অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রবৃদ্ধির হাত ধরেই বিশ্বের প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশের তালিকায় উঠে আসছে বাংলাদেশ। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ জায়গা করে নেবে বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায়। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে বৈষম্য বাড়ছে, তাতে শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার ফল সুখকর কিংবা টেকসই কোনটাই হবে না। বরং এ অগ্রগতি দেশকে ঠেলে দিতে পারে সামাজিক অসন্তোষের পথে।
আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকা কিংবা একের পর এক মেগা প্রকল্পের রাতদিনের ব্যস্ততার ছবিই বলছে বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। মধ্য আয়ের পথযাত্রায় প্রবৃদ্ধি এখন ৮ ছুঁই ছুঁই। সমানতালে বেড়ে মাথাপিছু আয়ও প্রায় ১৮শ’ ডলার। এসব কিছুই বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবশালী দেশের তালিকায়। আইএমএফের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণ বলছে, আগামী ৫ বছরে বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় উঠে আসবে বাংলাদেশ। আর এইচএসবিসি জানাচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ১৬ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ হবে ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
মার্কিন সংস্থা ওয়েলথ এক্সের তথ্যানুযায়ী, দেশের ভেতরে রাতারাতি অতিধনী বাড়ার ঘোড়দৌড়ে চীন, ভারত কিংবা যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বে শীর্ষে এখন বাংলাদেশ। বিপরীতে সমানতালে বাড়ছে আয় বৈষম্য। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ থেকে ১৬, এই ৬ বছরে দেশের শীর্ষ ৫ শতাংশ পরিবারের আয় যেখানে বেড়েছে প্রায় ৫৭ শতাংশ উল্টো দিকে সবচেয়ে গরিব ৫ ভাগ মানুষের আয় কমেছে ৫৯ শতাংশ। আর গ্রামের মানুষকে আয়ের চেয়ে ব্যয়ই করতে হচ্ছে বেশি। সবমিলিয়ে বৈষম্য পরিমাপের যে জিনি সহগ, তা এই ৬ বছরে ০ দশমিক ৪৫ থেকে বেড়ে এখন ০ দশমিক ৪৮। বিবিএসের তথ্য বলছে, ভাল নেই মধ্যবিত্তও। শীর্ষ ৫ শতাংশ ধনীর পরই, যে উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী রয়েছে, দেশের মোট আয়ে কমছে তাদের অংশও।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ৮ দেশ ইরান থেকে তেল কিনতে পারবে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইরানের তেল রফতানি, শিপিং ও আর্থিক খাতে ৫ নবেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা। ফলে ইরান থেকে তেল ও কনডেনসেট আমদানি করতে পারবে না কোন দেশ। এ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান ও দেশ। তবে ৮টি দেশকে ইরান থেকে তেল কিনতে বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।