ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল নিয়ে বিশ্লেষকরা যা বলছেন

ডেমোক্র্যাটদের জন্য ভাল খবর, এশিয়ার জন্য নয়

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৯ নভেম্বর ২০১৮

ডেমোক্র্যাটদের জন্য ভাল খবর, এশিয়ার জন্য নয়

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল শুভ সংবাদ হতে পারে ডেমোক্র্যাটদের জন্য। কিন্তু এশিয়ার জন্য তা হতে পারে অস্বস্তিকর; বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অত্যন্ত সোচ্চার সমালোচকদের মধ্যে একজন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আয়ান ব্রিমার ব্লুমবার্গ নিউ ইকোনমি ফোরামে এক সাক্ষাতকারে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহজাত প্রবৃত্তি তার লো পয়েন্টকে বাড়িয়ে তুলবে। এর মানে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের অনিশ্চিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। বলেন, মাইক পেন্স পাপুয়া নিউগিনিতে আগামী সপ্তাহের এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনের (এপেক) শীর্ষ বৈঠকে এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোর জন্য পরিকল্পনা খসড়া করবেন। এনবিসি নিউজ বুধবার বিকেলে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে ২২৯-২০৬ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং তার নিয়ন্ত্রণ নেবে। তারা ২০১০ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় এ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি ১শ’ আসনবিশিষ্ট সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সিনেটের মাত্র ৩৫ আসনের ভোট হয় মঙ্গলবার। ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ব্রিমার বলেন, আমি আপনাদের অবস্থানে থাকলে বলতাম যে, ‘অনুরোধ ও দাবিতে অত্যন্ত অতিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আচরণে আরও অসাবধানী হয়ে উঠতে পারেন এবং বিশ্বের এ স্থানটির জন্য তার আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।’ মধ্যবর্তী নির্বাচন ট্রাম্পের ওপর বড় ধরনের একটা চাপের সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। তিনি অনেক মানুষের দোষারোপের শিকার হবেন এবং আক্রমণের শিকার হতে যাচ্ছেন। ব্রিমার বলেন, আপনারা স্বচ্ছতার সঙ্গে যা চাইছেন তা হচ্ছে এক ভবিষ্যত স্পষ্ট যুক্তরাষ্ট্র এবং তা দৃঢ়প্রত্যয়যুক্ত ও শক্তিশালী না হলেও, পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে সতর্ক না হলেও আপনারা কোন চমক চান না। আমি মনে করি, ট্রাম্প শাসনের শেষের দু’বছরে বিস্মিত হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা অত্যন্ত বেশি। তিনি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলে এরমধ্যেই কথায় অসাধবানী প্রেসিডেন্টকে কম সংযত মনে হচ্ছে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ট্রাম্প যখন কথা বলেন তখন তিনি কিছুটা সংযত থাকেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পর তার পরিবর্তন ঘটতে পারে। কারণ, প্রেসিডেন্টকে তখন জাতীয় বিষয়ে আকর্ষণ কাড়ার জন্য ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। তিনি এখন আরও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন- যাতে তিনি যা চান তাতে গুরুত্ব দেয় মিডিয়া। ব্রিমার ইতোমধ্যে প্রত্যাশা প্রশমিত করার জন্য এ অঞ্চলের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম আগামী সপ্তাহে এশিয়া-কৌশল বিষয়ে গঠনমূলক প্রস্তাব দেবে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স আগামী সপ্তাহে এ অঞ্চল সফরে আসছেন।
×