ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশ্রয় চাইতে পারবেন না তারা

সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে শীঘ্রই ট্রাম্পের নতুন আদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১০ নভেম্বর ২০১৮

  সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে শীঘ্রই ট্রাম্পের নতুন আদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন একটি আদেশে স্বাক্ষর করলে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসীরা আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর বিবিসির। মার্কিন বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইন্টেরিম ফাইনাল রুল’ নামের ওই আদেশের ফলে প্রেসিডেন্টের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিরা আর আশ্রয় পাবেন ন। প্রেসিডেন্ট চাইলে ‘জাতীয় স্বার্থে’ অভিবাসন প্রক্রিয়া আটকে দিতে পারেন বলেও এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা। চলতি বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারাভিযানে অবৈধ অভিবাসীদের আটকাতে কার্যকর একটি অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মধ্য আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ছুটে যাওয়া হাজারও অভিবাসন প্রত্যাশী কারাভানের দিকেও ছুড়েছিলেন একের পর এক তীর। ওই কারাভান ঠেকাতে সীমান্তে সৈন্যও পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়তে চাওয়াকে তিনি ‘বহিঃশত্রুর আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত এ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ হোয়াইটেকার ও স্বরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান কার্সজেন নিয়েলসন বৃহস্পতিবার ‘ইন্টেরিম ফাইনাল রুল’ নিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, ‘সকল বহিরাগতের প্রবেশ স্থগিতের’ এবং ওই বহিরাগতদের মার্কিন স্বার্থের জন্য ‘ক্ষতিকারক’ মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনে তাদের ওপর ‘উপযুক্ত যে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার’ ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। এর ফলে, প্রেসিডেন্ট যদি মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ দেন, সেক্ষেত্রে যারাই ওই সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকবে তাদের আশ্রয় প্রার্থনারও সুযোগ থাকবে না। প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন কিংবা আশ্রয় প্রার্থনার যোগ্যতায় সীমাবদ্ধতা আছে এমন বহিরাগতদের আটকাতে কংগ্রেস যে ক্ষমতা দিয়েছে আজ আমরা তা ব্যবহার করতে যাচ্ছি। বিস্তৃত আকারে এই আদেশ কার্যকর হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে তারা। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বল্প সময়ের মধ্যে এ আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন। মার্কিন আইনে নিজ দেশে সহিংসতার শিকার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনা করা যে কারও আবেদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এর ফলে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের আবেদনও বিবেচনায় নিতে হতো মার্কিন প্রশাসনকে। ট্রাম্প ‘ইন্টেরিম ফাইনাল রুল’ আদেশে স্বাক্ষর করলে এ বাধ্যবাধকতা এড়াতে পারবে তারা। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আশ্রয় প্রার্থনাকারীদের ‘শরণার্থী’ হিসেবে বিবেচনার আন্তর্জাতিক নিয়মের বদলে মার্কিন প্রশাসনের নিতে যাওয়া নতুন এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে বিভিন্ন সংগঠন। আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন একে ‘অবৈধ’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও ট্রাম্প প্রশাসনের এ অমানবিক পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
×