ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাণবন্ত আলোচনায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

কবিতা লিখতে না পারার দীর্ঘশ্বাস আমার অক্ষম গদ্যের মধ্যে প্রবাহিত

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১১ নভেম্বর ২০১৮

কবিতা লিখতে না পারার দীর্ঘশ্বাস আমার অক্ষম গদ্যের মধ্যে প্রবাহিত

মোরসালিন মিজান ॥ লিট ফেস্ট মূলত ইংরেজীর। বাংলা সাহিত্যের এটা ওটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়। হলেও, ইংরেজী এখানে মুখ্য। উৎসবের প্রথম দুই দিন যথারীতি তা-ই দেখা গেছে। তবে ভেতরে যার ‘আ মরি বাংলা ভাষা’, তাকে তো ফিরতেই হবে। অন্যের যা ভাল, নেয়া হলো। তারপর সমাপনী দিনে এসে ঠিকই আপনার কাছে ফিরল বাঙালী। আগেই জানানো হয়েছিল, শেষ দিনের শেষ সেশনটি হবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাতেই একটা আলোড়ন। বাংলা একাডেমির এত বড় মিলনায়তন মুহূর্তেই পরিপূর্ণ হয়ে গেল। মেঝেতে বসে অপেক্ষা করতে লাগলেন কয়েক শ’ মানুষ। বাইরের দরজায় খিল। খিল ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়বে জন¯্রােত, আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ঠিক তখন পাঠকের সামনে আসেন ওপার বাংলার খ্যাতিমান কথাশিল্পী। তাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে আসেন এপার বাংলার আরেক নন্দিত কথাসাহিত্যিক সঞ্চালক ইমদাদুল হক মিলন। সঙ্গে সঙ্গে করতালি। মিলনায়তনজুড়ে উচ্ছ¡াস। প্রাণবন্ত আলোচনা। সুন্দর শুরু। ছোট্ট ভ‚মিকা দিয়ে সঞ্চালক বলেন, ‘আমার পাশে যিনি বসে আছেন তার বয়স ৮৩। সংখ্যাটা উল্টে দিন। ৩৮ তো? এটাই তার বয়স। কারণ তিনি শুরু থেকে এ রকম ঝকঝকে বেøডের ধারের মতো লিখে চলেছেন, এখন পর্যন্ত তা-ই আছেন। কোথাও মরচে পড়েনি। কলমের ডগা কখনও কালিশূন্য হয়নি। লিখতে গিয়ে কখনও আড়ষ্ট হননি। যেমন করে শুরু করেছিলেন, তেমন করেই এগিয়ে চলেছেন। এবং বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন।’ মূল আলোচনায় প্রবেশ করার মুহূর্তে কিছুটা রসবোধ সৃষ্টির চেষ্টা করেন মিলন। ম্যাজিশিয়ানদের মতো করে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে পাঁচ টুকরো করব।’ কথা শুনে হা হা করে হেসে ওঠে মিলনায়তন। পাঠকের বোঝা হয়ে যায়, আলোচনা হবে পাঁচ ভাগে। সঞ্চালক সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এর পরও বিস্তার ঘটেছে আলোচনার। নির্দিষ্ট নিয়ম মানেনি। ফলে দারুণ উপভোগ্য হয়ে ওঠেছিল আয়োজনটি। প্রথম ভাগেই ছোটদের লেখা নিয়ে আলোচনা হবে, না, অনেকেই তা ভাবেননি। এখানে অনেক অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা আছেÑ এমন যুক্তি দিয়ে শিশু সাহিত্যকে আলোচনার প্রথমভাগে নিয়ে আসেন ইমদাদুল হক মিলন। শীর্ষন্দেুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এক লেখায় উল্লেখ করেছেন, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আপনাকে ছোটদের লেখা লিখতে বাধ্য করেছিলেন। আমরা সে গল্পটা শুনতে চাই।’ শীর্ষেন্দু উত্তর খুঁজতে কিছুটা পেছনে ফিরে যান। বিনয়ী উচ্চারণ তার। বলেন, ‘আমি আসলে যখন শুরু করেছিলাম তখন লেখালেখি সম্পর্কে আমার যে সমস্যা বা সঙ্কট ছিল, সেটা হচ্ছে, আমার লেখা তখন লোকে বোঝতে পারত না। যাকে জনপ্রিয়তা বলে সেটা আমার হয়নি, হয়ইনি এক প্রকার। আমার আশঙ্কা ছিল, হয়ত বা সম্পাদকরা বলবেন, একে দিয়ে জনগণকে খুশি করানো যাচ্ছে না, একে বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু আজ যা কিছু, টিকে থাকতে থাকতে আস্তে আস্তে হয়েছে।’ বেশ মজা করেই তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, বেশ বিখ্যাত এক কবি আমাকে বলেছিলেন, ছেলেবেলায় তার মা তাকে আমার নাম করে বলেছিলেন, এই লোকটির লেখা পড় না। পড়লে খারাপ হয়ে যাবে। তো, সে সময় খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সর্বনাশ, আমি কি এ রকম লিখি!’ বলার অপেক্ষা রাখে না সমালোচকদের ওইসব কথা আজ কৌতুকে পরিণত হয়েছে। আর তাই প্রাণ খুলে হাসেন শ্রোতা। লেখক বলেন, ‘যাই হোক, এভাবে আমার লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল। এর বেশ কিছুদিন পর মাথায় শুধু এডাল্ট সমস্যার কথাই আসত। তাদের কথাই বলতে চাইতাম বা লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম। এ পর্যায়ে মিলনের কথায় আসেন তিনি। বলেন, ‘সে সময় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আনন্দ মেলা পত্রিকার সম্পাদক। একদিন তিনি আমাদের বাড়ি এলেন। যাওয়ার সময় বললেন, একটা গল্প লিখ তো আনন্দ মেলার জন্য। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলে দিলাম, এটা আমি পারব না। বাচ্চাদের জগত আমার অচেনা। কিন্তু উনি খুবই জবরদস্তি করলেন। লিখতেই হলো। প্রথমটির নাম ছিল ‘চোরে ডাকাতে।’ এই গল্পটা লেখার পর মোটামুটি ভাল লাগল। পরে তিনি বললেন, আরেকটা লিখ। তখন কী লিখলাম, মনে নেই।’ মিলন গল্পটির নাম স্মরণ করিয়ে দিলে শীর্ষেন্দু বলেন, ‘সেখানে পাইকারি হারে ভ‚ত। এত ভ‚ত নামিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, কী বলবো! যাই হোক, সেইটিও পড়ে পছন্দ হলো। তিনি এবার বললেন, উপন্যাস লিখ। ধারাবাহিক। কথা শুনে আমার মাথায় বজ্রপাত হলো।’ বাকি কথা বলতে গিয়ে নিজের লেখার পদ্ধতি সবার সামনে তুলে ধরলেন তিনি। মজা করে বললেন, ‘আমার লেখার পদ্ধতি শুনে আপনারা হাসবেন। আমি আগেভাগেই পুরো গল্পটা ভাবতে পারি না। লিখতে বসলে মাথায় কোন পরিকল্পনাও থাকে না। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কী হবে, কোন ধারণা করতে পারি না। আমি শুধু ভাবতে থাকি একটা লাইন। একটা লাইন। মনের মতো একটা লাইন যদি পেয়ে যাই, তাহলে আমি বাকিটা লিখতে পারব। এই লাইনটা খোঁজবার জন্য আমি দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াই। এখানে যাই। সেখানে যাই। লাইনটি ধরে এগোতে গিয়েই চরিত্রগুলোকে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে পারি। দেখতে পাই। চরিত্রগুলোর সঙ্গে কথোপকথন হয়। আদান-প্রদান হয়। তখন আর লিখতে খুব একটা অসুবিধে হয় না। এ পদ্ধতিতে লিখি বলে নিজেকে আমার বিজ্ঞান অসম্মত পদ্ধতির লেখক মনে হয়।’ কথা শুনে আবারও হেসে ওঠে মিলনায়তন। এখান থেকেই লেখক চলে যান ভাষার আলোচনায়। কিছুটা সিরিয়াস ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় নিয়ে আমি খুব ভাবি। সেটা হলো ভাষা। ভাষা জিনিসটা হচ্ছে এমন একটা বাহন যেটাকে নানা ভাবে ব্যবহার করা যায়। অনেকে বলেন, বাংলা ভাষাটা ইংরেজী ভাষার চেয়ে দুর্বল। আমার তা মনে হয় না। বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে, অনেক গ্রামীণ শব্দ আছে, অপ্রচলিত শব্দ আছে, মন দিয়ে শুনলে তার ভেতর থেকেও অনেক কিছু খুঁটে আনা যায়। সেগুলোকে ব্যবহার করলে একটি অভিপ্রেত অভিঘাত সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি বাংলা ভাষা নিয়ে যদি চিন্তা ভাবনা না করা যায় তাহলে কিন্তু লেখা হবে, গল্প বলা হবে। অভিঘাতটা তৈরি হবে না। গল্পটা সাধারণ হয়ে যাবে। মানুষকে এ্যাপিল করবে না।’ এ ব্যাপারে নিজের সচেতন প্রয়াসের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ছোট গল্পের একটা সিকোয়েন্স পঞ্চাশবারের মাথায় লিখে শেষ করেছিলাম। কারণ কেবলই মনে হচ্ছিল আমার ল্যাঙ্গুয়েজ ফেল করছে। ঠিক ঠিক শব্দ আমি ব্যবহার করতে পারছি না। গল্পটি লিখতে তাই পৌনে দু’ বছর সময় লেগেছিল!’ পরের কথাটি শীর্ষেন্দুকে চিনতে খুব সহায়তা করে। লেখক বলেন, ‘এমন নয় যে, ছাপা হওয়ার পর গল্পটা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। এই যে লোকে হৈ চৈ করল না তা নিয়ে আমার কিছু গেল এলো না। আমি পাঠকের জন্য লিখি না। আমি লিখি আমার জন্য। আমি যতক্ষণ না স্যাটিসফায়েড হচ্ছি ততক্ষণ লিখে যাই।’ এভাবে আলোচনা যখন গাঢ় হচ্ছিল, আবারও ভূত নিয়ে ফেরেন ইমদাদুল হক মিলন। সঞ্চালক বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে আপনিই প্রথম লেখক যিনি ভ‚তকে মজার ভ‚তে রূপান্তরিত করেছেন। আগের ভ‚তগুলোকে সবাই খুব ভয় পেত। অথচ আপনার ভ‚তেরা ছোটদের বন্ধু হয়ে গেল। এ রকম কয়েকটি গল্পের নাম নেন মিলন। বলেন, পরে লক্ষ্য করলাম, আপনি ভ‚ত বিজ্ঞান ফ্যান্টাসি এসব বø্যান্ড করেন। যখন এক ধরনের দাদারা কিশোর সাহিত্য দখল করে ছিল, ওই সব সিরিজ থেকে বের হয়ে এসে আপনার সিরিজটাকে আপনি বললেন, অদ্ভুতুড়ে।’ এর কারণটা কী? জানতে চান সঞ্চালক। শীর্ষেন্দু দারুণ মজা করে উত্তর দেন। মিলনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যেটা তুমি বললে, শুনো, আমি ব্যক্তিগভাবে ভ‚ত খুব ভয় পাই। তাই ভ‚তের গল্পটা করতে চাই না। ওরা চটে গেলে খুব মুশকিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি একটি গল্পে ভ‚তের অসহায়ত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। সে গল্পে দেখিয়েছিলাম, বাচ্চারা ভ‚তকে দেখে ভয় পাচ্ছে না। তখন ভ‚ত খুব হেল্পলেস হয়ে যায়। এ অবস্থায় ভ‚ত বাচ্চাদের ঘুষ দিতেও রাজি হয়। মিনতি করে বলতে থাকে, তোমরা ভয় না পেলে আমাদের ইজ্জত থাকে না।’ এভাবে মজা করতে করতে লিখে ফেলি।’ তিনি জানান, অনেকে তাকে চিঠি লিখে বলে, আপনার ভ‚তের গল্প পড়ে আমার ভ‚তের ভয় দূর হয়ে গেছে!’ আলোচনার এক পর্যায়ে আসে কবিতা প্রসঙ্গ। সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে শীর্ষেন্দু বলেন, ‘আমি যখন গল্প লিখতে শুরু করি তখন দু’ একটা অক্ষম কবিতাও লিখেছি। কবিতা লেখার শখ আমার ছিল। কিন্তু হলো না। সবার তো সব হয় না। আমার মনে হয় কবিতা লিখতে না পারার যে দীর্ঘশ্বাস সেটাই আমার অক্ষম গদ্যের মধ্যে কিছুটা প্রবাহিত হয়।’ পরের প্রশ্নে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ও চলে আসেন। সঞ্চালক বলেন, ‘এই দু’জনকে পাশে বসিয়ে একবার আপনি রীতিমতো কবির লড়াই বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। আড্ডার বিস্তারিত পত্রিকায় লিখেছিলেন। তার পর সে কী আলোচনা। সমালোচনা। মনে পড়ে?’ এমন প্রশ্নে দুষ্টু হাসি হাসেন শীর্ষেন্দু। বলেন, ‘ঘটনাটা খুব মজার ছিল। ওরাই নিজেদের মধ্যে কথা বলেছে। আমার কাজ ছিল ওদের উস্কে দিয়ে কথা বের করা। এ কাজে আমি বেশ সফল হয়েছিলাম। শক্তির পানের অভ্যাস ছিল। একটু পর পরই বোতলের খোঁজ করছিল। ওটা বের করে দিতেই সব কথা খুলে বলতে শুরু করে। সুনীল সতর্ক করে দিয়ে বলছিল, শক্তি, সাবধানে কথা বলো। শীর্ষেন্দু তোমাকে কুপথে বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওই যে বললাম, শক্তির পানের অভ্যাস ছিল। তাতে আমার খুব কাজ হয়েছে!’ ওইসব খোলামেলা কথোকথন সে সময় তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠলেও, শীর্ষেন্দু বলেন, ‘ওতে আমার কোন দোষ ছিল না!’ আলোচনায় আসে শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং তার দেবদাস প্রসঙ্গও। মিলন শীর্ষেন্দুর এ সংক্রান্ত একটি লেখা পড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আপনি উপন্যাসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে লেখাটি লিখলেন। কিন্তু শুরু করলেন নেগেটিভ এপ্রোচ দিয়ে। প্রথমে তো মনে হলো উপন্যাসের খুব নিন্দা মন্দ করবেন। পরে দেখা গেল আপনিও এর মুগ্ধ পাঠক।’ ব্যাখ্যা জানতে চাইলে কঠোর সমালোচকের মতোই শুরুটা করেন শীর্ষেন্দুকে। বলেন, ‘শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেবদাস উপন্যাসটি লিখেছিলেন টিনেজ বয়সে। তখন তো বুদ্ধি আসলে পাকে না। উপন্যাসে তাই লজিকের খুব অভাব। লজিক নেই বলা চলে। চন্দ্রমুখীর সঙ্গে দেবদাসের যে সম্পর্ক সেটি ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অনেক ভাঁড়ামো ছিল।’ এরপর মূল কথায় আসেন তিনি। বলেন, ম্যাজিক অব স্টোরি টেলিং যেটাকে বলে, সেটি শরৎ চন্দ্রের মতো আর কেউ দেখাতে পারেননি। তাই একশ বছর ধরে মানুষ এটি পড়ছে। ছবি হচ্ছে। শেষ লাইনে শরৎ চন্দ্র বলেছিলেন, দেবদাসের জন্য দু’ ফোঁটা জল ফেলো। এখন কাঁদতে কাঁদতে সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে। শীর্ষেন্দু খেলাধুলোর ব্যাপারেও ভীষণ আগ্রহী। লিখেনও পত্রিকায়। এ প্রসঙ্গে মিলন জানতে চান, বাংলাদেশ ভারত ক্রিকেট ম্যাচে কার পক্ষে নন তিনি? উত্তরে লেখক বলেন, ‘ভারত জিতলে আমি হাততালি দেব বটে। কিন্তু মনে মনে খুশি হবো বাংলাদেশ জিতলে।’ বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন কথায় বাংলাদেশের নরম মাটিতে নাড়ি পুঁতে যাওয়া শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কেই খুঁজে পাওয়া যায়। খুঁজে পেয়েছিলেন উপস্থিত ভক্ত অনুরাগীরা। তাকে ঘিরেই জয়গান হলো বাংলা,বাঙালী ও বাংলা সাহিত্যের।
×