ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফটিকছড়ির ৮১ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৯ নভেম্বর ২০১৮

ফটিকছড়ির ৮১ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ৮ নবেম্বর ॥ বৃহত্তম ফটিকছড়িতে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহতের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকা-েও নানা সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত ক্লাস নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরণ করার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভায় ২শ’ ২৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। কোন বিদ্যালয়ে ৪/৫ বছর, কোন কোন বিদ্যালয়ে ৫/৭ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ৮১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলেও তন্মধ্যে ১৮টি বিদ্যালয়ে মামলা জটিলার কারণে শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরা পাঠদান দিয়ে থাকলেও দাফতরিক কাজ পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উত্তর ফটিকছড়ির একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রমের দশা একেবারেই বেহাল। স্কুলগুলোতে মাত্র দুই থেকে তিন শিক্ষক দিয়ে কোন রকম চলছে পাঠদান কার্যক্রম। দুর্গম হওয়ায় ওই ইউনিয়নগুলোর স্কুলে যোগদান করতে চান না কোন শিক্ষক। আবার যোগদান করলেও কিছুদিন পরে শিক্ষা অফিসে তদবির করে বদলি হয়ে যান। কেউ কেউ আবার খোঁজেন ডেপুটেশনে অন্যত্র যাওয়ার পথ। শিক্ষক সঙ্কটে খ-কালীন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস চালানো হয় বলে জানা যায়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর বলেন, উপজেলার ৮১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা করে উধর্তন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার স্কুল জাতীয়করণ করা হয় তখন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা কিছু প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা থাকায় তারা প্রধান শিক্ষকের স্কেল পেয়েছে। কিছু প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ছিল না বিধায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে তাদের মধ্যে থেকে ১৮ জন রিট মামলা করেন। এই মামলা জটিলতায় আইনগতভাবে ১৮টি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, অবশিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ বা পদোন্নতি হতে পারে, হবে বলে জানান তিনি।
×