন মিনিট পরেই লো সেলসোর শট আটকাতে পারেনি বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান। ৩-১ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সা ৭৯ মিনিটে ম্যাচে ফেরান বদলি ভিদাল। কিন্তু সর্বনাশ হয়ে যায় এর দুই মিনিট পর। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ইভান রাকিটিচ মাঠ ছাড়ার দুই মিনিট পরই চার নম্বর গোল আদায় করে নেয় বেটিস। সার্জিও কানালেস দুর্দান্ত গোল করেন। ৪-২ গোলে এগিয়ে যাওয়া বেটিস তখনই জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। ইনজুরি সময়ে (৯২ মিনিট) আরেক গোল করে মেসি শুধু আফসোসই বাড়িয়েছেন। ম্যাচ শেষে বার্সিলোনা কোচ ভালভার্ডে বলেন, আমরা এই অনুভূতি নিয়ে যাচ্ছি না যে বেটিস আমাদের থেকে ভাল দল। আবার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কোন কৃতিত্বও নিতে চাচ্ছি না। তবে একটি কথাই বলতে চাই আমাদের আরো ভাল খেলা উচিত ছিল। আরেক ম্যাচে সেল্টার বিরুদ্ধে ২৩ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন বেঞ্জামা। ৫৬ মিনিটে গুস্তাভো কাবারালের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ৬১ মিনিটে হুগোর মালো সেল্টার পক্ষে এক গোল করলে খেলায় কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ৮৩ মিনিটে সার্জিও রামোসের পেনাল্টিতে রিয়ালের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে (৯১ মিনিট) ডানি সেবালোস দূরপাল্লার শটে মাদ্রিদকে চতুর্থ গোল উপহার দেন। এরপর ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে (৯৪ মিনিট) ব্রেইস মেনডেজ সেল্টার পক্ষে সান্ত¡নাসূচক আরেক গোল করেন। ম্যাচ শেষে রিয়ালের ক্লাব পরিচালক এমিলিও বুট্রাগুয়েনো কোচের প্রশংসা করে বলেন, সোলারি দারুণ করছে। যেভাবে রিয়াল এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা দারুণ খুশি। আর সোলারি বলেন, দেখা যাক কি হয়। আমি কখনই ভবিষ্যতের জন্য খুব একটা বেশিদূর চিন্তা করি না।
×