ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ফের সংলাপ বুধবার

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৫ নভেম্বর ২০১৮

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ফের সংলাপ বুধবার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ হবে আগামী বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে। ছোট আকারে এই সংলাপ হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবনে ১৪ দলের এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে আবার সংলাপে বসতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই জানিয়েছিলেন যে সংলাপের জন্য তার দ্বার উক্ত। তবে ৭ নবেম্বরের পর সংলাপ সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয় কেন আসবে? তার নিকট আত্মীয় কেউ মারা গেলে বা বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে প্যারোলে আবেদন করতে পারে। কিন্তু নির্বাচন করার জন্য তো প্যারোলে মুক্তি হতে পারে না। তারা তো এ বিষয়ে কোন আবেদনও করেননি। তিনি বলেন, ১৪ দল জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। একই সঙ্গে নির্বাচনে কোন অশুভ শক্তির তৎপরতা দেখা দিলে তাও এক সঙ্গে প্রতিরোধ করা হবে। প্রথম সংলাপের ‘অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ’ করতে আবার আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রবিবারই চিঠি দিয়েছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। বেলা ১২টার দিকে কামাল হোসেনের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ১ নবেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বহুল আলোচিত সংলাপে বসে ঐক্যফ্রন্ট। গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ওই আলোচনায় অংশ নেয়। আজ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের নেতৃত্বে গঠিত সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) প্রতিনিধিরা আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসবেন। তবে একেবারেই ভিন্ন ধারার দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ করবে জাপা। যেখানে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের মতো তেমন কোন দাবিদাওয়া থাকবে না। জানা গেছে, সংলাপে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষি করবেন এরশাদ। তবে নির্দিষ্ট করে আসন চাইবেন না তিনি। কত আসন জাতীয় পার্টিকে দেয়া উচিত তা প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পক্ষ থেকে সন্তোষজনক আসন দেয়ার ঘোষণা এলে জাপা তা মেনে নেবে। সেই সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে নির্বাচন করারও প্রতিশ্রুতি দেবেন এরশাদ। বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট গঠনের মধ্য দিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জাপা। আর বিএনপি না এলেও সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি করে শক্তিশালী বিরোধী দল গঠনের ইচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন এরশাদ। মূল বিষয় হলো- বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর না আসুক জাতীয় পার্টি শক্তিশালী বিরোধী দলে গিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকতে চায়। এ প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা দাওয়াতে অংশ নেব। আলোচনা করব, বলব কতটি আসন দেবেন। আমার মনে হয় তিনি কথা রাখবেন। আর যদি না রাখেন তাহলে সেভাবে ব্যবস্থা নেব। তবে আমরা কোন তালিকা দেব না, একটি জোট সংলাপে গিয়ে সাত দফা দাবি দিয়েছে যা সংবিধান সম্মত নয়। যে কারণে সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা সংবিধান সম্মত নয়, অযৌক্তিক। এটা আমি হলেও মানতাম না।
×