ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রাইমারীর শিক্ষক বদলিতে নতুন নীতিমালা

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ৫ নভেম্বর ২০১৮

প্রাইমারীর শিক্ষক বদলিতে নতুন নীতিমালা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলিতে নতুন নীতিমালা-২০১৮ জারি করা হয়েছে। যেখানে আগের নীতিমালার বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মফস্বল থেকে ঢাকা মহানগরে বদলি হওয়ার পথ কিছুটা উন্মুক্ত হয়েছে। আগে স্বামীর নিজ জেলায় নারী শিক্ষকরা বদলি হতে পারলেও স্বামীর কর্মস্থল এলাকায় বদলি হতে অনেক জটিলতা পোহাতে হতো, যা ছিল অনেকটা দুঃসাধ্য কাজ। পরিবর্তনের ফলে মানবিক কারণসহ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে যে কোন সময়ে শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন। ফলে স্বামীর কর্মস্থলের সঙ্গেই থাকতে পারবেন প্রাথমিক স্কুলের নারী শিক্ষকরা। তবে স্বামী বা স্ত্রী বেসরকারী চাকরিজীবী হলে এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন স্বাক্ষরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, চাকরি পাওয়ার পর নারী শিক্ষকদের বিয়ে হলে স্বামীর কর্মস্থলের পার্শ্ববর্তী স্কুলে বদলি হতে পারবেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের স্থায়ী ঠিকানার পার্শ্ববর্তী এলাকার স্কুলে বদলি করা যাবে। স্বামী মারা গেলে বা বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সুবিধামতো স্থানসহ বিশেষ কোন কারণে বছরের যে কোন সময় বদলি হওয়া যাবে। দুর্গম এলাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা চাকরির মেয়াদ দুই বছর পর নিজ এলাকায় বদলি হতে পারবেন। এসব বদলির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকের সুপারিশ প্রয়োজন হবে। জাতীয়করণ অনেক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা প্রেষণে নিজ জেলায় ৫ বছর পর বদলি হতে পারবেন। তবে সাধারণ বদলির ক্ষেত্রে বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবেদনের সময় নির্ধারিত রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ বছর পূর্ণ হলে এবং পদ শূন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃসিটি কর্পোরেশন, আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে ওই সময়সীমার মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা হওয়া যাবে। বদলির পর ৩ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় বদলি করা যাবে না। গত বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিক্ষক বদলি কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও নতুন বদলি নীতিমালায় সেটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে যোগ্য ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে শিক্ষকরা ঢাকা মহানগরের যে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য আসনে বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ কারণে যে কোন সময়ে বদলি করা হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করলে তাকে বছরের যে কোন সময়ে বদলি হাতে পারবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ কারণে যে কোন সময়ে বদলির জন্য আবেদন করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে বদলি হওয়ার রাস্তা খুলে দেয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে শিক্ষকদের বদলির জন্য যোগ্য বলে গণ্য করা হবে। অধিকাংশ শিক্ষকের লক্ষ্য ঢাকা মহানগরের মধ্যে বদলি হওয়া, তাই ২০০ খালি আসনে প্রায় ২০ হাজার আবেদন জমা হয়ে আছে। এ কারণে যোগ্য ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ঢাকায় শিক্ষক বদলি করা হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে বদলি আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।
×