ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৯ নভেম্বর ২০১৮

উবাচ

বাড়িটি স্ত্রীর নামে দিয়ে দেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিক বিভাজন দূর করার সংলাপ বস্তুত হয়ে ওঠে জমি হারানোর নালিশ জানানো আর বাড়ি ফিরে পাওয়ার আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডাঃ জাফরুল্লাহ প্রথম সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত চেয়েছিলেন। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বাইরে দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন আর জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে সরব এরা। আর আলোচনায় বসলে নিজের জমি কিভাবে রক্ষা হবে সেই প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার আদায়ের চেষ্টা। নিশ্চই প্রধানমন্ত্রী সেই প্রত্যাশা পূরণ করে দিয়েছেন; এজন্য সম্ভবত দ্বিতীয় সংলাপে জাফরুল্লাহকে আর দেখা যায়নি। এর পরের সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তো নিজের বাড়িটি ফেরত চেয়ে বসলেন। যেটি জালিয়াতি করে লিখে নিয়েছিলেন। বললেন, নেত্রী, আমার বাড়িটি কেন কেড়ে নিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জবাবে বলেছেন,বাড়িটি জালিয়াতি করে নিয়ে নিজের ভাইয়ের নামে কেন লিখে দিলেন। পল্লী কবি জসীমউদদীনের মেয়ে হাসনার নামে থাকলে তো আমি কিছু করতাম না। পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী এর উত্তরে বাড়িটি নিজের স্ত্রী হাসনা জসীমউদদীন মওদুদের নামে লিখে দেয়ার আগ্রহও জানিয়ে মওদুদ বলেন- আমি তাহলে এখন বাড়িটি লিখে দেই। যাদের মানসিকতা এই রকম তাদের কাছে গণতন্ত্র, নির্বাচন আর ভোট এসব ছেড়ে দিয়ে জনগণ কী নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকবে? তাফালিং স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংলাপের মধ্যে আবার আন্দোলনের হুমকি দিয়ে করা জনসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন কোন নেতা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তাদের নেতাদের বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেছেন, যারা বড় বড় কথা বলেন এবং হঠাৎ করে যেমন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী যখন মুসলমান হয়, তখন নামাজ-কালাম বেশি পড়ে এবং গরুর মাংস একটু বেশি খায়। এ রকম দু-একজনকে দেখলাম, খুবই তাফালিং করছে। আমি পরিবহন ডিল করি তো, ওরা তাফালিং একটা শব্দ ব্যবহার করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের যে জনসভা, সেখানে যে রকম ‘ভালগারিজম-অবসেনিটি, এটা আবার নতুন করে বাংলাদেশের পলিটিকসে দেখলাম। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পর্যন্ত শালীনতা বজায় রেখে কথা বলা হয়নি। তার নামটিও উচ্চারণ করা হয়েছে অশালীনভাবে। কী কারণে যন্ত্রণা, আমি এটা ভাল করে জানি। দেখলাম মানুষের হতাশা যখন বেড়ে যায় তখন তারা বেপরোয়া হয়ে যায়। আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলনের নামে রাস্তায় নাশকতা করবেন, সহিংসতা করবেন আর আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাব, এটা যেন মনে না হয়। মান্নার জীবন বাজি স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ দানে এবার নিজের জীবনকেই বাজি ধরে বসেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। নিবন্ধন বঞ্চিত নাগরিক ঐক্য নিয়ে তিনি এখন জাতীয় ঐক্যজোটের মাঝারি মানের নেতা। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ছাড়াতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কেউ নিজের জীবন বাজি রাখার কথা চিন্তা করেছেন বলে শোনা যায়নি। কিন্তু মান্না সেখানে জীবনটাই বাজি ধরে বসেছেন। বাপ্পা মজুমদারের খুব জনপ্রিয় গান ‘তুমি আমার বায়ান্ন তাস, তোমার জন্য ধরেছি আমি শেষ দানেও বাজি’ বিষয়টি এমন প্রেমময় না হলেও মান্নার বাজি ধরার ঘটনাটি রহস্যজনক তো বটেই। মান্না যে কথাগুলো বলেছিলেন তা ঠিক এই রকম ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতে দেন না তারা। তাকে জেলেই মেরে ফেলতে চায় সরকার। তার জন্য লড়াই করব, তার জন্য জীবন দেব, তাকে মুক্ত করে ছাড়ব।’ অবশ্য এর একদিন পরে মান্না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের সময় জীবন দেয়ার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পত্রিকাগুলো তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছে। যদিও টেলিভিশন ফুটেজ থাকার বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে নেতা চুপসে যান। এই তো সেদিন নিবন্ধনহীন দলের এই নেতা বলেছেন, এখন তো কিছুই করিনি; তাতেই সরকারের এই অবস্থা...আরও কি করলে কি হবে সেসব নিয়ে বিস্তর কথা বলেছেন। মান্নার সাম্প্রতিক বক্তৃতা শুনলে যে কেউ মনে করবেন আগামী দিনে মান্নাদের সরকারই আসছে। কিন্তু সরকার গঠনের আগে মান্না খালেদা জিয়ার জন্য জীবন দিলে লাভটা কি হবে!
×