ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের প্রধানতম ভোগ্যপণ্য প্রদর্শনী এ্যাম্বিয়েন্টে শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৯ নভেম্বর ২০১৮

বিশ্বের প্রধানতম ভোগ্যপণ্য প্রদর্শনী এ্যাম্বিয়েন্টে শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের অন্যতম প্রধান কনজিউমার গুডস বা ভোগ্যপণ্য প্রদর্শনী এ্যাম্বিয়েন্টে আসলে এই শিল্পখাতের জন্য একটি মিলনমেলার মতো। এই প্রদর্শনী বা বাণিজ্যমেলার কাঠামো তৈরি হয়, ডাইনিং, গিভিং এবং লিভিং এই তিনটি ধারণাকে কেন্দ্র করে। এই প্রদর্শনীটি বহু খাত নিয়ে একই সঙ্গে কাজ করে বলে এ্যাম্বিয়েন্টে সমগ্র বাজারের একটি সামগ্রিক ধারণা দেয়। আগামী ২০১৯ এর ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির এ্যাম্বিয়েন্টে প্রদর্শনীতে থাকছে একেবারে নতুন ধরনের জিনিস। গত বছরের এই প্রদর্শনীতে বিশ্বের ৮৮টি দেশ থেকে ৪৩৭৬ জন প্রদর্শক এবং ১৬৭টি দেশ থেকে ১,৩৩০০০ জনেরও বেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থী আসেন। বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৩১ জন প্রদর্শক গিয়েছিলেন যাদের নতুন ডিজাইন এবং ট্রেন্ড নিয়ে যাদের ফোকাস অনেক বেশি। বাংলাদেশে গৃহস্থালি সংক্রান্ত নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের ট্রেন্ডে পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ্যাম্বিয়েন্টে নতুন এবং উদ্ভাবনী পণ্যের জন্য একটি অসাধারণ উৎস হিসেবে কাজ করে। এই প্রদর্শনীর তিনটি অংশ আছে, যথা- লিভিং, গিভিং এবং ডাইনিং এবং এর একটি বড় সুবিধা হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এইসব পণ্য আমদানিকারকেরা অন্যান্য দেশের পণ্য দেখে তার মান ও দামের বিচার করে পছন্দ করতে পারবেন। এটা সম্ভব হয় এই জন্য কারণ এশিয়ার বাইরে এ্যাম্বিয়েন্টেই এইসব পণ্যের সবচেয়ে বড় উৎস বলে অত্যন্ত বিখ্যাত। এটাই একমাত্র প্রদর্শনী যেখানে ইতালি হোক বা চীন বা ইথিওপিয়া, পাওয়া যাবে পণ্য প্রস্তুতকারী সব প্রতিষ্ঠানকেই। এ্যাম্বিয়েন্টে ট্রেন্ড ঃ ডিজাইন স্টুডিও আগামী ২০১৯ সালের জন্য কোন স্টাইল চলবে তা নিয়ে গবেষণা করে এবং সেগুলোই এ্যাম্বিয়েন্টে প্রদর্শনীর জন্য বিশেষভাবে শোকেস করা হয়। এই ট্রেন্ড বা ধারার পূর্বাভাস যথাযথ এবং সামঞ্জস্য পূর্ণভাবে দেবার জন্যেই ডিজাইন স্টুডিও টিসারা বিশ্বের চলমান নক্সা, শিল্প, স্থাপত্য, ফ্যাশন এবং লাইফ স্টাইল ধারা নিয়ে কাজ করে। প্রতিটি ট্রেন্ড সামাজিক উন্নয়নের ওপরে ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার এবং প্রকাশ করে বিভিন্ন পরিবর্তিত আকার, নিদর্শন এবং ফাংশন এর ওপরে ভিত্তি করে। এটি ক্রেতাদের জন্য একটি সুন্দর অনুপ্রেরণার অনুভূতি জন্ম দেয় যা একইভাবে কাজ করে পণ্য প্রস্তুতকারীদের ক্ষেত্রেও, যা তাদের তৈরি করে পরবর্তী বছরের এ্যাম্বিয়েন্টে পদর্শনীর জন্য। জনাব স্টিফেন কুরজাওয়াস্কি, মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট গ্রুপের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট সদস্য, ঢাকায় এসেছিলেন এবং স্থানীয় একটি বহু তারকা বিশিষ্ট হোটেলে একটি প্রেস কনফারেন্স করেন এ্যাম্বিয়েন্টে কনসেপ্ট আর ট্রেন্ড নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করার জন্য। জার্মানির পরে শীর্ষ দশ পরিদর্শক দেশ ছিল ইতালি, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তুরস্ক, কোরিয়া এবং সুইজারল্যান্ড। দর্শনার্থীদের মধ্যে সন্তুষ্টির হার ৯৬ শতাংশে স্থির ছিল পুরো সময়টা জুড়েই। চীন, কোরিয়া, রাশিয়া, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, পুরো দক্ষিণ আমেরিকা, তুরস্ক, লেবানন এবং সাইপ্রাসের দর্শনার্থীর সংখ্যা গড়ে অনেক বেশি ছিল আগের চেয়েও।
×