ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৬ নভেম্বর ২০১৮

আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে

বিডিনিউজ ॥ বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে আবার ক্ষমতায় এলে এ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। সোমবার খিলক্ষেতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘শেখ মুজিব’-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আধুনিক ফ্রিগেড কিনেছিলাম। নৌবাহিনীকে আরও উন্নত কীভাবে করা যায় তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম এবং নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আমাদের ছিল। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮, আমি বলব এর মধ্যে নৌবাহিনী আজকে আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই নৌবাহিনীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যদি আমরা আবার আসতে পারি, নিশ্চয়ই আমরা এই নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলব, সেই লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বানৌজা শেখ মুজিব ঢাকা অঞ্চলের নৌ নিরাপত্তার পাশাপাশি দুর্যোগে মানুষের কল্যাণ ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতায় ভূমিকা রাখবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। ঢাকা নৌ অঞ্চলে নৌসদর দফতরে একটি ছোট ঘাঁটি ছাড়া আর কোন ঘাঁটি এর আগে ছিল না। এ অনুষ্ঠান থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও আবাসিক ব্যবহারের জন্য ২২টি বহুতল ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সাভারে বিএন টাউনশিপের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, যারা আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী, তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ সুন্দরভাবে বসবাস করবে। সুন্দরভাবে জীবনযাপন করবে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। একদিকে যেমন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি, অর্থনৈতিকভাবে দেশকে মজবুত করছি। অপরদিকে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক এই বাহিনীগুলোকে আধুনিক করা এবং যাতে বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তাই তিনি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা নীতি তৈরি করে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমূক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথাও তিনি এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী সকালে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শেখ মুজিবের কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন ঘাঁটির কমান্ডারকে। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের নৌ কমান্ডার, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক অর্জন নিয়ে লেখা ‘বাংলাদেশ নেভি ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
×