স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মঙ্গলবারের ফেডারেশন কাপ ফুটবলে না হারলেও টুর্নামেন্ট থেকে ঠিকই বিদায় নিতে হয়েছে নোফেলকে। ৩ খেলায় ১ ড্র ও ২ হারে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে তলানিতে আছে তারা। পক্ষান্তরে জিততে না পারলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া আটকায়নি বসুন্ধরার। এই ম্যাচ দিয়েই ২১ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের অবসান ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল নোফেলের ফরোয়ার্ড আকবর হোসেন রিদনের। কিন্তু এই ম্যাচে অবসর নেননি তিনি। ম্যাচ শেষে এর কারণও অবশ্য জানিয়েছেন জনকণ্ঠকে, ‘সমর্থকদের চাপে অবসরের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিলাম। তাছাড়া মোহামেডানও অনুরোধ করেছে আসন্ন প্রিমিয়ার লীগে তাদের বিরুদ্ধে খেলে যেন অবসর নিই।’
মঙ্গলবারের ম্যাচে নোফেল এতটাই ভাল খেলেছে, তাদের বরং না জেতাটাই ছিল বিস্ময়ের। সুযোগ পেলেই তারা প্রচ- চাপ সৃষ্টি করেছে বসুন্ধরার ওপর। তাদের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছেড়েছে। ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পেতেই বসুন্ধরাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৬ মিনিট। ৩৭ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় তারা। ৩৭ মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ-পরিকল্পিত আক্রমণ করে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। বাঁপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে যায় তারা। মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাঁ পায়ে উড়ন্ত ক্রস ফেলেন নোফেলের বক্সের মধ্যে। তখন বক্সে ঢুকে পড়েন সুযোগ সন্ধানী সতীর্থ-মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। ইব্রাহিমের ক্রসের সেই বল মাটিতে পড়ার আগেই চমৎকারভাবে ডান পায়ে জালে পাঠিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন জনি (১-০)। ৬১ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে সমতায় ফেরে নোফেল। মিডফিল্ডার মোহাম্মদ রবিন মাঝ মাঠে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এবং দু’জনকে কাটিয়ে সেটা থ্রু পাস দেন সতীর্থ গিনি ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরাকে, যিনি ডি-বক্সের ঠিক মাথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন চমৎকার পজিশনে। তিনি বল ধরেই অসাধারণভাবে নব্বই ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে শরীরটাকে বাঁকিয়ে ছিটকে ফেলেন বসুন্ধরার এক মার্কারকে (ডিফেন্ডার)। তারপর ডানদিক দিয়ে বক্সের ভেতরে বলটা আলতো করে ঠেলে দিয়ে আগুয়ান সতীর্থ মিডফিল্ডার খন্দকার আশরাফুল ইসলামকে। ততক্ষণে বিপদ বুঝে সামনে এগিয়ে এসেছেন বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। কারণ ততক্ষণে চলতি বলে ডান পায়ের নিখুঁত শট নিয়েছেন আশরাফুল। জিকো ডাইভ দিলেও বল তার হাতে লেগে আশ্রয় নেয় জালে (১-১)।