ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপে দাবি না মানলে ৮ তারিখ রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৭ নভেম্বর ২০১৮

সংলাপে দাবি না মানলে ৮ তারিখ রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দিন। মঙ্গলবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ দফা দাবি আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে দিন। এ সময় মির্জা ফখরুল সংলাপে দাবি না মানলে ৮ নবেম্বর রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ করে ৯ তারিখ সেখানে সমাবেশ, পরে খুলনা ও বরিশালে রোডমার্চ ও সমাবেশ এবং তফসিল না পেছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন। জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, জনগণই দেশের মালিক। তাই আপনারাই দেশের মালিক। কিন্তু এখন একটি অনির্বাচিত সরকার দেশের মালিকানা দখল করে রেখেছে। ফলে এখন দেশে আইনের শাসন নেই। তাই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি কোন দলের সদস্য হিসেবে বলছি না। দেশের মালিক হিসেবে আপনারা দাঁড়িয়ে যান। যেভাবে দেশ চলছে তা হতে পারে না। সুষ্ঠু ভোটের জন্য শপথ নিন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন কারও সঙ্গে আপোস করবেন না। আমরা আপোসহীনভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব। ড. কামাল বলেন, যেভাবে মানুষকে বন্দী করা হচ্ছে এভাবে এটা করা যায় না। এসব অবৈধ, অপরাধ। এসব থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, ঐক্যবদ্ধ থাকব। সমবেত হয়ে সিদ্ধান্ত নেব অন্যায় থেকে দেশকে মুক্ত হতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলে পাহারাদার হতে হবে। ড. কামাল বলেন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দিতে হবে। আইন সবার জন্য সমান। সরকারী দলের জন্য এক আর বিরোধী দলের জন্য অন্য আইন হতে পারে না। স্বাধীন বাংলাদেশে এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন, কাউকে বেআইনীভাবে গ্রেফতার করা অপরাধ। এ সরকার যে অন্যায় করছে একদিন এর জবাব দিতে হবে। ড. কামাল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তারা বলেছিল এটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আদালতে বলেছিল শীঘ্রই আরেকটি নির্বাচন দেয়া হবে। একে একে পাঁচ বছর চলে গেল। এ সরকারের কথার এক পয়সার দাম নেই। জনসভায় আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে, বাস বন্ধ করে জনগণকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, ঐক্যবদ্ধ থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। যেনতেনভাবে বিরোধীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা চলবে না। তিনি বলেন, অমি অবশ্যই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, সঙ্গে অন্যান্য রাজবন্দীর মুক্তি চাই। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান চাই। কিন্তু সংলাপ নিয়ে নাটক করলে চলবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনাকে চলে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে। ফখরুল বলেন, জনসভা থেকে কিছু দূরে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি যেটা আশা করেছিলেন, আজকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ একমঞ্চে উঠেছেন। তিনি বলেন, সংলাপে সরকারী দলের নেতারা বলেছিলেন গ্রেফতার-হয়রানি করা হবে না। কিন্তু আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আজকেও আমাদের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নয়ত আমরা তা মেনে নেব না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব। ফখরুল বলেন, বুধবার আবারও সংলাপ হবে। আমরা শান্তি চাই। অশান্তিতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু সংলাপ নিয়ে কোন নাটক করলে হবে না। সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া জেলে যাবার সময় বলেছিলেন, কারাগার আমি ভয় পাই না। দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের নির্দেশনা খালেদা জিয়া দিয়ে গেছেন। আজ আমরা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ প্রক্রিয়াতেই দুঃশাসন থেকে মুক্তি, জনগণের শাসন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ হাজার ৩৭১টি মামলা হয়েছে। আমরা আর গ্রেফতার হতে চাই না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করব। জনগণের সরকার গঠন করতে চাই। প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব সরকারের উদ্দেশে বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, গায়েবি মামলা বন্ধ করতে হবে, নইলে খবর আছে। জনতার আদালতে বিচার হবে। তিনি বলেন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে তা না হলে জাতির ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, এটা কোন দলের জনসভা নয়, এটা জাতীয় ঐক্যের জনসভা। সরকারকে বলব, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে দেখে যান, মানুষ কিভাবে জেগে উঠেছে। এখন আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করলে হবে না, গ্রামে-গঞ্জে যেতে হবে। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দাবি মেনে নিন, নইলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি দেশের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান? আপনারা কি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান? সবাই সমস্বরে হ্যাঁ বলে চিৎকার করতে থাকেন। সরকার ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি না মানলে সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ১০ বছরের শাসনে আওয়ামী লীগ সরকার অনেক উন্নতি করেছে, সেটি দুর্নীতির উন্নয়ন। তিনি বলেন, সংলাপের মাধ্যমে একটা সমাধান হবে ভেবেই আমরা সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলাম। সরকার এতে সাড়া দিয়েছে, এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে সরকার একদিকে সংলাপের কথা বলছে, অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে। খালেদা জিয়াকে জেলে রাখবে। আবার তফসিল ঘোষণা করবে। এ ধরনের ভিন্ন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। মওদুদ বলেন, যদি সরকার সংলাপে আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আন্দোলনের কোন বিকল্প থাকবে না। সেভাবেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আজ আপনারা যারা জনসভায় আছেন, তারা যদি মাঠে নামেন, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সরকার যদি মনে করে ’১৪ সালের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে, তাহলে ভুল করবে। এবার আর তা সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মওদুদ বলেন, আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৪টি মামলা থাকা অবস্থায় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের বৈধতা দেবেন। কিন্তু, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সেভাবে মুক্তি নেননি। এখনও তিনি প্যারোলে মুক্তি নেবেন না। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ’৭১-এ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেভাবে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম তেমনিভাবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। তিনি বলেন, আমি বিএনপি নয়, ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছি। বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আজকের জনস্রোত প্রমাণ করে, মুক্ত খালেদার চেয়েও বন্দী খালেদা আরও শক্তিশালী। তিনি বলেন, এ সরকার শুধু বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করেনি, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদেরও অত্যাচার করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। বিএনপির একজন নেতাকর্মীকেও ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রলয় আসছে, চোখ বন্ধ করে থাকলেও এই প্রলয় বন্ধ হবে না। ভাবতে পারেন গুম-খুন-গ্রেফতার করলে আন্দোলন থেমে যাবে। কিন্তু না আন্দোলন থামবে না। আর মাত্র কয়েকটি দিন আন্দোলন করব এবং এই সরকারকে জায়গামতো পাঠিয়ে দেব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা দেখুন, এই মঞ্চে সবাই রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা। জিয়াউর রহমানের কথা শুনেননি, এমন মুক্তিযোদ্ধা নেই। তার সূর্য সন্তানরা থাকতে এদেশে আর কোন প্রহসনের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। আজকে যারা গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে, তারা রাজাকার, তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। তারা কয়েকটা পজেটিভ পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামাতে চায়। দেশেও পজেটিভ পুলিশ মাত্র ১০ পার্সেন্ট। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এমন কোন মায়ের পুত্র নেই, খালেদাকে জেলে রাখবে। সময় এসেছে, মুক্তি দিতেই হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ অতীতেও বাকশাল প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, এ দেশের মানুষের রক্তে গণতন্ত্র বহমান। তাই এটা মানুষ মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, সরকারকে সাত দফা দাবি দিয়েছি, জোর করে কোন নির্বাচন করা যাবে না। ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করবে। সরকার যদি মনে করে, ডিসি-এসপি দিয়ে আবার ’১৪ সাল মার্কা নির্বাচন করবেন, এটা আর বাংলার মাটিতে হবে না। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর সিলেট ও চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। সব জায়গায় মানুষ এখানকার মতো বলেছে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, আমরা ভোট দিতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের এক নম্বর কথা শেখ হাসিনা ও বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচন হবে না। সংলাপে গেলাম, আমাদের কোন দাবি মানতে চায় না, কিন্তু বলেন সুষ্ঠু ভোট চান। এবার মুখে মুখে নয়, লিখিত বক্তব্য রাখতে চাই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য প্রয়োজনে জীবন দেব তবুও তাকে মুক্ত করব। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ সরকার দশ মাসে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ হত্যা করছে বিনাবিচারে। এ ছাড়া এ সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির কারণে সরকারের উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ যেভাবে হাজার হাজার লোক হাজির হয়েছেন, আপনাদের কার কী দায়িত্ব তা মনে রাখতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাই ভোটের দিন এভাবে হাজার হাজার লোক উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, একটি শাসক দল যখন অত্যাচার শুরু করে, বুঝতে হবে তাদের বিদায় কাছাকাছি। আমি সাত দফার বিজয় দেখতে পাচ্ছি। বিজয় হবেই। বিএনপি জোটের শরিক এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে কোনও নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন আপোসও নেই। জাতীয় পার্টির মহাসচিব (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন অভিযাগ করেন, গত ৮/৯ বছরে সরকার ৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। শেয়ারবাজার থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট করেছে। তিনি বলেন, সরকার বিগত দিনের মতো নির্বাচন খেয়ে ফেলতে চায়। ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা না মানলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ (জেএসডি) সভাপতি আসম রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া ফেরদৌসি, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, বিকল্প ধারার (একাংশ ) সভাপতি নুরুল আলম বেপারী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন ফারুক, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুর রকিব প্রমুখ।
×