ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা ছিল

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা ছিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নরসিংদীর জঙ্গী আস্তানা থেকে গ্রেফতারকৃত এক আত্মঘাতী নারী জঙ্গীর স্বামী ও তার সাত সহযোগী জঙ্গী পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা দুর্ধর্ষ জঙ্গী। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবির সদস্য। গ্রেফতারকৃতরা সবাই পুরুষ জঙ্গী। তারা টার্গেট কিলিংয়ের জন্য পরিকল্পনা করছিল। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী মারাত্মক ঘটনা ঘটাতে তারা যাত্রাবাড়ীতে একত্রিত হয়েছিল। মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে পুরো দেশ-বিদেশে এবং মানুষের মনে ভয়ঙ্কর ভীতি সঞ্চার করতে নারী ও পুরুষ জঙ্গী জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছিল। গ্রেফতারকৃত আট জঙ্গীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক পিস্তল ও বুলেট। তাদের টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। রবিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। অভিযানে গ্রেফতার হয় মোঃ রাকিবুল হাসান ওরফে রুহুল ওরফে আর্তুগাল ও তার সাত সহযোগী জঙ্গী আলামিন, হাফিজ ভূইয়া, সৈয়দ জাকারিয়া, জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান ওরফে সুমন, শাহ আলম ওরফে সাইফুল্লাহ ওরফে সাকিব ওরফে আবদুস সালাম ও মিলন হোসেন ওরফে তপন। এদের কাছ থেকে তিন রাউন্ড তাজা বুলেটসহ একটি অত্যাধুনিক অটোমেটিক বিদেশী পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর নরসিংদীর মাধবদীতে দুইটি জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। টানা দুই দিন আস্তানা দুইটিতে অভিযান চালানো হয়। দুই দিন পর একটি জঙ্গী আস্তানা থেকে খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা (২৫) ও ইশরাত জাহান মৌসুমী ওরফে মৌ (২৪) নামের দুই নারী জঙ্গী আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদের সাত দিনের রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মেঘলা শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার পশ্চিম বেলতৈল এলাকার খোরশেদ আলমের মেয়ে। আর মৌ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে জানান, আত্মসমর্পণ করা দুই নারী জঙ্গীর মধ্যে ইশরাত জাহান মৌসুমী ওরফে মৌ গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি আর ২৩ মার্চ খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়েই তারা আবার জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ে। আর নিহত নারী জঙ্গী আকলিমা আক্তার মনি গত বছরের ২ মার্চ মুক্তি পেয়েছিলেন। এই তিন নারী জঙ্গী ২০১৬ সালে তাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। এ তিন জনই জামায়াত নিয়ন্ত্রিত বেসরকারী মানারাত ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী ছিল। আরেকটি অভিযানে নিহত হয় আবদুল্লাহ আল বাঙালী নামের এক জঙ্গী। তার প্রকৃত নাম গোলাম মোস্তফা রুবেল। বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামে। সে মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে ছিল। মায়ের নাম মর্জিনা বেগম। স্বামীর হাত ধরে জঙ্গী হওয়া আকলিমা আক্তার মনিও অভিযানে নিহত হন। র‌্যাব সূত্র জানায়, জেএমবির নারী শাখার দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রধান ছিলেন নিহত আকলিমা আক্তার মনি।
×