ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘নতুন প্রজন্মকে মেজর গনির আদর্শ চর্চার আহ্বান’

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১১ নভেম্বর ২০১৮

‘নতুন প্রজন্মকে মেজর গনির আদর্শ চর্চার আহ্বান’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন প্রজন্মকে মেজর গনির কীর্তিময় জীবন ও আদর্শ চর্চা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শনিবার সুপ্রীমকোর্টে এক আলোচনা সভায় এ অনুরোধ করেন তিনি। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠতা মেজর আবদুল গনির ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মেজর গনি পরষিদ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, মেজর গনির আদর্শ ও কর্ম প্রতিটি বাঙালীর জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তিনি বাঙালী জাতির কৃতী সন্তান হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি। মেজর গনি ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টবাদী। এই গুণী মানুষকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তার পারলৌকিক মুক্তি কামনা করছি। মেজর গনি একজন শিক্ষানুরাগী ছিলেন। দেশে আজ যে বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজ এবং সামরিক স্কুল তা প্রতিষ্ঠায় তিনিই উদ্যোগী হয়ে প্রাদেশিক পরিষদে দাবি তুলেছিলেন। শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণমুক্ত সমাজ বির্নিমাণে মেজর গনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তাকে সরকার ১৯৮১ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত করে শ্রদ্ধা জানায়। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে মেজর গনি পরিষদ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন কবি ও লেখক ফৌরদৌসি মাহমুদ। মেজর গনি পরিষদের সভাপতি আয়কর আইনজীবী মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ফারুক খান ও দিদারুল আলম দিদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল (অব) ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম, এফবিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়, এ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু, মেজর গনি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শরীফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মেজর গনির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন নাগাইশ দরবার শরীফের পীর মাওলানা মোশতাক ফয়েজী। উল্লেখ্য, মেজর গনি ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ নবেম্বর জার্মানি সফরের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
×