ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফের সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ড. কামাল

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ নভেম্বর ২০১৮

 ফের সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ড. কামাল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দ্বিতীয় দফা সংলাপ চেয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। চিঠিতে কামাল হোসেন বলেছেন, গত ১ নবেম্বর সংলাপ হয়েছিল। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের আলোচনা অসমাপ্ত রয়ে গেছে। এ জন্য আবারও আলোচনায় বসা জরুরী। ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা নিয়ে সাংবিধানিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য স্বল্প পরিসরে আলোচনা আবশ্যক। তবে ওই চিঠিতে সংলাপের কোন দিনক্ষণ ঠিক করেননি ড. কামাল হোসেন। এদিকে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ সোমবার মহাজোটের অন্যতম শরিক ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠেয় এ সংলাপে বিরোধী দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ। প্রথম দফা সংলাপের পরই শোনা যাচ্ছিল ছোট পরিসরে হলেও আরেক দফা সংলাপ চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সে অনুযায়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছে দেন গণফোরামের তিন নেতা আ ও ম শফিক উল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মোস্তাক হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো সংলাপের চিঠিটি গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতির ব্যক্তিগত অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও মাসুদুর রহমান। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপও চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারও ছোট পরিসরে বসাই যায়। তবে সময় বেশি নেয়া ঠিক হবে না। ৭ তারিখের পর সংলাপ হবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। আজ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের নেতৃত্বে গঠিত সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) প্রতিনিধিরা আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসবেন। তবে একেবারেই ভিন্ন ধারার দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ করবে জাপা। যেখানে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের মতো তেমন কোন দাবিদাওয়া থাকবে না। জানা গেছে, সংলাপে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষি করবেন এরশাদ। তবে নির্দিষ্ট করে আসন চাইবেন না তিনি। কত আসন জাতীয় পার্টিকে দেয়া উচিত তা প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পক্ষ থেকে সন্তোষজনক আসন দেয়ার ঘোষণা এলে জাপা তা মেনে নেবে। সেই সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে নির্বাচন করারও প্রতিশ্রুতি দেবেন এরশাদ। বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট গঠনের মধ্য দিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জাপা। আর বিএনপি না এলেও সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি করে শক্তিশালী বিরোধী দল গঠনের ইচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন এরশাদ। মূল বিষয় হলো- বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর না আসুক জাতীয় পার্টি শক্তিশালী বিরোধী দলে গিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকতে চায়। এ প্রসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা দাওয়াতে অংশ নেব। আলোচনা করব, বলব কতটি আসন দেবেন। আমার মনে হয় তিনি কথা রাখবেন। আর যদি না রাখেন তাহলে সেভাবে ব্যবস্থা নেব। তবে আমরা কোন তালিকা দেব না, একটি জোট সংলাপে গিয়ে সাত দফা দাবি দিয়েছে যা সংবিধান সম্মত নয়। যে কারণে সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা সংবিধান সম্মত নয়, অযৌক্তিক। এটা আমি হলেও মানতাম না।
×