ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোগান্তি কমবে কবে?;###;মোমেনা আক্তার

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ অবিরাম কলড্রপ!

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৮ নভেম্বর ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ অবিরাম কলড্রপ!

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফোন বা মোবাইল কল। কথা বলতে বলতে যদি অনাকাক্সিক্ষতভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সেটাই হয় ড্রপড কল। বর্তমানে এটি বড় আকার ধারণ করেছে। গ্রাহকরা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। ফিরতি এসএমএস এ কলড্রপের টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছে না। অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর সম্প্রতি তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মোবাইল অপারেটরদের গড়ে ২২২ কোটি মিনিট কলড্রপ হচ্ছে। ৪ অপারেটর-গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক এসবের মধ্যে কলড্রপের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রবিতে। গত সেপ্টেম্বরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রামীণের কলড্রপের পরিমাণ ৫ কোটি ৬৮ লাখ এবং রবির কলড্রপের পরিমাণ ৫ কোটি ৭৪ লাখ। বলা হয়, গ্রামীণ ও বাংলালিংক অপারেটরের কলড্রপ কিছুটা কমলেও রবিতে বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে গ্রাহককে বিভ্রান্ত করছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিভিন্ন অপারেটরদের ক্ষতি পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন; সেইসঙ্গে প্রতি মাসের হিসাব বিটিআরসিকে জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু একটি বাদে আর কোন অপারেটর এমনটা করেনি। আবার মোবাইল অপারেটরদের তথ্যমতে, অপারেটরের মূল্য বেশি হওয়ায় পর্যাপ্ত তরঙ্গ কিনতে পারে না তারা। তাছাড়া তারা ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) এর ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ককে দায়ী করেন। কলড্রপ যে একদম থাকবে না, এমনটা নয়। বিভিন্ন কারণেই এটি হয়। কিন্তু বিভিন্ন অপারেটরদের একটু সচেতনতাই কলড্রপ কমাতে পারে বলে মনে হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় বিজ্ঞাপন বন্ধ করলে গ্রাহকদেরও বিভ্রান্তি কমবে। এছাড়া বিটিআরসিকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে খোঁজ নিলে প্রতিকার আসতে পারে। সুযোগ সন্ধানী অপারেটরদের গ্রাহকদের অভিযোগের আলোকে জবাবদিহি করলে ফল মিলতে পারে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট থেকে
×