ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে সেমিতে শেখ রাসেল

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১১ নভেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে সেমিতে শেখ রাসেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শেষ চারে নাম লিখিয়েছে একবারের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেড। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে গত আসরের রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে। আজ রবিবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেবারিট বসুন্ধরা কিংস এবং টিম বিজেএমসির মধ্যে বিজয়ী দল সেমিফাইনালে খেলবে রাসেলের বিপক্ষে। উল্লেখ্য, গত আসরে ঢাকা আবাহনীর কাছে ফাইনালে হেরে এই টুর্নামেন্টের রানার্সআপ হয়েছিল ‘বন্দরনগরীর দল’ খ্যাত চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মমোদৌ বাওয়ের গুরুতর আহত হওয়া। ম্যাচের বয়স তখন ৭১ মিনিট। একটি উঁচু সেন্টারের বল হেড করতে মমদৌ ঢুকে পড়েন রাসেলের বক্সে। সেই পাল্টা হেড করেন রাসেলের নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার এ্যালিসন উদোকা। তার মাথার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারাত্মকভাবে আহত হন বাও। জ্ঞানই হারিয়ে ফেলেন। কিছুতেই জ্ঞান ফিরছিল না। এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। তার এই অবস্থা দেখে তার সতীর্থ নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড মাগালান প্রবল কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রায় মিনিট পাঁচেক পর তাকে কিছুটা সুস্থ করতে সক্ষম হয় মেডিক্যাল টিম। শেষ পর্যন্ত বাওকে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরীভিত্তিতে। ২ মিনিটে সতীর্থের উদ্দেশে ফরোয়ার্ড বিপলুর বাড়িয়ে দেয়া বল ক্লিয়ার করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। ৬ মিনিটে বক্সে বল পেয়েও দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রাসেলের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওডোয়িন। ২৭ মিনিটে ফ্রি কিক পায় আবাহনী। কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার ড্যানিয়েলের স্পট কিক জটলায় পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সতীর্থরা। ৩৯ মিনিটে রাসেলের ডিফেন্ডার ইয়ামেন মুন্নার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। প্রথমার্ধে দুই দলই নিষ্প্রাণ ফুটবল খেলেছে। হাতে গোনা দু’চারটি আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে কোন দলই গোল না করে বিশ্রামে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের ধার বাড়ায় শেখ রাসেল। আর সেখান থেকেই এক গোল করে এগিয়েও যায় তারা। ৪৭ মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে উজবেক ফরোয়ার্ড আজিজভ আলীশেরের ক্রসে বক্সে শট নিয়েও ক্লিয়ার করতে পারেননি চট্টলার ডিফেন্ডাররা। বল পেয়ে যান রাফায়েল। কোনাকুনি শটে আবাহনীর জাল কাঁপিয়ে দলকে লিড এনে দেন (১-০)। ৬৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীরও। কৌশিক বড়ুয়ার দূরপাল্লার শট বক্সে পেয়ে হেড নেন নাইজিরিয়ান আওয়ালা মাগালান। কিন্তু বলে মাথাই ছোঁয়াতে পরেননি। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড বিপলু আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ফেরা হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। শেখ রাসেলের কাছে ১-০ গোলের হারে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে।
×