ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামীণ এলাকার সড়ক উন্নয়নে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৯ নভেম্বর ২০১৮

গ্রামীণ এলাকার সড়ক উন্নয়নে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার সড়ক উন্নয়নে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এডিবির বোর্ড সভায় ঋণের এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংস্থার সদর দফতর ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে এতে ব্যয় হবে ২৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এতে এডিবি নমনীয় ঋণ দিচ্ছে ১০ কোটি ডলার। নিয়মিত ঋণ হিসেবে আরও ১০ কোটি ডলার দেবে সংস্থাটি। আর সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে আট কোটি ৫৩ লাখ ডলার। প্রকল্পের আওতায় ৩৪ জেলার এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে কাজ করা হবে। ফলে উন্নত হবে গ্রামের আরও ৪০ শতাংশ সড়ক। প্রায় পাঁচ কোটি ১৫ লাখ কৃষি নির্ভর মানুষ এর সুফল পাবে বলে ধারণা দিয়েছে এডিবি। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় এডিবির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সিনিয়র বিশেষজ্ঞ লি মিং তাই বলেন, কৃষিখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশে পল্লী সড়ক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষিখাতের হাত ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ শতাংশ আসলেও এ খাতে মোট শ্রমশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এডিবির অর্থায়নে নেয়া প্রকল্পটি সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নেয়া গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। এর ফলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের আয় বাড়বে। অর্থনৈতিক উন্নতিতে কৃষির অবদান বাড়াতে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ এখনও গ্রামে বসবাস করেন। তাদের অধিকাংশই কৃষিতে নির্ভরশীল। পল্লীর নাজুক পরিবহন ব্যবস্থা, বাজারে অংশ নেয়ার পর্যাপ্ত সুযোগের অভাব, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় আর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কয়েকটি দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের কৃষিখাত পিছিয়ে আছে। এডিবি আরও জানায়, সারাবছর সড়ক ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ। গ্রামের মাত্র ২৮ শতাংশ সড়ক বর্ষায় ব্যবহারের উপযুক্ত থাকে। ইউনিয়ন পর্যায়ের ৮৪ শতাংশ সড়ক এখনও কাঁচা। আর উপজেলা পর্যায়ে কাঁচা সড়কের হার ৩৩ শতাংশ। যাতায়াত অবকাঠামোর ত্রুটিতে উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত গ্রামের মানুষ।
×