ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেড

বিনিয়োগের শতকোটি টাকা ফেরত নিতে চান জাপানী উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৭ নভেম্বর ২০১৮

বিনিয়োগের শতকোটি টাকা ফেরত নিতে চান জাপানী উদ্যোক্তা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেসরকারী খাতের একমাত্র সরকার অনুমোদিত জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেডে বিনিয়োগের জন্য জন্য ২০১২ সালে ১০৪ কোটি টাকা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন ইউতাকা আকানি নামের এক জাপানী। শেষ পর্যন্ত এই অর্থ বিনিয়োগ না করে একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করেন। এদিকে চুক্তি মোতাবেক এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করায় আর্থিক সঙ্কটের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকে জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেডের। জানা গেছে, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদসহ নানা রকম নিরাপত্তা সামগ্রী ছাপার প্রতিষ্ঠান জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেড। কোম্পানির ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ইউতাকা আকানি ১০৪ কোটি টাকা বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। আকানি এই অর্থ সিকিউরিটি প্রিন্টিং কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করে দুই বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করেন। বিদেশী বিনিয়োগের এই অর্থ না পাওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসার পর তা প্রকৃত খাতে বিনিয়োগ না করার কারণে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয় জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেড। পরবর্তীতে কোম্পানির পক্ষ থেকে আকানির বিরুদ্ধে ১৪৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়। ক্ষতিপূরণ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আকানির আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর ১১৮ কোটি টাকার পে-অর্ডার দিয়েছে ইউতাকা আকানিকে। ইউতাকা আকানি এখন এই টাকা আবার জাপানে ফেরত নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছেন। যা বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ নীতির লঙ্ঘন। ছয় বছর আগে জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেডে বিনিয়োগের নামে এনে সেই অর্থ মেয়াদী আমানত হিসেবে জমা রেখে একটি উদীয়মান ও নির্ভরযোগ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার অপকৌশল নিয়েছে ইউতাকা আকানি। আর আকানির এই কাজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী একটি চক্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে কোন বিদেশী বিনিয়োগ আসলে তা আর ফেরত নেয়ার কোন সুযোগ নেই। উল্লেখিত বিনিয়োগকারী কেবল মাত্র মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যেতে পারবেন। বিনিয়োগকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কোন বিধান নাই। এ বিষয়ে জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, ইউতাকা আকানি ছয় বছর আগে আমাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য আনা অর্থ প্রকৃত খাতে বিনিয়োগ করেনি। প্রকৃত খাতে বিনিয়োগ করলে দেশের বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জিডিপি আরও প্রবৃদ্ধি হতো।
×