ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্বপ্নের ঘর’ হরর ছবি ॥ মিলন

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৮ নভেম্বর ২০১৮

‘স্বপ্নের ঘর’ হরর ছবি ॥ মিলন

একজন অভিনয় শিল্পীর জন্য এটা বড় প্রাপ্তি। শুরুটা মঞ্চ দিয়ে। এরপর পা রাখেন টিভি পর্দায়। অসংখ্য দর্শকনন্দিত নাটকে অভিনয় করে নির্মাতাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা। আনিসুর রহমান মিলন। বড় পর্দা অর্থাৎ সিনেদুনিয়ায় তিনি নায়ক মিলন। ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তার বেশ কয়েকটি ছবি । একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছেন, গড়ছেন এবং নতুনভাবে নিজেকে হাজির করছেন। বড়পর্দা ও ছোটপর্দা- দু’জায়গাতেই সমানভাবে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন। তার অভিনীত আসছে সিনেমা এবং সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে কথা বলেন আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : কি কাজ করলেন? আনিসুর রহমান মিলন : চয়নিকা চৌধুরীর বিজয় দিবসের ‘অপেক্ষা’ শিরোনামের একটি নাটকের কাজ শেষ করলাম। নাটকের গল্প মুক্তিযোদ্ধের পটভূমি। মা-ছেলের গল্প। আমি আর সুবর্ণা আপা কাজ করেছি। আমার চরিত্রের নাম মাহবুব। এই প্রজন্মে তার জন্ম। মাহবুরের বাবা মুক্তিযুদ্ধে যায়, ৪৭ বছর পরও ফিরে আসে না। মাহবুবের মায়ের বিশ্বাস স্বামী ফিরে আসবে। এখন ঢাকা শহরের প্রতিটি বাড়ি হয়ে গেছে বহুতল এবং দৃষ্টিনন্দন। মাহবুবদের বাড়িটিই সেই পুরনো একতালা বাড়ি রয়ে গেছে। কারণ, বাবা যদি ফিরে আসে নতুন বাড়ি চিনতে না পারে। এই চিন্তা থেকে তাদের বাড়িটি সেই পুরনোই রয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধার শহীদ পরিবারের একটি গল্প বলার জন্য এক তরুণ সাংবাদিক সাক্ষাতকার নিতে মার কাছে আসে তারপরই গল্পটি অন্যদিকে মোর নেয়। বাবার গল্পটি বেরিয়ে আসে। এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যায়। আনন্দকণ্ঠ : ‘স্বপ্নের ঘর’ সিনেমা সর্ম্পকে বলেন- আনিসুর রহমান মিলন : ‘স্বপ্নের ঘর’ হরর ছবি। এর আগে বাংলাদেশে হরর ছবি দেখিনি। প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ঘর হয়েছে। দর্শক সিনেমা হলে ভাল গল্প দেখতে চায় সে রকম একটি গল্পের ছবি স্বপ্নের ঘর। ‘খুবই সুন্দর এই সিনেমার গল্প। সিনেমার মূল আকর্ষণ এর চরিত্রগুলো। প্রতিটি চরিত্রেই রয়েছে স্বকীয়তা ও বিনোদনের রসদ। সিনেমাটিতে প্রত্যেকের চরিত্র দর্শকদের ভাল লাগবে বলে আশা করছি।’ সাইকো থ্রিলার গল্পের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ভাল লাগছে। নতুন এক অভিজ্ঞতা। কারণ, এ ধরনের গল্প নিয়ে এদেশে খুব একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। আমার কো-আর্টিস্ট যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে অভিনয় করেও ভাল লেগেছে। আনন্দকণ্ঠ : ‘স্বপ্নের ঘর’ ছবির শূটিং শুরু হয়েছিল ‘স্বপ্নবাড়ি’ নামে। নাম পরিবর্তনের কারণ কী? আনিসুর রহমান মিলন : হ্যাঁ, ছবিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ‘স্বপ্নবাড়ি’ নামেই এগিয়েছে। গল্পের সঙ্গেও এ নামের মিল ছিল। যখন ছবিটির নাম নিবন্ধন করে তখন ভুলে স্বপ্নের ঘর লিখে আসে যার কারণে পরবর্তীতে নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন তানিম রহমান অংশু। আনন্দকণ্ঠ : আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ! তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক উত্তেজনায় সিনেমার ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন কি? আনিসুর রহমান মিলন : এ বিষয় নিয়ে আমরা বসেছিলাম। আজ কালকের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে যে, তারিখ পরিবর্তন হবে কি-না। সে ক্ষেত্রে তারিখ পরিবর্তন হলে নয় তারিখের জায়গায় তেইশ তারিখ হয়ত রিলিজ দিতে পারি! সমসাময়িক দেশের কথা চিন্তা করেই আমরা ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। আমাদের প্রথম টার্গেট সিনেপ্লেক্সগুলো। কারণ হরর ছবি সিনেপ্লেক্স এ বসে দেখাই সবচেয়ে বেশি মজার। সব কয়টি সিনেপ্লেক্স এ ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে। আনন্দকণ্ঠ : ভৌতিক গল্পের সিনেমা দর্শক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কতটুকু আশাবাদী? আনিসুর রহমান মিলন : শতভাগ আশাবাদী। একসময় রঙিন রূপবান ছবি হতো। সেগুলো কাল্পনিক পৌরাণিক গল্প। সেগুলো কিন্তু দর্শক পছন্দ করেছে একটানা পাঁচ-ছয় বছর এই সিনেমাগুলো দর্শক দেখেছে। এই প্রথম হরর সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। সেই ক্ষেত্রে দর্শক ছবিটি দেখতে আসবে। ট্রেইলার প্রকাশের পর পজিটিভ সাড়া পেয়েছি। দর্শক ছবিটি দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যবসা সফলের জায়গা কতটুকু হবে জানি না। তবে একটা ট্রেন্ড শুরু হলো হরর সিনেমার তৈরির জন্য। এটার জন্য হয়ত বা আরও ছবি সামনে নির্মাণ হবে । আনন্দকণ্ঠ : দর্শকদের উদ্দেশে কি বলতে চান? আনিসুর রহমান মিলন : দর্শকরা সিনেমার প্রাণ। সিনেমা হলে আসেন সিনেমা দেখেন। আপনাদের জন্যই আমরা কাজ করি। আমার বলতে দুইটি ছবি নিয়েই দর্শকদের উদ্দেশে বলতে হবে ‘স্বপ্নের ঘর’ ও ‘রাত্রির যাত্রী’ সিনেমা দুইটি নিয়েই বলতে হয়। ১৪ ডিসেম্বর ‘রাত্রির যাত্রী’ রিলিজ হবে। বছর শেষে পরপর দুইটি ছবি আসতেছে এটা একজন অভিনেতার জন্য বড় পাওয়া। তিনটিও আসতে পারে। ডিসেম্বর ৭ তারিখ শাহ আলম ম-লের ‘ডনগিরি’ ছবিটিও মুক্তি পেতে পারে। সে রকম খবরই দিয়েছেন ছবিটির পরিচালক। বছরের শেষে এসে দুই মাসজুড়েই দর্শকদের সঙ্গে থাকব এটা ভেবে খুবই ভাল লাগছে। তাই সবাইকে বলতে চাই সিনেমা হলে এসে ছবি দেখেন।
×