ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিরঞ্জন রায়

দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে!

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৯ নভেম্বর ২০১৮

দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে!

॥ দুই ॥ খেলাপী ঋণ ব্যবস্থাপনা খেলাপী ঋণ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। খেলাপী ঋণ অবশ্য বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা। ব্যাংকের প্রধান ব্যবসাই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদান করা। আর ঋণ দিলে একটি অংশ খেলাপী হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এ কারণেই উন্নত-অনুন্নত সকল দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই খেলাপী ঋণ ব্যবস্থাপনা। ঋণ প্রদানে কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং কোন ঋণ খেলাপী হওয়া মাত্র তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, বিশেষ করে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করা খেলাপী ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান। কিন্তু আমাদের দেশে খেলাপী ঋণ ব্যবস্থাপনায় এই ব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না বললেই চলে। তাছাড়া সেই পাকিস্তান আমলের কৃষি ঋণ খেলাপী থেকে শুরু“করে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে ব্যাংক ঋণ প্রদানে উদার নীতি গ্রহণ, আশির দশকে চিনি কেলেঙ্কারি এবং তেলের ড্রামে জল রেখে ভুয়া ঋণ প্রদান, এই শতকের গোরার দিকে বৈদ্যুতিক থাম্বা কেলেঙ্কারি হয়ে বর্তমানের হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে এসে ঠেকেছে। বর্তমানে দেশের খেলাপী ঋণ পুঞ্জিভূত হয়ে এমন পর্যায় পৌঁছেছে যা কোন ব্যাংকের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সরকারী সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সম্মতিতে দীর্ঘমেয়াদী এক উদ্যোগ গ্রহণ করা। একজন ব্যাংকার হিসেবে খেলাপী ঋণ ব্যবস্থাপনা আমার বিশেষ আগ্রহের দিক। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় পত্রিকায় অনেক কলাম লিখেছি। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলাপী ঋণ ব্যবস্থাপনার আলোকে আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপী ঋণ সমস্যা সমাধানের উপায় উল্লেখ করে ছয় পর্বের একটি লেখা স্থানীয় পত্রিকায় লিখেছিলাম বিধায় এখানে আর এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরলাম না। একটি কথা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুধাবন করতে হবে যে, আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপী ঋণ ক্যান্সারের মতো ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। এই সমস্যার সঠিক সমাধান ছাড়া কোন অবস্থাতেই দেশের ব্যাংকিং খাতকে সুশৃঙ্খল করা সম্ভব নয়। ব্যাংক পরিচালনায় পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা ব্যাংকিং খাতে এখন পেশাদারিত্বের বড় অভাব। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং আইনজীবীর মতো ব্যাংকারও একটি বিশেষায়িত পেশা। এই পেশায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে একদিকে যেমন নিয়মিত ব্যাংকিং সংক্রান্ত আইন-কানুন এবং সার্কুলার পড়াশোনা করতে হয়, অন্যদিকে তেমনি ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হয়। রাতারাতি একজন ব্যাংকার হওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেই একজন ভাল ব্যাংকার হতে পারে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে আমাদের দেশে ব্যাংকের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে তুলনায় ভাল পেশাদার ব্যাংকার গড়ে উঠেনি। অসংখ্য মেধাবী ছেলেমেয়ে অনেক আশা নিয়ে, এই খাতে ক্যারিয়ার গড়ার প্রত্যয়ে ব্যাংকে যোগদান করলেও সঠিক পরিবেশ না পাওয়ায় তারা সেভাবে ব্যাংকার হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। কেননা কেউ ভাল পেশাদার ব্যাংকার হিসেবে তখনই গড়ে উঠতে পারবে যখন সে কোন ভাল দক্ষ ও অভিজ্ঞ সিনিয়র ব্যাংকারের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে। আমরাও বেসরকারী ব্যাংকে চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। সৌভাগ্যবশত কিছু প্রথিতযশা ব্যাংকারের অধীনে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম বিধায় কিছুটা ব্যাংকিং সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন অনেক ব্যাংকারই নিজেদের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার পরিবর্তে নানা রকম প্রভাব খাটিয়ে, বিভিন্ন কানেকশন কাজে লাগিয়ে বা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। ফলে তাদের অধীনে কাজ করে ভাল ব্যাংকার হিসেবে কেউ গড়ে উঠতে পারছে না। উল্টো সারাক্ষণ গালমন্দ শুনে হতাশ হয়ে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাংকার সব সময় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিতে চান। কেননা যারা উপযুক্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন না করে উচ্চপদে আসীন হন, তারা সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না এর জন্য সবসময় অধস্তন কর্মকর্তাদের ধমকের ওপর রাখেন যাতে করে সেই সব কর্মকর্তারা পরবর্তীতে আর যেন কোন ব্যাংকিং সমস্যা নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য তাদের কাছে না আসেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন ভাল ব্যাংকার হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ থাকে না, অন্যদিকে তেমনি ব্যাংকের সেবার মান খারাপ হয়। এমনকি ভুলভ্রান্তি, নানা জালিয়াতির ঘটনা এবং খেলাপী ঋণ বেড়ে যাবার মতো ঘটনা ঘটতে থাকে যা এখন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় সমস্যা। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। ব্যাংকিং পেশার উচ্চপদে পদোন্নতি বা নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পেশাগত জ্ঞানার্জনের বিষয়গুলো নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। আমার জানা মতে কয়েকটি ব্যাংক তাদের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার পদ্ধতি চালু করেছে। উদ্যোগটি নিশ্চয়ই প্রশংসনীয় কেননা এতে একদিকে যেমন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাংকারদের পদোন্নতি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে তেমনি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ওপরের পদে যাবার সুযোগ অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি যেন শুধু পদোন্নতি সীমিত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না নয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা নাহলে এই পদ্ধতি পেশাদার ব্যাংকার তৈরির পরিবর্তে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশাই সৃষ্টি করবে যা মোটেই ভাল ফল বয়ে আনবে না। এসব কারণে ভাল যোগ্য এবং পেশাদার ব্যাংকার তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে যাতে করে সৎ ও যোগ্য ব্যাংকাররাই ওপরের পদে যেতে পারেন এবং ব্যাংক পরিচালনায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেন। আর যারা যোগ্যতার পরিবর্তে মামা চাচার জোরে ব্যাংকের চাকরিতে এসেছেন তারা একটি পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারবেন তার বেশি নয়। ব্যাংকিং খাতের বিরাজমান অব্যবস্থা দূরে করে সত্যিকার অর্থে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে এই খাতে ভাল পেশাদার ব্যাংকার গড়ে উঠার পথটি নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ বর্তমানে বিশ্বের ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে প্রযুক্তির মধ্যমে। এখনকার ব্যাংককে বলা হয় প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংক। এই খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার একদিকে যেমন গ্রাহক সেবার মান উন্নতি করে, অন্যদিকে তেমনি জালজালিয়াতির ঘটনাও বহুল অংশে হ্রাস করে। ব্যাংকের প্রতিটা সেবার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন জড়িত থাকে তাই সঙ্গত কারণেই এখানে জালজালিয়াতির সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সেই বিবেচনা থেকেই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায় যা খুব সহজেই জালজালিয়াতির ঘটনাগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মুহূর্তের মধ্যে একাধিক কর্মকর্তার অনুমোদনে একটি ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন হয়, যা মূলত জালজালিয়াতির ঘটনা লাঘবে বড় ভূমিকা রাখে। যেমন ব্যাংকে ব্যবহৃত প্রযুক্তিতে সেই ব্যাংকের কোন শাখার সর্বোচ্চ ঋণদান সীমা, প্রতি ঋণগ্রহীতার জন্য সর্বোচ্চ ঋণসীমার মতো নানারকম শর্ত (প্যারামিটার) সেই প্রযুক্তিতে পূর্বনির্ধারিত থাকেÑ যা অতিক্রম করে কোন ঋণ অনুমোদন করতে গেলে প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সেটি আটকিয়ে দেবে। আমাদের ব্যাংকিং খাতে যদি এ রকম প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হতো তাহলে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ বা বেসিক ব্যাংকের মতো বৃহৎ অঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটত না। উপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সেই প্রযুক্তির মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার ঋণ আবেদন থেকে শুরু করে, শাখা ব্যবস্থাপকের সুপারিশ, প্রধান কার্যালয়ের বিচার বিশ্লেষণ ও অনুমোদন, ঋণ বিতরণ এবং ঋণ আদায়ের মতো সমগ্র ঋণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব। এতে করে সবপক্ষের মতামত, সম্মতি, সুপারিশ এবং অনুমোদনের স্বাক্ষর প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকে যা পরবর্তীতে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে অনেক ব্যাংকারকে জড়িত করে জালজালিয়াতির বা খারাপ ঋণ প্রদানের মতো ঘটনা সংগঠিত করা বেশ কঠিন এবং ঘটলেও জড়িতদের খুব সহজেই দোষী প্রমাণিত করা সম্ভব হয়। এ কারণেই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আমাদের দেশের ব্যাংকে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। অনেক প্রযুক্তি এবং সফটওয়্যারও ব্যবহৃত হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সমগ্র ব্যাংকভিত্তিক প্রযুক্তি (ইন্টিগ্রেটেট সফটওয়্যার) ব্যবহার এখনও তেমন শুরু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করা, ব্যাংকের সেবার মান বৃদ্ধি করা, নানা রকম জালজালিয়াতির ঘটনা রোধ করা এবং ব্যাংকারদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থে ব্যাংকে পরিপূর্ণ প্রযুক্তি (ইন্টিগ্রেটেট সফটওয়্যার) ব্যবহার শুরু করতে হবে। লাখ লাখ ডলার ব্যয় করে এই ধরনের প্রযুক্তি বিদেশ থেকে ক্রয়ের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। আমাদের দেশেই অনেক মেধাবী ও যোগ্য কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদ আছেন যাদের সহযোগিতায় এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। অর্থমন্ত্রী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত করার কথা উল্লেখ করেছেন। উদ্যোগটি নিশ্চয়ই প্রশংসনীয় তবে বাস্তবায়ন করা কঠিন। তাছাড়া তড়িঘড়ি করে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কমানোর উদ্যোগ নেয়া ঠিক হবে না। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অধিকসংখ্যক মানুষের জন্য ব্যাংকিং সেবার দ্বার অবারিত হয়েছে। দেশের ষোলো কোটি মানুষের মধ্যে বারো কোটি মানুষের জন্য সরাসরি ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা না কমিয়ে প্রয়োজনে এগুলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং তদারকির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যে প্রতিষ্ঠান সরাসরি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করবেন যাতে করে এদের কার্যক্রম সকল প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাহিরে রাখা যায়। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে চলছে তাকে সর্বাত্মক সহায়তা দিতে হলে দেশে সুশৃঙ্খল ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকা অপরিহার্য। তাই এখন সময় এসেছে এই কাজটি সম্পন্ন করার এবং অর্থমন্ত্রীর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলই হবে এই কাজের প্রাথমিক উদ্যোগ। (সমাপ্ত) লেখক : ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা [email protected]
×