ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শীতে নিন ত্বকের পূর্ণ যত্ন

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১২ নভেম্বর ২০১৮

শীতে নিন ত্বকের পূর্ণ যত্ন

হাঁটিহাঁটি পা পা করে আসছে শীত। হিম হিম শীতল এই ছোঁয়া শরীরের জন্য আরামদায়ক হলেও ত্বকের জন্য নয়। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নানা রকম ত্বকের সমস্যা। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য শীত যেন এক দুঃস্বপ্ন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা অতিরিক্ত তেল থেকে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেও মুখ ধোয়ার পরপরই ত্বকে দেখা যায় শুষ্ক টান টান ভাব। অতিরিক্ত শুষ্কতা ত্বকে খুব দ্রুত বলিরেখা তৈরি করে ও শুষ্ক মৃত কোষ ত্বককে কালো দেখায়। তাই সবধরনের ত্বকেই শীতে প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন। আসুন জেনে নিই কীভাবে নেবেন শীতে ত্বকের পরিপূর্ণ যত্ন। ক্লিঞ্জিং শীতে ত্বক পরিষ্কার করতে বেছে নিন মাইল্ড ও কম ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াশ, যা ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করবে না ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। মুখে সাবান ব্যবহার করবেন না একদমই। সারা শরীর পরিষ্কার করতেও সাবানের বদলে বেছে নিন শাওয়ার জেল। দিনে ২-৩ বারের বেশি মুখ ধোবেন না। এতে ত্বক প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। স্ক্রাবিং শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বক থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ত্বক হয়ে পরে শুষ্ক ও খসখসে। ত্বকে জমে মৃতকোষ। বাড়ে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস। এসব থেকে বাঁচতে স্ক্রাবিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাবিং করুন। বাজারে প্রচলিত স্ক্রাব ব্যবহার করতে না চাইলে বাসায় তৈরি করে ফেলতে পারেন স্ক্রাব। ২ চা চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে ২ চা চামচ টক দই ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। টোনিং টোনিংয়ের জন্য বেছে নিন এ্যালকোহল ফ্রি টোনার। টোনার ত্বকের চঐ ব্যালেন্স ঠিক রাখে ও ময়েশ্চারাইজার বা ফাউন্ডেশনকে লোমকূপের মুখ বন্ধ করতে বাধা দেয়। ময়েশ্চারাইজেশন শীতে ত্বক সুরক্ষার প্রধান উপায় হলো ত্বকের পর্যাপ্ত ময়েশ্চাইরেশন। শীতের শুষ্কতা ত্বক থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ত্বক হয়ে পরে শুষ্ক ও রুক্ষ। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে গোসল/মুখ ধোয়ার পর ভেজা ভাব থাকতেই ত্বকে লাগান ক্রিম/লোশন। ওয়াটার বেসড ক্রিম/লোশনের বদলে বেছে নিন অয়েল বেসড ক্রিম/লোশন। রাতে ত্বকের বাড়তি সুরক্ষায় করুন ডিপ কন্ডিশনিং। আপনার পছন্দের যে কোন তেল যেমন আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েলের সঙ্গে মেশান ভিটামিন ই অয়েল (ভিটামিন ই ক্যাপসুল আকারে ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়)। একসঙ্গে মিলিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। আমন্ড অয়েল/অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ই ত্বক নরম রাখতে ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঠোঁটের যত্ন শরীরের অন্য যে কোন অংশের চেয়ে ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত পাতলা ও সংবেদনশীল। শীতে ঠোঁট খুব সহজেই আর্দ্রতা হারিয়ে শুকনো খরখরে হয়ে যায়, ফেটেও যায়। ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঠোঁটে লাগান চ্যাপস্টিক/লিপবাম। Bruts bee, aquafina, nivea lip therapy, maybelline baby lips, The body shop shea chap stick ভাল মানের চ্যাপস্টিকের মধ্যে অন্যতম। চ্যাপস্টিক বা লিপবাম সঙ্গে রাখুন সবসময়। ভুলেও জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। এতে ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে ফেটে যাবে। সপ্তাহে ২ দিন ঠোঁটে লাগান বাড়িতে তৈরি লিপস্ক্রাব। এজন্য ১ চা চামচ চিনি, ১/২ চা চামচ লেবুর রস ও ১/২ চা চামচ মধু মিশিয়ে ঠোঁট আলতোভাবে ঘষুণ। মরা চামড়া উঠে গিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার হয়ে যাবে। হাত ও পায়ের যত্ন গোসলের পর ভেজা থাকতেই হাত পায়ে লাগান লোশন বা বডিবাটার। এই শীতে হাত পায়ের ত্বক সুরক্ষায় বডিবাটার খুবই উপকারী। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তারা লোশনের সঙ্গে মিশিয়ে নিন আমন্ড অয়েল/অলিভ অয়েল/বেবি অয়েল। -সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন বডিস্ক্রাব। বাজারে পাওয়া যায় হাত পায়ের যত্নে বিশেষ স্ক্রাবও। -যাদের শীত এলেই পা ফাটে, তারা সপ্তাহে একদিন বাড়িতেই পেডিকিউর করুন। -উষ্ণ গরম পানিতে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন বা বাফার দিয়ে ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলুন। তারপর গোঁড়ালিতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। গোঁড়ালির সুরক্ষায় নানা রকম ফুট ক্রিমও পাওয়া যায়। -রাতে পায়ে পুরু“করে ভ্যাসলিন মেখে মোজা পরে ঘুমান। তাহলে আর পা ফাটবে না। যাপিত ডেস্ক
×