ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ষোলোয় এক পা রিয়াল মাদ্রিদ ও বেয়ার্ন মিউনিখের

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ৯ নভেম্বর ২০১৮

শেষ ষোলোয় এক পা রিয়াল মাদ্রিদ ও বেয়ার্ন মিউনিখের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে সহজ জয়ে নকআউট রাউন্ডে এক পা দিয়ে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বেয়ার্ন মিউনিখ। বুধবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাব ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অতিথি রিয়াল। গ্রুপের আরেক ম্যাচে রাশিয়ান ক্লাব সিএসকেএ মস্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর গন্ধ পাচ্ছে ইতালির এএস রোমাও। ‘ই’ গ্রুপে গ্রীসের এ্যাথেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখ। তাদের পথ অনুসরণ করছে ডাচ ক্লাব আয়াক্সও। পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান ভালভাবেই ধরে রেখেছে তারা। ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে বেনজেমা রিয়ালের হয়ে ২০০ গোলের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছেন। নতুন কোচ সান্টিয়াগো সোলারির অধীনে এটি ছিল রিয়ালের প্রথম ইউরোপিয়ান ম্যাচ। পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলা রিয়ালকে ২০ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দেন বেনজেমা। যদিও গোলটির আগে মিলান হাভেলকে কনুই দিয়ে সার্জিও রামোসের আঘাত করার বিষয়টি খুব একটা বড় চোখে দেখেননি জার্মান রেফারি ডেনিজ আয়াটেকিনের। তিন মিনিট পর কাসেমিরো সফরকারীদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৩৭ মিনিটে বেনজেমা নিজের দ্বিতীয় গোল করার তিন মিনিট পর গ্যারেথ বেলকে দিয়ে দলের চতুর্থ গোলটি করিয়েছেন। ৬৭ মিনিটে টনি ক্রুস শেষ গোলটি করলে মাদ্রিদের বড় জয় নিশ্চিত হয়। রিয়ালের ইনজুরি আক্রান্ত রক্ষণভাগকে এই ম্যাচে খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেনি স্বাগতিক প্লাজেন। তবে নবম মিনিটে প্যাট্রিক রোসোভিস্কর ক্রসবারে লেগে ফেরত না আসলে তখনই হয়তো এগিয়ে যেতে পারতো চেক প্রজাতন্ত্রের চ্যাম্পিয়নরা। ১৪ মিনিটে রামোসের চ্যালেঞ্জে হাভেলের নাকে আঘাত লাগে। তারপরও রক্তাক্ত নাক নিয়ে তিনি কিছুক্ষণ মাঠে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩৮ মিনিটে এই মিডফিল্ডারকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হন প্লাজেন কোচ ভারবা। তার আগেই অবশ্য রিয়াল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে রামোস ও বেনজেমার স্থানে সোলারি জাভি সানচেজ ও ভিনসিয়াস জুনিয়রকে মাঠে নামান রিয়াল কোচ সোলারি। এটি ব্রাজিলিয়ান তরুণ ভিনসিয়াসের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে অভিষিক্ত ম্যাচ। আর প্রথম ম্যাচেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ৬৭ মিনিটে তার অসাধারণ পাসেই ক্রুস মাদ্রিদের হয়ে পঞ্চম গোল করেন। লুকাস ভাসকুয়েজের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল না হলে এবং স্টপেজ টাইমে বেল গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে রিয়ালের জয়ের ব্যবধান হয়তো আরও বাড়তে পারতো। এই ম্যাচে রিয়ালের হয়ে ২০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বেনজেমা। ক্লাবের ইতিহাসে সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ফরাসী ফরোয়ার্ড। গত দুই মাসে গোলমুখে বারবার ব্যর্থ হওয়া এই ফরাসী তারকা সবধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচটি ম্যাচে চার গোল করেছেন। ম্যাচ শেষে বেনজেমা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। আর রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়তে চাই। এদিকে পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডোস্কির নৈপুণ্যে এ্যাথেন্সকে সহজেই হারিয়েছে বেয়ার্ন। এই গ্রুপে বেনফিকা হারলে বেয়ার্নের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু তারা ড্র করায় অপেক্ষা বেড়েছে বাভারিয়ানদের। ম্যাচের ৩১ মিনিটে স্পট কিকে গোল করে বেয়ার্নকে এগিয়ে নেন লেভানডোস্কি। ৭১ মিনিটে লেভার গোলেই জয় নিশ্চিত হয় জার্মান পরাশক্তিদের।
×