ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১২ নভেম্বর ২০১৮

ঝালকাঠিতে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও প্রেমিকের  মৃত্যুদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ১১ নবেম্বর ॥ ঝালকাঠির নাসির উদ্দিন ওরফে নসা হত্যার মামলায় স্ত্রীকে যাবজ্জীবন এবং স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক খোকন হাওলাদারকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছে। রবিবার ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খোকন হাওলাদার জেলার কাঠালিয়া উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের পুত্র এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পারুল বেগম পশ্চিম সৌলজালিয়া গ্রামের বাসিন্দা, নিহত নাসির উদ্দিন নসার স্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পারুল বেগম তার পরকীয়া প্রেমিক খোকন হাওলাদারকে নিয়ে স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করেন। এই ঘটনায় নিহতের ভাই সোহরাব হাওলাদার বাদী হয়ে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবদুস ছালাম ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। নিহতের বন্ধু খোকন হাওলাদার এই বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্র ধরে ৩ সন্তানের জননী পারুল বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। নিহত নাসির উদ্দিন নসা স্ত্রীর এই পরকীয়া বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং স্ত্রী ও খোকনকে তার বাড়ি আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে খোকন হাওলাদার ও পারুল বেগম মিলে নাসির উদ্দিনকে হত্যা করে। ফরিদগঞ্জে পুত্রের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটেরহদ গ্রামের মোস্তফা কামাল হত্যা মামলায় পিতা তাহের ও পুত্র সোহাগকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অপর ৩ আসামি হারুন, কাশেম ও আবুল খায়েরকে ৫ বছর করে কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। রবিবার দুপুর ১টায় জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন। হত্যার শিকার মোস্তফা কামাল ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিবাদে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা কামালকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৪ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে মারা যায়।
×