ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ৮ দফা দাবি জানাল বাংলাদেশ ক্লাইমেট এ্যাকশন ফোরাম। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত ৪০ স্বেচ্ছাসেবীসংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত দাবিসমূহ তুলে ধরেন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, বাংলাদেশ (এনসিসিবি)’র কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি)’র নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,‘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সক্রিয় জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সুদৃঢ় অবস্থান থাকা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাপেক্ষা বিপন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জলবায়ু তহবিলে কার্যকরী অংশগ্রহণের বিষয়গুলো এখনো অমীমাংসিত। এ কারণে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম ও অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে সমন্বিত করতে একটি ‘জাতীয় জলবায়ু নীতিমালা’ প্রণয়ন এবং একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে (একটি স্বতন্ত্র কমিশন বা কাউন্সিল) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন ও তদারকি অত্যন্ত জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত ৪০ স্বেচ্ছাসেবীসংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি ‘জাতীয় জলবায়ু নীতিমালা’ প্রণয়ন; জলবায়ু অর্থায়নকে একটি তহবিল থেকে পরিচালনা এবং জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০’ কে সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জলবায়ু কমিশন গঠন; গণঅংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে অবিলম্বে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) ও স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন; ন্যাপ এর আওতায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি’ গঠনকালে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ আসন এনজিও ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের জন্য বরাদ্দ রাখা; ন্যাপ বাস্তবায়নে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়।
×