ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব দলই ভোটে ॥ শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১২ নভেম্বর ২০১৮

সব দলই ভোটে ॥ শেখ হাসিনার অধীনে  জাতীয় নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এ ঘোষণা দেন। একই সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অনুরূপ ঘোষণা দেন এ জোটের প্রধান সমন্বয়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তবে দুই সংবাদ সম্মেলন থেকেই নির্বাচনের তারিখ এক মাস পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন থেকে লিখিত বক্তব্যে এ জোটের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যে ৭ দফা দাবি দিয়েছিলাম সেখান থেকে সরে আসিনি, এসব দাবি আদায়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। ৭ দফা দাবির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে দেয়ার দাবি। আর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে ২০ দলীয় জোটের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল বলেন, আমরা জনগণের ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছি। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই ঐক্য। আমাদের ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ইনশাল্লাহ এবারও জনগণের বিজয় হবে। জনগণের সবচেয়ে বড় দাবি পরিবর্তন। সংবিধানের মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে এই ঐক্য গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের অধীনে কোন অবস্থাতেই নির্বাচনে যাবে না এবং নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনের আয়োজন করলে সে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বার বার বলা হলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের পর তাদের কণ্ঠ কিছুটা ক্ষীণ হয়। তবে সংলাপের পর কিছুটা নমনীয় হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া ও তফসিল পিছিয়ে দেয়ার দাবিতে সোচ্চার হয় তারা। এ পরিস্থিতিতে ৮ নবেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর আরও নমনীয় হয়ে শুধু তফসিল পেছানোর দাবিতে এসে ঠেকে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলের নেতারা। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বেকায়দায় পড়ে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর পর দফায় দফায় বৈঠক করে অতীতের ভুল ও বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা ৭ দফা দাবির পাশাপাশি ঘোষিত তফসিল বাতিল করে এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি করছি। সেক্ষেত্রেও বর্তমান সংসদের মেয়াদকালেই নির্বাচন করা সম্ভব হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও দুই দফা তফসিলও পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণকেও আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করবে ঐক্যফ্রন্ট। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশন ও সরকারের তৎপরতার প্রতি কড়া নজর রাখবে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারী দলের তফসিল পেছানোর আহ্বান না জানানো এবং নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করা আবারও প্রমাণ করে সরকার আসলে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা চায় না। তিনি বলেন, সরকারের যাবতীয় চেষ্টা ও উদ্দেশ্য হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আদলে আরেকটি নির্বাচন করা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। তফসিল ঘোষণার পরও বিটিভিসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে বলেছিলেন আমরা সভা করলে কোন বিধিনিষেধ থাকবে না। এছাড়া গায়েবি মামলায় বিএনপি নেতাদের ধরপাকড় বন্ধ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রাজশাহীতে বিএনপির জনসভায় নেতাকর্মীদের আসতে- যেতে দেয়া হয়নি। একদিনেই ৫২ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। ফখরুল বলেন, সরকারের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। তাই আমাদের তফসিল পেছানোর আহ্বানে সরকার সাড়া দেয়নি। আর নির্বাচন কমিশনার সরকারের চাহিদা অনুযায়ী তড়িঘড়ি তফসিল ঘোষণা করেছে। তড়িঘড়ি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রমাণ করে সরকার সংলাপের পর কোন সমঝোতায় যায়নি। কোন শর্তই সরকার পালন করেনি। এ পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। তার পরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফখরুল বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ন্যূনতম শর্ত এখন পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি। বরং নির্বাচনের পর নেতাকর্মীর নামে আরও বেশি করে মামলা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও বিটিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। সাবেক সিইসি ড. শামসুল হুদাসহ সকল দল ও জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও ইভিএম বাতিল করেনি ইসি। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে একটা অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তবে জনগণের দাবি না মানা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের সঙ্কট সমাধানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সব সময় সমঝোতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দফা সংলাপও হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে। সঙ্কট উত্তরণ থেকে সমঝোতা করার ন্যূনতম মানসিকতা আমরা দেখতে পাইনি। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন না করে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে থেকেছে, সেটা এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে হওয়া নির্বাচন দেখলেই বোঝা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় ইসি তড়িঘড়ি করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত ৯০ দিনের ৩৫ দিন বাকি থাকতেই। অথচ ১৯৯৬ সালে নির্ধারিত ৯০ দিন সময় শেষ হওয়ার ১৩ দিন আগে, ২০০১ সালে ১২ দিন আগে ও ২০১৪ সালে ২০ দিন আগে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা দলের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর, গণফোরাম নেতা এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় ঐক্যজোট। তবে বড়দিন ও অন্যান্য কারণে নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি জানাচ্ছি। অলি আহমেদ বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও জনগণের প্রতি আস্থা আছে বলেই এত প্রতিকূলতার মাঝেও ২০ দলীয় জোট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও আমাদের নির্বাচনী সমঝোতা হবে। অলি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সরকারের দুর্নীতি, অনাচার, তিস্তার পানি আনতে ব্যর্থতাসহ রাষ্ট্রীয় স্বার্থরক্ষায় সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রায় দেয়ার সুযোগ জনগণকে দেয়া উচিত। সে কারণেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। যাতে জনগণ তাদের ক্ষোভ, বেদনা ও প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ পায়। অলি বলেন, আমরা দাবি করছি, সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে, অবিলম্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোন ধরনের হয়রানি করবে না। খালেদা জিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, নতুন মামলা না দেয়া ও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরও বেশি করে মামলা দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন নেতাকর্মীকে মুক্তি দেয়া হয়নি। এমনকি ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে দেয়া গায়েবি মামলায় হাইকোর্ট জামিন দেয়ার পর সরকারের আইনজীবীরা চেম্বার জজ আদালতে ওই সমস্ত মামলার জামিন বাতিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। অলি অভিযোগ করেন, অনুগত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেশের সকল বিরোধী দলের আবেদন ও যৌক্তিক পরামর্শ অগ্রাহ্য করে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এর উদ্দেশ্য বিরোধীদলগুলোকে নির্বাচনের জন্য সময় কম দেয়া। কারণ, সরকারী দল কয়েক মাস ধরে নীতিমালা অমান্য করে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালাচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে প্রকাশ্যে দলীয় প্রতীকে ভোট চেয়ে জনসভা করেছেন। সারাদেশে নির্বাচনী প্রতীকসহ তাদের পোস্টার-ব্যানার শোভা পেলেও নির্বাচন কমিশন এসবের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এসব থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ তো দূরের কথা বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ইসি। কর্নেল (অব.) অলি বলেন, ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহক বলে মনে করে। সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ ও একগুঁয়েমি মনোভাব দৃশ্যমান। সংসদ বহাল রেখে সাজানো প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন করে তারা ক্ষমতায় পুনরায় আসীন হতে চায়। তাদের এ ধরনের মনোবাসনা পূর্ণ নাও হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে অলি বলেন, ২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়া নতুন ৩টি দল কিভাবে নির্বাচন করবে তা তাদের দলীয় বিষয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তফসিল না পেছালে ২০ দলীয় জোট পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। আরও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন বণ্টনের বিষয়ে জোটের নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের একাংশের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচ এম কামরুজ্জামান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি এ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, ডেমোক্র্যাটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, পিপলস পার্টির সভাপতি রিটা রহমান প্রমুখ।
×