ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৬ নভেম্বর ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

নবেম্বরে হিম-হিম হাওয়ার পরশ খুব একটা না মিললেও নির্বাচনী হাওয়া যে বইতে শুরু করেছে সে কথা বলাই বাহুল্য। সেদিন আমাদের গলিতে ব্যান্ডপার্টির বাজনা আর ঢাকঢোলের শব্দে প্রথমে ভেবেছিলাম নিশ্চয়ই কোন সিনেমার প্রচারণা। পরে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখি বাদকদলের পুরোভাগে রীতিমতো নাচছেন একজন তরুণী ও একজন মধ্যবয়স্ক নারীর সঙ্গে কয়েকজন শিশু-কিশোর। পেছনে ব্যানার দেখে বুঝলাম অমুক আপা সালাম জানিয়েছেন। স্থানীয় এই আপাকে অবশ্য আমি চিনতে পারলাম না। তফসিল ঘোষণা হয়নি, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলের মনোনয়ন পাননি, অথচ অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গেছে প্রচারাভিযান, নেমে পড়েছেন কর্মীরা। ভোট কবে হবে এখনও তা জানি না, তবে ঢাকায় ঘরে-বাইরে উৎসব শুরু হয়ে গেছেÑ এটি বলা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুপারশপে ঢাকায় কাঁচা বাজারের সংখ্যা খুব একটা না কমলেও সুপারশপের আউটলেটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিচ্ছন্ন পরিসরে ঝক্কিঝামেলাহীন বাজার করে কার্ডে দাম মেটানোর স্বস্তিকর স্বাদ পাচ্ছেন ঢাকাবাসী। বেশিরভাগ গৃহিণী দরদাম করে বাজার করতে পছন্দ করেন। সুপারশপে অবশ্য সে সুযোগ নেই। গৃহিণীদের সঙ্গে কদাচিৎ স্বামীরা যান বাজারে। মাঝেমধ্যে বাজারে যাওয়া ভাল। তাতে পণ্যের দরদাম জানার মধ্য দিয়ে অর্থনীতির হালচালও কিছুটা জানা হয়ে যায় বৈকি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দোনোমোনা করতে করতে চলেই গেলাম বাড়ির কাছের এক তিনতলা সুপারশপে। মাঝে ইলিশ ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মাত্র তা তুলে নেয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বাজার ভর্তি হয়ে গেছে ইলিশ মাছে। বিক্রেতা জানালেন এখন আর ক’দিন ডিম ছাড়া ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে না। সুপারশপটিতে ৫ ফুট জায়গা নিয়ে থরে থরে সাজিয়ে রাখা চলছে ইলিশ মাছ। রুপালি দেহের ভেতর গোলাপি আভাÑ দেখতেও বেশ লাগে। এখন রাজধানীবাসী জ্যান্ত মাছ-মুরগিও কিনতে পারছেন সুপারশপ থেকে। সুপারশপে যে কেবল খাদ্য ও খাদ্য সংক্রান্ত পণ্য পাওয়া যায়, অন্য কিছু নয়, এমনটা যারা ভাবেন তারা বিলক্ষণ ভুল করেন। এখানে শুধু রসুই ঘর নয়, বসার ঘর, শোবার ঘর এমনকি ছোট ঘরের (ওয়াশ রুম) যাবতীয় জিনিসও মেলে। এখানে তো দেখলাম পোশাকের মেলা বসে গেছে। অন্যদিন কেমন ভিড় হয় জানি না, ছুটির দিন সন্ধেবেলায় যে ভিড় দেখলাম এবং মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে যে লম্বা লাইনে দাঁড়ালাম (চারটে পেমেন্ট কাউন্টার থাকা সত্ত্বেও) তাতে কিছুটা সময় খরচাই হয়ে গেল, বলা চলে। তবে যারা সময় বাঁচাতে চান তাদের জন্যও নাকি ব্যবস্থা আছে। তারা অনলাইনে অর্ডার দিতে পারেন। সুপারশপের লোক গিয়েই বাসায় পৌঁছে দেবে প্রয়োজনীয় পণ্য। যা হোক, ক্রয়কৃত পণ্যগুলো যখন ওখানকার স্টাফ সুপার শপেরই নিজস্ব ব্যাগে ভরে দিচ্ছিলেন সে সময়ে কলকাতার একটি সুপারশপের কথা আচমকা মনে পড়ে গেল। কেনাকাটা করার পর বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলাম সেখানে। কারণ তারা শপিং ব্যাগ দেয়নি। বিনামূল্যে ব্যাগ দেয়ার নিয়ম নেই। নতুন অভিজ্ঞতাই বটে। দেখেছিলাম হিসেবি ক্রেতারা সঙ্গে ব্যাগ নিয়েই কেনাকাটা করতে এসেছেন। সত্যি আমাদেও দেশের সুপারশপ এখনও যে কলকাত্তাইয়া হয়ে ওঠেনি সে জন্য ওদের মনে মনে ধন্যবাদই দিলাম। আধুনিক শহরের চেনা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সুপার শপ অন্যতম। স্বপ্ন, আগোরা, ফ্যামিলি নিডসÑ এমন বেশ কিছু সুপারশপ ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ একই ছাদের নিচে পাওয়ার এই সুবিধাকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। তবে পাশাপাশি চিরাচরিত রীতিও টিকে আছে বাজারপাতি করার। মাছের বাজার, মাংসের বাজার এবং শাকসবজির দোকান। তারপর রয়েছে মুদিখানা। সুপার শপের প্রচলন হওয়ায় সব বাজার গিয়ে মিশেছে একটা বাজারের পেটের মধ্যে। সেখানে ধুলো-কাদাপানিতে নাকাল হওয়া নেই। চটের ব্যাগ বইতে বইতে গলদঘর্ম হওয়ার অবকাশ নেই। কারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুপার শপে ঘামার প্রশ্নই ওঠে না। দামাদামীর সুযোগও নেই। সব পণ্যই নির্ধারিত মূল্যের। নগদ টাকা বহনেরও ঝুঁকি নেই। এটিএম কার্ড দিয়ে মূল্য পরিশোধ করা যায়। চাইলে মাসের বাজার কওে ফেলা যায় একসঙ্গে। হ্যাঁ ভ্যাট গুনতে হয় ক্রেতাকে। কাঁচাবাজারে বা মুদিখানায় সেটা গুনতে হয় না। নজরকাড়া স্মার্ট মোড়কশিল্পের সহায়তা নিয়ে সুপার শপের ব্যবসা রীতিমতো জমজমাট। মোড়ে মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষা শনিবার সরকারী কার্যালয় ছাড়াও অনেক বেসরকারী অফিস বন্ধ থাকে। তুলনামূলকভাবে সেদিন বেশিরভাগ নাগরিকেরই কর্মদিবস। তারপরও অফিস টাইমে অতটা ভিড় লক্ষ্য করা যায় না রাস্তায়। অবশ্য মার্কেটগুলোর সামনের সড়কে যানবাহনের আধিক্য থাকে বেশ। পান্থপথের পুব পাশের ধানম-ি ৩২ নম্বর অংশের মুখ থেকে থেকে পশ্চিমে কাওরান বাজার পর্যন্ত পৌঁছতে গাড়িতে এক ঘণ্টা লেগে গেলে এখন আর বিস্মিত হই না। সার্ক ফোয়ারার কাছে ফার্মগেটমুখী সড়কের কিনার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছি। বিকেল পাঁচটা হবে। যাব বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আমাদের এক বন্ধুর সদ্যপ্রয়াত পিতার উদ্দেশ্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে। পান্থপথ দিয়েই আসবেন আরেক বন্ধু তার প্রাইভেটকারে। জানি বসুন্ধরা শপিংমল পেরিয়ে এই রাস্তায় আসতে তার কমপক্ষে আধঘণ্টা লেগে যাবে। তার চেয়ে বেশিই লাগল। ছুটির দিনেও ছাড় নেই। হাতে কিছুটা সময় পাওয়ায় চারপাশ লক্ষ্য করার সুযোগ মিলল। শুধু চোখ খোলা রাখলেই কত বিচিত্র দৃশ্যই না চোখে পড়ে। সড়কের মোড়ে মোড়ে যাত্রী তুলবার আশায় খালি রিক্সার দলে দলে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য নাগরিকদের চোখ সওয়া হয়ে গেছে। এই সড়কে রিক্সার চলাচল নিষিদ্ধ। তাই ভিন্ন ছবি দেখলাম, যা দেখায় আমার চোখ এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। পনেরো-কুড়িটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রী তোলার আশায়। সব মোটরসাইকেলের চালকই যে এ্যাপসনির্ভর ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির নিবন্ধিত চালকÑ এমনটা মনে হলো না। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একে একে দু’জন এলেন, বিনীত ভঙ্গিতে সালাম দিয়ে জানতে চাইলেন, আমি মোটরসাইকেলে গন্তব্যে যাব কিনা। আলাপ করে জানলাম শুক্র-শনিবার তাদের একটু মন্দাই যায়। নিজেরাই বলাবলি করতে লাগলেন যে কাওরান বাজার মোড় পেরিয়ে মহাখালীর দিকে এগুলে হয়ত যাত্রীর দেখা মিলবে। মোবাইল ফোনে যাত্রীসেবার ডাক আসছে না দেখে তারা যাত্রীদের কাছে গিয়েই জানতে চাইছেন, ভাই বাইকে যাবেন? মোটরসাইকেল চালানোর জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন রয়েছে। মোটরসাইকেলের কাগজপত্রও হালনাগাদ করে রাখার আবশ্যকতা রয়েছে। এখন ট্রাফিক নাকি বেশ কড়া। সুযোগ পেলেই এদের কেস দিয়ে দেন। তখন পোহাতে হয় ঝক্কি। ভাবছিলাম কিছুকাল আগেও আমরা কল্পনা করিনি যে ঢাকা শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেল নেমে যাবে, পেছনের আসনে ভাড়ার বিনিময়ে আরোহীকে তুলে নেবে। অবশ্য স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই গ্রামে সাইকেলের পেছনের সিটে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী ওঠানোর রীতি চালু হয়েছিল। আমাদের খুলনা এলাকায় এসব দ্বিচক্রযানকে বলা হতো ‘হেলিকপ্টার’। আচ্ছা, ঢাকার এসব পাঠাও, উবার বাইকের কি ভিন্ন কোন নাম চালু হয়েছে? আগে এ চালকরা যাত্রীর জন্য হেলমেট রাখার ধার ধারতেন না। অনেকে নিজেও পরতেন না মস্তকরক্ষা আবরণী। জ্বালানি বিক্রির স্টেশনে হেলমেট ছাড়া জ্বালানি না দেয়ার ব্যাপারে সতর্কতামূলক কথা এখন লেখাই থাকে বড় বড় হরফে। তাই এরা সোজা হয়ে গেছেন। আর ট্রাফিক পুলিশ যদি দেখে আরোহীর মাথায় হেলমেট নেই, সেক্ষেত্রে অনেক সময় বাইক থামিয়ে জরিমানার ভয় দেখানো হয়। ফলে এখন সম্ভবত শতভাগ বাইকের চালকই আরোহীর জন্য হেলমেট রাখেন। স্বল্প শিক্ষিত অনেক মোটরসাইকেল চালক নেমে পড়েছেন এই পেশায়। অসচ্ছল পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত চাকরি না পাওয়া যুবকদের অনেকেই কাজ করছেন এই পেশায়। বাণিজ্যিকভাবে মোটর বাইক চালানোর কারণে ঢাকার রাস্তায় বেড়ে গেছে মোটর বাইকের সংখ্যা। এখন তারা রাস্তার বাম পাশের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আগামীতে যদি তারা সড়কের এক-তৃতীয়াংশ তাদের দখলে নিয়ে নেন তাহলে ঢাকাবাসীর অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মানতেই হবে একজন ব্যক্তি যদি যানজটের বিড়ম্বনাময় এ শহরে একটু তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে চান তবে মোটর বাইক উপকারে আসে। ফাঁকফোকর গলে দ্রুতবেগে ছুটে আরোহীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এরা ভালই ভূমিকা রাখছে। বহু লোকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। পাশাপাশি এটাও বলা দরকার, এদের অনেকেই হয়ে উঠেছে রাস্তার ‘লাটভাই’। স্বেচ্ছাচারিতা, অকারণে তীব্র হর্ন বাজানো আর পথচারীকে ভড়কে দিয়ে পথ চলার জন্য এদের অনেকেই এড়িয়ে চলতে বাধ্য হন। পাবলিক বাসে নারীর আসন ঢাকায় গণপরিবহনের ভীষণ সঙ্কট রয়েছে, মেয়েদের বাসে ওঠা এক বিরাট বিড়ম্বনার বিষয়। একটা-দুটো ‘মহিলা বাস’ অবশ্য দেখা যায় কালেভদ্রে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি তো হয়েছেই। বিশেষ করে বিআরটিসির এসি বাসে চালকের পেছনে ১৩টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। বাদবাকি আসনগুলো কি পুরুষের জন্য? তা তো নয়। তবু অনেকেই ভাবেন সেগুলো পুরুষদের আসন, মেয়েরা সেখানে বসতে পারেন না। ওই আসনগুলোয় সবারই সমানাধিকারÑ এটা বহু নাগরিক মানতে চান না। আবার অনেক যাত্রী গ্যাঁট হয়ে মেয়েদের সিটে বসে থাকেন, না বলা পর্যন্ত তারা মেয়েদের সেই সিট ছেড়ে দেন না, অনেকে আবার তর্ক জুড়ে দেন। প্রসঙ্গ সেটা নয়। বলছিলাম নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কথা। তবে শুধু নারী যাত্রী নয়, ওইসব আসনে শিশু ও প্রতিবন্ধীদেরও সমানাধিকার রয়েছে। প্রশ্নটা সেখানেই। সেদিন এক মধ্যবয়সী, মানে পঞ্চাশোত্তর এক ভদ্রলোক বাসে উঠলেন, হাতে তার ক্রাচ। বাসের সব ক’টি নারী-আসন পরিপূর্ণ। নারীরাই বসে আছেন, এক জনও প্রতিবন্ধী নেই। অথচ ওই অসুস্থ যাত্রীর জন্য কেউই আসন ছেড়ে দিলেন না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী বয়সের মেয়েরাও তাদের পিতার বয়সী ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে উপেক্ষা করে গেলেন। সন্দেহ জাগে ভদ্রলোকের জায়গায় বয়স্ক ভদ্রমহিলা থাকলেও তারা আসন ছেড়ে দিতেন কিনা। পুরুষরাও অবশ্য দেন না। এটাকে কী বলব? মূল্যবোধের অবক্ষয়? মানবিকতার নিম্নগামিতা? নাকি নাগরিক মন এমনই আত্মপর স্বার্থান্ধ হয়ে গেছে যে তার সাধারণ বিবেচনাবোধ লোপ পেয়েছে? ৬০ ফুট কমে কত ফুট হলো! বলতে চাই মিরপুর ২ নম্বর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ ফুট নতুন রাস্তাটির কথা। দুই বছর আগে চালু হয়েছিল রাস্তাটি। এই সড়কের প্রস্থ সূচনাকালে ৬০ ফুট থাকলেও এখন কমে এসেছে ৩০-৪০ ফুটে। প্রায় পৌনে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটি এখন রাজধানীর আর দশটি চালু সড়কের মতোই দূষণ-দখলে বিপর্যস্ত। রাস্তাটির ফুটপাথ এবং রাস্তার অনেকাংশ দখল হয়ে গেছে। গড়ে উঠেছে দোকানপাট, বাজার। রাখা হয়েছে ময়লার কন্টেনার। সড়কটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) দুটি ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। আগারগাঁও অংশটি ২৮ নম্বর এবং মণিপুর অংশটুকু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। মনিপুর মোল্লাপাড়া এলাকার বারেক মোল্লা মোড়ে এসে সড়কটির প্রস্থ যেন ২০-২৫ ফুট হয়ে গেছে। সড়কের এক পাশে গড়ে ওঠা দোকানপাট বাকি রাস্তা দখল করে ফেলেছে। সড়কে বাঁশের ঘেরাও দিয়ে তার মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১০টি দোকান। প্রিয় মেয়র, আর দেরি নয়। যথাযথ ব্যবস্থা নিন। ০৪ নবেম্বর ২০১৮ [email protected]
×