ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হোয়াইট হাউসকে নিয়ন্ত্রণে রাখব ॥ ন্যান্সি পেলোসি

চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৮ নভেম্বর ২০১৮

চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প

মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। এছাড়া এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানদের একচ্ছত্র প্রাধান্য ক্ষুণœ হলো। সিএনএন। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট পার্টির নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে নারী, তরুণ ও ভিন্ন বর্ণের প্রার্থীরা রয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদ এখন আগের চেয়ে জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠল। তবে সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠা অব্যাহত থাকায় ২০২০ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তাদেরও আশাবাদী হওয়ার সুযোগ থাকল। আগামী নির্বাচন যে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে সে ইঙ্গিতও এখান থেকে স্পষ্ট পাওয়া যায়। আগামীতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের রাজনৈতিক দর কষাকষি আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মধ্যবর্তী নির্বাচন মার্কিন রাজনীতির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছে। ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের বেশিরভাগ বসবাস বড় শহর ও শহরতলী এলাকায়। অন্যদিকে শ্বেতাঙ্গ, শ্রমজীবী ও রক্ষণশীল ভোটারদের বেশিরভাগের বসবাস পল্লী অঞ্চলে। তাদের দৃষ্টিতে ট্রাম্প সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক। প্রতিনিধি পরিষদ হাতছাড়া হওয়া সত্ত্বেও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারাকে তাই বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন ট্রাম্প। পূর্বসূরি অনেক প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দলীয় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন, এই ধারা থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে আসতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে তিনি টুইটারে ‘বিশাল সাফল্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন’। ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হাতে পেয়েই ট্রাম্পের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সাবেক স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, তারা হোয়াইট হাউসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন। পেলোসি সম্ভবত আবারও স্পীকার হতে পারেন। তিনি বলেছেন, ‘ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকানদের চেয়েও আজকের দিনে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর সাংবিধানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’ ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সিনেটে তাদের ফল কিছুটা হতাশব্যঞ্জক। মিসৌরি, ইন্ডিয়ানা ও নর্থ ডাকোটায় তাদের আগের আসনগুলো হাতছাড়া হয়েছে। ওই অঙ্গরাজ্যগুলোতে ট্রাম্প তুমুল জনপ্রিয়। একই সঙ্গে ফ্লোরিডায় এ্যান্ড্রু গিলামের হেরে যাওয়াটাও ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃখজনক। জিততে পারলে তিনি হতেন ওই অঙ্গরাজ্যের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান গবর্নর। অন্যদিকে উদীয়মান ডেমোক্র্যাট তারকা বেটো ও রুরকেও ব্যর্থ হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের আশা ছিল তিনি টেক্সাসের বর্তমান সিনেটর টেড ক্রুজকে পরাজিত করতে পারবেন, কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। উল্লেখ্য, টেড ক্রুজ ইতিপূর্বে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আগামী নির্বাচনে দলের নমিনেশন চাইতে পারেন। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমেক্র্যাটিক পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা দলের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। দু’বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে দেয়ার পর দলটির সমর্থকরা হতাশ হয়েছিল।
×