ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় দেখতে চান

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ নভেম্বর ২০১৮

  কওমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় দেখতে চান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত করছেন দেশের শীর্ষ কওমি আলেম ওলামাসহ লাখো মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস সনদের সরকারী স্বীকৃতি বিল জাতীয় সংসদে পাস করায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীকে মহীয়সী নারী অভিহিত করে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। হেফাজতের আমীর শাহ আহমেদ শফী, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদসহ শীর্ষ কওমি আলেমদের মাহফিল থেকে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। শীর্ষ আলেম ওলামারা কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য যা করেছেন তা কেউ করেননি। বিএনপি-জামায়াত সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের ধোঁকা দিয়েছে। মাহফিলের আয়োজক কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফী বলেছেন, কওমি মাদ্রাসা তথা ইসলামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অবদান ইতিহাসে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে। অন্যদিকে শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান আল্লামা ফরীদ ঊদ্দীন মাসঊদ। শীর্ষ আলেমরা আরও বলেছেন, জনদরদী নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মাধ্যমে আমরা এ নেয়ামত (স্বীকৃতি) পেলাম। নজিরবিহীন এ নেয়ামত ব্রিটিশ শাসনামলে পাইনি, পাকিস্তান আমলে পাইনি, বাংলাদেশেও দীর্ঘদিন হয়নি। এ জাতিকে নজিরবিহীন উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবী) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করেছিল কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সংগঠনটির চেয়ারম্যান। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হেফাজতের আমীর ও হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আফরাফ আলী, সদস্য ও শীর্ষ আলেম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, গওহরডাঙ্গা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন, বেফাকুল মাদারসিলি আরাবিয়া বাংলাদশের (বেফাক)সহ সভাপতি ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব হেফাজত নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহ, বেফাকের মজলিসে আমেলার সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী প্রমুখ। এর আগে সকালেই শোকরানা মাহফিলে অংশ নিতে উদ্যান অভিমুখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কওমি আলেম, ওলামা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঢল নামে। সারাদেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ইমামরাও যোগ দেন। তাদের বহনকারী বাস ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা হন। অনেকেই হেঁটেই পৌঁছেন সেখানে। টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের বিপরীত পাশের প্রবেশ পথ, বাংলা একাডেমির পাশের প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে প্রবেশ করেন তারা। এক পর্যায়ে উদ্যানের অধিকাংশ জায়গা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেকে টিএসসিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কওমি মাদ্রাসাসহ ইসলামের জন্য শেখ হাসিনার সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন আলেম-উলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, যতদিন শেখ হাসিনা আছেন ততদিন এদেশের আলেমদের কোন ক্ষতি হবে না। সামরিক সচিব বলেন, ৫ মে সম্পর্কে অনেক মিথ্যাচার করা হয়েছে, বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল আলেম-উলামা এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোন রকম ক্ষতি না হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কেউ আজ পর্যন্ত হতাহতের সঠিক তালিকা দিতে পারেনি। যাদের নাম বলা হয়েছিল আমরা তদন্ত করে দেখেছি উনি বেঁচে আছেন, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। সকল অপপ্রচার ভুল ও মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আপনারা এ মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না। যারা এ মিথ্যাচার ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর অবদান সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে- হেফাজত আমীর আহমদ শফী ॥ আল্লামা শাহ আহমদ শফী কওমি শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই অবদান ইতিহাসে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। আমার কর্মকৌশল ও সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সুযোগ নেই’ মন্তব্য করেন আহমদ শফী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। রাজনৈতিক কোন দলের সঙ্গে আমার ও হেফাজতে ইসলামের নীতিগত সংশ্লিষ্টতা নেই। মনে রাখবেন, মুসলমানদের ঈমান-আকীদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করাই হেফাজতে ইসলামের মূল লক্ষ্য। হেফাজতে ইসলামের নীতি ও আদর্শের ওপর আমরা অটল-অবিচল আছি। আমার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অপব্যাখ্যা, মিথ্যাচার করার অবকাশ নেই। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নানা ফিৎনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মুসলমানদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ও বিভেদ বাড়ছে। আমাকে ও হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যক্তি বিশেষের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান সঙ্কটকালে আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সীসাঢালা প্রচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকা সময়ের দাবি। হেফাজতে ইসলামের আমীর বলেন, আমি জীবনের শেষ প্রান্তে পা রেখেছি, বিভিন্ন রোগ-শোক, ব্যাধি-বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা সত্ত্বেও আল্লাহর দরবারে শুকর গুজার করছি, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত নিঃস্বার্থভাবে দ্বীনের খেদমত করে যাওয়াই হচ্ছে আমার একমাত্র তামান্না। আপনারা অবগত আছেন যে, কওমি সনদ স্বীকৃতির ঐতিহাসিক দাবিটি দীর্ঘদিনের। অতীতে এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের ওলামা-কেরাম বহু আন্দোলন করেছেন। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে বারবার, কিন্তু এই স্বীকৃতির ন্যায্য দাবিটি পূরণ হয়নি। সম্প্রতি বেফাকসহ অন্যান্য বোর্ডের যৌথ উদ্যোগ ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বর্তমান সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বীকৃতির দাবিটি ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ, শত আপত্তি ও বাধা উপেক্ষা করে কওমি সনদের বিল পাস করে শেখ হাসিনা আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে সেই ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে তার কওমি ওলামা-কেরামদের প্রতি দরদপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক শুকরিয়া আদায় করছি, মোবারকবাদ জানাচ্ছি। কেননা, মানুষের শুকরিয়া আদায় করা নৈতিক ও দ্বীনি কর্তব্য। জনগণ আতঙ্কিত হয়, জনমত বিভ্রান্ত হয় এমন কোন কাজ সংগত কারণে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রগণ করে না, করতে পারে না। জনগণের নৈতিক ও আত্মিক সাধন তাদের অন্যতম দায়িত্ব। কওমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বীকৃতির মাধ্যমে আমাদের সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল হয়েছে। দ্বীনি খেদমতের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেদের মেধা ও প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শফী বলেন, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। আপনার শাসনামলেও লাখ লাখ কওমি-কেরাম সনদের স্বীকৃতির দ্বারা ধন্য হয়েছে। আপনার এ অসামান্য অবদান ইতিহাসের সোনালি পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনার সরকারের ভূয়সী প্রশংসায় শীর্ষ আলেমরা ॥ মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, জনদরদী নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মাধ্যমে আমরা এ নেয়ামত (স্বীকৃতি) পেলাম। নজিরবিহীন এ নেয়ামত পেয়েছি। ব্রিটিশ শাসনামলে পাইনি, পাকিস্তান আমলে পাইনি, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনে হয়নি। এ জাতিকে, বাংলাদেশকে নজিরবিহীন উপহার দিয়েছেন। তাকে (শেখ হাসিনা) দীর্ঘায়ু দান করে আল্লাহ বাংলাদেশের খেদমত করার তৌফিক দান করুন। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আজ কওমি মাদ্রাসা শুধু নয়, সারা দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে ইসলামের অনেক কাজ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এদেশেকে মহাকাশে নিয়ে গেছেন। এ দেশের এত উন্নয়ন করেছেন যে, আমাদের শত্রুদেশ পাকিস্তানের জনগণও আমাদের মতো হতে চায়। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা প্রদানের দাবি করেন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, আপনি এমন ব্যক্তি যা ওয়াদা করেন, সেই ওয়াদা রক্ষা করেন। আমরা নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করতে পারি সামনেও (শেখ হাসিনা) আপনি (ক্ষমতায়) এলে ওয়াদা পূরণ করবেন। আপনি আসবেন ইনশা আল্লাহ। আপনাকে আমরা আশা করতেই পারি। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানান ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। বলেন, কোন আলেমকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। কওমি শিক্ষার প্রসারে আল্লামা আহমদ শফীর অবদান অনেক। তার অবদান বিবেচনায় তিনি স্বাধীনতা পদক পেতে পারেন। এবার তাকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। মুফতি রুহুল আমীন বলেন, আমরা লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছিলাম যার অবদানে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তিনি শুধু আমাদের লাল-সবুজের পতাকাই দেননি, ইসলামের জন্য অবদান রেখেছেন। তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন করেছেন, তাবলিগ জামাতকে টঙ্গীতে ও কাকরাইলে জায়গা দিয়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কলিজার টুকরো শেখ হাসিনা টঙ্গীর যে বাকি কাজ করেছেন, সে কাজ সম্পূর্ণ করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সব কিছু উপেক্ষা করে। শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দেন মুফতি রুহুল আমীন। বলেন, আমরা আপনার কাছে দাবি রাখব আপনার পরবর্তী জেনারেশন আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয় আংকেলকেও ওলামা কেরামদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে দিয়ে যাবেন। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আমরা শুকরিয়া আদায় করি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
×