ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু অংশ নেয়ায় দেশ স্বাধীন হয় ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১০ নভেম্বর ২০১৮

  সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু অংশ নেয়ায় দেশ স্বাধীন হয় ॥ তোফায়েল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু সত্তরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। শুক্রবার ৪৭তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না তাদের পরিণতি মওলানা ভাসানীর দলের মতো হবে। ’৭০-এর নির্বাচনে মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে ৭২-এর সংবিধানের কয়েকটি ধারা বর্তমান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এই কয়েকটি ধারা বাদ দিলে বলা যায় আমরা ৭২-এর সংবিধানে ফিরে এসেছি। জাতীয়ভাবে ৪ নবেম্বরকে সংবিধান দিবস ঘোষণা করার দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, এবারের মতো আর সুযোগ নেই। কারণ সংসদ ইতোমধ্যে অকার্যকর হয়ে গেছে। তবে আগামীবার ক্ষমতায় আসলে বিষয়টি আমি সংসদে উত্থাপন করব। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ভেতরে থেকে আপনাদের যে সকল দাবি মেনে নেয়া সম্ভব প্রধানমন্ত্রী তা মেনে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করবে না। এ সময় তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কারণ ছিল ৭২-এর সংবিধান। কারণ এ সংবিধান পাকিস্তানের দোসররা মেনে নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ড. কামাল হোসেন। তার প্রণীত সংবিধানে তিনি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। আজ সেই ড. কামাল হোসেন ৭২-এর সংবিধান হত্যাকারী জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ সময় শাহরিয়ার কবির ৭২-এর সংবিধানকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির দস্য অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, সংবিধান জনগণের জন্য রক্ষা কবজ। সংবিধান জনগণকে নিরাপত্তা দেয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়, এমনকি সভা-সমাবেশ করার অনুমতিও দেয়। তবে সভা-সমাবেশের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার কোন অধিকার সংবিধান দেয় না। যারা সভা-সমাবেশের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে তাদের বিচার সংবিধানের আলোকেই করা হবে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিচারপতি শামসুল হুদা, শিল্পী হাসেম খান, বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সাহাবুদ্দীন চুপ্পু ও শহীদ সন্তান শমী কায়সার।
×