ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৬ নভেম্বর ২০১৮

ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের কাছে কয়েক দফা সময় নেয়ার পর আসন্ন নির্বাচনে কোন্ জোটে যোগ দেবে সে অবস্থান পরিষ্কার করল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যোগ দেয় কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন দলটি। রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি কাদের সিদ্দিকী নিজেই এ ঘোষণা দেন। এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, তানিয়া রব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই মুহূর্ত থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করছি। পাকিস্তানী দোসররা যদি জনতার কাছে পরাজিত হতে পারে, তাহলে লড়াইয়ের মাধ্যমে নব্য স্বৈরাচারও পরাজিত হবে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশে থাকবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। লড়াই করব আমরা, আর আইনী সহায়তা দেবেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালানোতেই আজ দেশের এ অবস্থা হয়েছে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করেছি দেশের পরিস্থিতি সুষ্ঠু স্বাভাবিক করতে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আলোচনায় সম্মত হওয়ায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, ডিসেম্বরে তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাস। কাদের সিদ্দিকী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত দফা দাবি আদায়ে লড়াই করতে একমত হয়েছে। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এ লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই আরও সুদৃঢ় হলো উল্লেখ করে রব বলেন, প্রধানমন্ত্রী, সাত দফা দাবি মানতে হবে। তা না হলে এ যাত্রায় রক্ষা নাই। ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। কিসের ইভিএম, ভোট চুরির? আমাদের দাবি মানতে হবে। নির্বাচন করতে চাইলে সমস্যার সমাধান করতে হবে। নির্বাচন না করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিলে সরকারকেই তার দায়দায়িত্ব নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
×