ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ শ’ টাকা খরচে বিষমুক্ত সবজি

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১০ নভেম্বর ২০১৮

পাঁচ শ’ টাকা খরচে বিষমুক্ত সবজি

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার চালানো হয়েছে। এ সময় বিষের ব্যবহার না করে জৈব পদ্ধতিতে পোকা দমনের জন্য ২০ কৃষকের মাঝে ১০০টি ফেরেমন ট্রাপ (হরমনের মাধ্যমে পোকা দমন ফাঁদ) দেয়া হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার যশোর সদর উপজেলার নোঙ্গরপুর গ্রামের সবজির ক্ষেতে এ ট্রাপ স্থাপন করেন। প্রথম যশোরের নোঙ্গরপুরসহ আশপাশের গ্রাম সবজি উৎপাদন এলাকা হিসাবে পরিচিত। এখানকার মাঠে এখন শীতকালীন সবজি বাঁধাকপির আবাদ হচ্ছে। কৃষকরা ৩৩ শতকের এক বিঘা বাঁধাকপির ক্ষেতে আড়াই হাজার টাকার কীটনাশক ব্যবহার করছেন। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পোকা দমনের জন্য ফেরেমন ট্রাপ ব্যবহার করলে বিঘাতে কৃষকের মাত্র ৫০০ টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে সবজিও নিরাপদ হয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে কৃষকরা ফেরেমন ট্রাপ ব্যবহারে ততটা আগ্রহী হয়নি। যে কারণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা ক্ষেতে ফেরেমন ট্রাপ স্থাপন করে দেন। ফেরেমন ট্রাপ খেতে স্থাপনের আগে কৃষকদের সচেতনতামূলক সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম, আবু ছায়াদ মো. আরিফ প্রমুখ। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘বাঁধাকপির একটি মাত্র ক্ষতিকর পোকা রয়েছে। যার নাম- ডায়মন্ড ব্যাকমথ। এই পোকা দমনের জন্য কৃষকেরা ৩৩ শতকের এক বিঘা বাঁধাকপির ক্ষেতে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার বিষ প্রয়োগ করছে, যা ছয়টি ফেরেমন ট্রাপ স্থাপন করে দমন করা সম্ভব। যাতে খরচ হয় মাত্র সাড়ে চার থেকে ৫০০ টাকা। কিন্তু কৃষকেরা এ বছর এটি ব্যবহার করেনি। যে কারণে উদ্যোগ। যা কৃষকদের ভীষণ কাজে আসবে।’ কৃষকেরা কেন এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়নিÑ জানতে চাইলে বদরুল আলমসহ কয়েক কৃষক বলেন, ‘একটি মাঠে সব চাষীকেই এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। তা নাহলে এ পদ্ধতি ব্যবহারের সফলতা পাওয়া যায় না। আমরা কেউ কেউ ব্যবহার করতে চাইলেও অন্যরা করতে আগ্রহী হয়নি। যে কারণে ফেরেমন ট্রাপ পোকা দমকের একটি আদর্শ পদ্ধতি হওয়া সত্ত্বেও আমরা ব্যবহার করছি না। -সাজেদ রহমান, যশোর থেকে
×