ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার নেপথ্যে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৭ নভেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার নেপথ্যে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পাইপলাইনে এলএনজি (তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ শুরুর পর চট্টগ্রামে গ্যাস সঙ্কট অনেকটাই কেটেছিল। কিন্তু সরবরাহ লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় ফের চট্টগ্রাম নগরী পড়েছে দুর্ভোগে। হঠাৎ করে এলএনজি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে হিমশিম অবস্থা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল)। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র ও একটি সার কারখানার উৎপাদন। কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনালে সরবরাহের প্রক্রিয়ায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত শনিবার বন্ধ হয়ে যায় এলএনজি সরবরাহ। এতে করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো বিকল্প কোন পথই খোলা ছিল না। সঙ্গত কারণেই গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। শীঘ্রই এ সঙ্কট কেটে যাবে, এমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, মহেশখালীর পাইপলাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার থেকেই নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, ষোলশহর, বাগমনিরাম, দেওয়ানবাজার, বাকলিয়াসহ বিরাট এলাকা গ্যাসশূন্য ছিল বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা। যে সকল এলাকায় গ্যাস ছিল সেখানেও চাপ খুবই কম। ফলে গৃহস্থালির কাজে বিঘœ ঘটে। চরম দুর্ভোগ হয় রান্নার কাজে। কেজিডিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমদ মজুমদার সোমবার জনকণ্ঠকে জানান, এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ার পর জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। চট্টগ্রামে গ্যাস দিতে হবে না বিধায় অন্য জেলায় প্রদান করা হয়েছে নতুন গ্যাস সংযোগ। পাশাপাশি এলএনজি এসেছে বলে চট্টগ্রামেও সংযোগ বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ করে এলএনজি বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়তে হয় বলে স্বীকার করে তিনি জানান, আকস্মিক এ সঙ্কট মোকাবেলায় বিকল্প কোন পথও খোলা ছিল না। ফলে চট্টগ্রাম পাওয়ার স্টেশন এবং একটি সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম এলএনজি ও জাতীয় গ্রিড মিলিয়ে ৩৮০ থেকে ৩৯০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়ে আসছিল। এমন সময়ে এলএনজি বন্ধ হলো, যখন জাতীয় গ্রিড থেকে আগের মতো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে জাতীয় গ্রিড হতে দৈনিক ২১০ থেকে ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দিয়ে কোন রকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে। কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হতে পারে তা অনিশ্চিত। কেননা, এটি নির্ভর করছে পাইপলাইনের ত্রুটি দূর হওয়ার ওপর।
×