ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ম্যাচের সিরিজে কলকাতা ওয়ারিয়র্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে ঢাকা একাদশের শুভসূচনা, গোলদাতা নমিতা কর্মকার ও সুমী আক্তার

হকিতে বাংলাদেশের মেয়েদের ঐতিহাসিক জয়

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৮ নভেম্বর ২০১৮

হকিতে বাংলাদেশের মেয়েদের ঐতিহাসিক জয়

রুমেল খান ॥ একটি দেশের পুরুষ জাতীয় দলের পাশাপাশি যদি মহিলা হকি দল থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক হকি র‌্যাঙ্কিংয়ে রেটিংয়ে অতিরিক্ত কিছু বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যায়। এছাড়া মহিলা হকি দল গঠন করতে পারলে এফআইএইচ থেকে বাহফে অনেক বিশেষ অনুদানও পেতে পারে। তখন এই চিন্তা থেকেই মূলত বাহফে জাতীয় মহিলা হকি দল গঠনের পরিকল্পনা করে। ২০১৬ সাল এ লক্ষ্যে বেশকিছু খেলোয়াড় বাছাই করে গঠন করা হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। তবে দল গঠিত হলেই খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের জার্সিতে এখনও কোন ম্যাচ খেলতে পারেনি। অবশ্য তার আগেই তারা একটি ঐতিহাসিক কাজ করে ফেলেছে। বুধবার তারা ঢাকার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে খেলে ফেলেছে বিদেশী কোন দলের সঙ্গে ম্যাচ। দলটি ভারতের কলকাতা ওয়ারিয়র্স এ্যাথলেটিক ক্লাব। তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে শুভসূচনা করেছে। জয়ী দলের নমিতা কর্মকার ও সুমী আক্তার সীমা একটি করে গোল করে। সফরকারী এই দলে কলকাতা ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের (বরানগর, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উত্তরাখ-, হরিয়ানা, কাশীপুর, কলকাতা, হাওড়া, দমদম) মেয়েরা খেলে। কাজেই এটাকে সর্বভারতীয় দল বলা যেতেই পারে। বুধবার খেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ ফেরদৌস খান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি সাজেদ এএ আদেল, প্রতাপ শংকর হাজরা, সদস্য মোস্তবা জামান পপি প্রমুখ। জাতীয় দল নাম দেয়া না হলেও ঢাকা একাদশ নামেই খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দলের পক্ষে গোল করা লেফট উইঙ্গার নমিতা কর্মকার ম্যাচ শেষে বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই ম্যাচে খেলে, গোল করে এবং জিতে অনেক ভাল লাগছে। আমরা জিতবোই, এমনটা ভেবে খেলিনি। তবে ভাল খেলবো, এটা লক্ষ্য ছিল। যাহোক, প্রথম ম্যাচে জিতে এখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। চেষ্টা করব দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতেতে।’ এই প্রথমবারের মতো বিদেশী কোন মহিলা হকি দল খেলতে এসেছে। স্বাধীনতার পর এমন একটি টুর্নামেন্টকে বাংলাদেশের মেয়েরা স্মরণীয় করে রাখলো প্রথম ম্যাচেই জিতে। ইতিহাসের অংশ হলো তারা। দলের কোচ হেদায়েতুল ইসলাম রাজীব প্রায় দু’বছর ধরে দলটিকে গড়ে তুলেছেন তিল তিল করে।
×