ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে নেট মিটারিংয়ে জোর দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১২ নভেম্বর ২০১৮

   সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে নেট মিটারিংয়ে জোর দেয়ার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নেট মিটারিং বড় ভরসা বলে মনে করছে সরকার। রবিবার বিকেলে নবায়নযোগ্য জ¦ালানিতে বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে শহর এলাকায় নেট মিটারিং এর উপর জোর দেয়ার জন্য বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন এই পদ্ধতিতে গ্রাহক নিজের আঙ্গিনায় বিদ্যুত উৎপাদন করে ব্যবহার অতিরিক্ত বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে। যখন গ্রাহকের নিজের উৎপাদিত বিদ্যুত থাকবে না ওই সময় গ্রিড থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করা হবে। এতে দেখা যায় গ্রাহকের বিদ্যুত বিল অন্তত ৪০ ভাগ কমে আসবে। সাম্প্রতিক সময়ে নেট মিটারিং এর প্রচলন হওয়ার পর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (আরইবি) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাত্র মাসের ব্যবধানে রবিবার আরইবি মোট আড়াই মেগাওয়াটের উপরে বিদ্যুত নেট মিটারিং এর মাধ্যমে গ্রিডে যোগ করেছে বলে জানিয়েছে। আরইবি এলাকার গ্রাহক নেট মিটারিং-এর মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন করলে শহরের অপেক্ষাকৃত সচ্ছল শ্রেণীর গ্রাহক কেন আসছে না তা বৈঠকে জানতে চান বিদ্যুত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি শহর এলাকার বিতরণ কোম্পানিগুলো নেট মিটারিংয়ে ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করতে বলেন। গ্রাহক কেন নেট মিটারিংয়ে যুক্ত হচ্ছে না সচিব বিতরণ কোম্পানির কাছে জানতে চান। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নেট মিটারিংয়ে যুক্ত করতে না পারায় সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করেন। সচিব বৈঠকে প্রতিটি কোম্পানিকে মাসে অন্তত ২৫ জন গ্রাহককে নেট মিটারিং-এর আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। জানতে চাইলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, আগে আমাদের ২০ জন গ্রাহককে নেট মিটারিং-এর আওতায় আনার লক্ষ্য দেয়া হয়েছিল। এখন আমাদের মাসে ২৫ জন গ্রাহককে নেট মিটারিং-এর আওতায় আনার নতুন লক্ষ্য দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ জন গ্রাহককে নেট মিটারিং-এর আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে নেট মিটারিং ছাড়াও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুত উৎপাদনের অন্য প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সৌরবিদ্যুত উৎপাদনে কোন প্রকল্পে তেমন গতি নেই বলে বৈঠকে জানানো হয়। এ সময় আরইবির সাফল্য দেখে নেট মিটারিংয়ে জোর দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, নেট মিটারিং পদ্ধতিতে সরকারের কোন অর্থ খরচ হবে না। কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুতের বিনিময়ে গ্রাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফেরত দিলেই হবে। আবার গ্রাহকেরও বিদ্যুত বিলের সাশ্রয় হবে। পাওয়ার সেলের পরিচালক (নবায়নযোগ্য জ¦ালানি) আবদুর রউফ বলেন, নেট মিটারিং সিস্টেমে আরইবি ২০ জন গ্রাহক সৃষ্টি করেছে। এতে তারা দুই দশমিক ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ করেছে। এর বিপরীতে অন্য সব কোম্পানি মিলে ৪০০ কিলোওয়াট বিদ্যুত নেট মিটারিং থেকে আনতে পেরেছে। এর মধ্যে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) তিনটি, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকো, ওয়েস্ট পাওয়ার জোন (ওজোপাডিকো), এবং নর্দান পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (নেসকো) এক জন করে গ্রাহককে নেট মিটারিং এর আওতায় এনেছে। আর বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কোন গ্রাহককে নেট মিটারিং এর আওতায় আনতে পারেনি।
×