ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়টি শেষ সিগন্যালের অপেক্ষায়

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৯ নভেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়টি শেষ সিগন্যালের অপেক্ষায়

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়পক্ষ প্রস্তুত। কিন্তু এরপরেও কোথাও যেন কালো মেঘের আভাস প্রতীয়মান। প্রত্যাবাসনে শেষ সিগন্যালটি এখনও মেলেনি। উভয় পক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ নবেম্বর বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। শুরুতে ১৫০ সদস্যের একটি দল টেকনাফের কেরুনতলী ঘাট দিয়ে প্রত্যাবাসিত হওয়ার কথা থাকলেও কক্সবাজার জেলা ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের কোন সূত্র বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। টেকনাফ পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রশাসনের এ ধরনের কোন চিঠি বা মৌখিক নির্দেশনা এখনও আসেনি। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার দফতর সূত্র জানিয়েছে, প্রত্যাবাসন ঘোষিত সময়ে শুরু করার প্রক্রিয়ায় তারা রয়েছে। এদিকে, সীমান্তের ওপারে ঘুমধুমের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গাকে সে দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকার সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তারা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে চায় এবং যারা প্রত্যাবাসিত হবে সে দেশে তাদের অবস্থান কি হবে তাও আগেভাগে নিশ্চিত হতে চায়। উল্লেখ্য, জিরো লাইনে অবস্থানকারী এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাওয়ার জন্য একসময় সে দেশের সেনাবাহিনী মাইকিং পর্যন্ত করেছিল। এখন উল্টো চিত্র প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মংডু জেলার প্রশাসক ইয়েহু সেখানকার গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের গ্রহণে তারা প্রস্তুত। নির্ধারিত ফরম পূরণ করার জন্য প্রত্যাবাসিতদের তিনদিন ক্যাম্পে রাখা হবে। এরপর তাদের পূর্বের আবাসভূমিতে পাঠানো হবে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে উখিয়া টেকনাফের ৩০ আশ্রয় শিবিরে নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।
×