ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ওয়ানডেতে ৪০ রানে হার অস্ট্রেলিয়ার, ফ্যাফ ডুপ্লেসিস (১২৫) ও ডেভিড মিলারের (১৩৯) সেঞ্চুরি, দু’জনে মিলে করেন ২৫২- অসিদের বিপক্ষে যেটি, দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের জুটি, ম্যাচ ও সিরিজসেরা মিলার, হোবার্টে এ প্রোটিয়া ,তারকার রিভিউ আবেদন নিয়ে তুমুল বিতর্

দাপুটে জয়ে সিরিজ প্রোটিয়াদের

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১২ নভেম্বর ২০১৮

দাপুটে জয়ে সিরিজ প্রোটিয়াদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ ওয়ানডেতে ৪০ রানের জয়ে ২-১এ সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিস (১২৫) ও ডেভিড মিলারের (১৩৯) জোড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২০ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রোটিয়ারা। জবাবে ৯ উইকেটে ২৮০ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। বিফলে যায় শন মার্শের (১০৬) সেঞ্চুরি। ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন মিলার। তবে হোবার্টে এ প্রোটিয়া তারকার রিভিউর আবেদন নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে বড় হারের পর দ্বিতীয়টিতে নাটকীয় জয়ে সমতায় ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ. আফ্রিকার কাছে টানা ৭ হারের বৃত্তভাঙ্গা ওই জয় স্বপ্ন দেখছিলেন নতুন অধিনায়ক এ্যারন ফিঞ্চ। তার ওপর কেপটাউনে কলঙ্কিত বল টেম্পারিংয়ের পর এই প্রথম সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। মাত্র ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন ডুপ্লেসিস ও মিলার। ৪৯তম ওভারে ডুপ্লেসিসের বিদায়ে ভাঙ্গে ২৫২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে যে কোন উইকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জুটি এটি। আগের রেকর্ডেও জড়িয়ে ডুপ্লেসিসের নাম। ২০১৪ সালে হারারেতে ত্রিদেশীয় সিরিজে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ২০৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শ’ ছাড়ানো জুটি এই দুটিই। তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি ১৮৭ রানের, ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে হার্সেল গিবস ও গ্রায়েম স্মিথের। রেকর্ড জুটির পথে ডু প্লেসিস পেয়েছেন তার দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। মিলারের পঞ্চম। ১০৮ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৩৯ রানের ইনিংসটি সাজান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ডুপ্লেসিস ১১৪ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১২৫ রান। জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে আশা দেখিয়েছিলেন শন মার্শ। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ১০৬ রানে। ১০২ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মার্কাস স্টয়নিস ৬৩ ও এ্যালেক্স ক্যারি ৪২ ছাড়া আর কেউ বড় স্কোর পাননি। কিন্তু সব ছাপিয়ে আলোচনায় দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান মিলারের রিভিউ। প্রোটিয়া ইনিংসে তখন ৩৩তম ওভারের খেলা চলছিল। বল করছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যক্তিগত ৪১ রানে ব্যাট করা মিলারের বিপক্ষে ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন ম্যাক্সওয়েল। এই আবেদনে আম্পায়ার আলিম দার সাড়াও দেন। এরপর সতীর্থের সঙ্গে যুক্তিতর্কের পর রিভিউ নেয়ার ইঙ্গিত করেন ননস্ট্রাইকিংয়ে থাকা মিলারের অধিনায়ক ডুপ্লেসিস। বিষয় হচ্ছে, প্রোটিয়া অধিনায়কই প্রথমে রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। আম্পায়ার আলিম দার সেই আবেদনে সাড়া দিতে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মিলার হাত নেড়ে রিভিউ নিতে চাওয়ার ইঙ্গিত করলে টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন আলিম দার। বল-ট্র্যাকিং প্রযুক্তিতে দেখা যায়, ম্যাক্সওয়েলের ডেলিভারিটি স্টাম্পের ওপরে ছিল, আর তাই আলিম দারকে আউটের সিদ্ধান্ত তুলে নিতে হয়। সমস্যা আউট নিয়ে নয়, রিভিউ নেয়ার প্রক্রিয়ায়। আইসিসির নিয়ম বলছে, কেবল আউট হওয়া ব্যাটসম্যান এবং ফিল্ডিংয়ে থাকা দলের অধিনায়কই রিভিউ চাইতে পারেন। স্কোর ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা ॥ ৩২০/৫ (৫০ ওভার; ডি কক ৪, হেনড্রিকস ৮, মার্করাম ৩২, ডুপ্লেসিস ১২৫, মিলার ১৩৯, ক্লাসেন ১*, প্রিটোরিয়াস ১*; স্টার্ক ২/৫৭, স্টয়নিস ২/৭০)। অস্ট্রেলিয়া ॥ ২৮০/৯ (৫০ ওভার; লিন ০, ফিঞ্চ ১১, শন মার্শ ১০৬, হেড ৬, স্টয়নিস ৬৩, ক্যারি ৪২, ম্যাক্সওয়েল ৩৫, কামিন্স ৭*, স্টার্ক ০, জাম্পা ০, হ্যাজলউড ০*; স্টোইন ৩/৪৫, রাবাদা ৩/৪০, প্রিটোরিয়াস ২/৬১)। ফল ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০ রানে জয়ী। ম্যাচ ও সিরিজসেরা ॥ মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)। সিরিজ ॥ তিন ওয়ানডে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-১এ জয়ী।
×