ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আল হাইয়াতুল উলয়া লিল কওমিয়্যাহ আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবে না

ইসলামে জঙ্গীবাদ নেই

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৫ নভেম্বর ২০১৮

 ইসলামে জঙ্গীবাদ নেই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আলেম-ওলামাদের কাছে দোয়া চেয়ে বলেছেন, যারা সত্যিকারের ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, তারা কখনও সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদী হতে পারে না। যারা সন্ত্রাসী তাদের কোন ধর্ম নেই। তাদের কোন দেশ নেই, তাদের কোন সমাজ নেই। তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদী। এদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতির স্থান হবে না। দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক তা আমরা চাই না। দেশে শান্তি থাকলেই উন্নতি হবে। উন্নতি থাকলে সবাই লাভবান হবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপপ্রচারে বিশ্বাস না করতে কওমির আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। কাজেই এই অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না। এই অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করে, সঙ্গে সঙ্গে সেই আইন দিয়ে তাদের গ্রেফতার ও বিচার করা হবে। দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে নানা বাধা এসেছে, ষড়যন্ত্র হয়েছে। বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি সবসময় আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে আমি ভয়ও করি না। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রবিবার কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস করায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে কওমির ছয় বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ আয়োজিত বিশাল শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় আল্লাহকে বিশ্বাস করি। একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া আর কারও কাছে আমি মাথানত করি না, কাউকে ভয় পাই না। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আর আমি যে বেঁচে যাই, আল্লাহ নিশ্চয় আমার দ্বারা এমন কোন কাজ করাবেন, যে কারণে তিনি বারবার আমাকে রক্ষা করছেন। তিনি যতদিন জীবন দিয়েছেন, ততদিন আছি। শুধু এটুকু চাই, যেন মান-সম্মানের সঙ্গে যেতে পারি। এজন্য আমি দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজকে কওমি মাদ্রাসার যে স্বীকৃতি সেটা শুধু স্বীকৃতি না, আমি মনে করি আমাদের দেশের লাখ লাখ ছেলেমেয়ে এই মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করছে। তারা দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারবেন। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকরানা মাহফিলে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন, সংস্থাটির সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, ফেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা আশরাফ আলী প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পর তার হাতে শুকরিয়ার স্মারক তুলে দেন আহমেদ শফী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ অবদান ইতিহাসে ‘সোনালি অক্ষরে’ লেখা থাকবে। সনদের ওই স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন ওই সংস্থার সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি কওমি জননী। আপনি না থাকলে সাহাবা ও আলেম-ওলামাবিরোধী জামায়াত-মওদুদীবাদীরা এটা হতে দিত না।’ এই শোকরানা মাহফিলে লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটে। ধর্মীয় বিষয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ধর্ম ইসলাম ধর্ম এবং নবী করিম (স.) সম্পর্কে কেউ কোন (অবমাননাকর) কথা বললে, আইন দ্বারাই তার বিচার হবে। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার করে উচিত শিক্ষা দিয়ে দেব, যাতে তারা কোনভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাতে না পারে। তিনি বলেন, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, সবার মঙ্গল কামনায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতির স্থান হবে না। বাংলাদেশ হবে একটি শান্তিপূর্ণ উন্নত দেশ। সামনে নির্বাচন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন চাইলে আবার জনগণের খেদমত করার সুযোগ পাব। শেখ হাসিনা বলেন, হাতেগোনা কয়েকটি লোক ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে ইসলাম ধর্মের বদনাম দেয়। আমি যখনই কোন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যাই, কেউ যদি বলে ইসলামিক টেররিস্ট, আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানাই। আমি বলি, এটা বলতে পারবেন না। কারণ সবাই টেররিজমে বা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। যারা সন্ত্রাসী তাদের কোন ধর্ম নেই। তাদের কোন দেশ কিংবা সমাজ নেই। তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদী। প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকারের ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ইসলাম ধর্ম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়। আর সেই দ্বীনি শিক্ষা যারা গ্রহণ করছেন তারা কেন অবহেলিত থাকবেন? তাদের কখনও অবহেলিত থাকতে দেয়া যায় না। যারা এতিমদের শিক্ষা দেয় তাদের স্বীকৃতি দেব না, এটা তো হতে পারে না। সেজন্যই আপনাদের প্রস্তাব অনুযায়ী আমরা কওমি শিক্ষার দাওরায়ে হাদিস সনদকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুনিয়া আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ’র হুকুম ছাড়া গাছের পাতাটাও নড়ে না। আসলে যা কিছু সৃষ্টি ভাল-মন্দ যা কিছুই আছে আল্লাহ করে দিয়েছেন। নবী করিম (স.) আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন, সেই শিক্ষা নিয়েই আমরা পথ চলব। আমরা কারও প্রতি বিদ্বেষ না, কারও প্রতি ঘৃণা না। কারো প্রতি কোন খারাপ চিন্তা না। আমরা সব সময় মনে করি মানুষের কল্যাণ, মানুষের উন্নতি, মানুষের মঙ্গল। মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, সেই চিন্তাই করি। আমার পিতা আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন, মানুষের সেবা কর। আর সাধারণভাবে জীবনযাপন কর। আমরা সেই শিক্ষাই পেয়েছি। সব হারিয়ে এতিম হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, তখন খুনীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি বিচার চাইতে পারি না। আমার বিচার চাওয়ার অধিকারও ছিল না। কারণ আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল। তারপরও আমি বাংলাদেশের জনগণ এবং উপরে আল্লাহ’র ওপর ভরসা করে আমাদের দল আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করলে দেশের মাটিতে ফিরে আসি। আমি শুধু আল্লাহ’র ওপর ভরসা করেই চলে এসেছিলাম এবং ভেবেছিলাম, আল্লাহ তো একটা পথ করে দেবেনই। আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে কষ্ট করে কোনমতে থেকেছি। আর দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। কারণ আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি বলেন, আমার বাবার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু) কাছ থেকে শিখেছি, একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া কারও কাছে মাথানত করবে না এবং তিনিও করতেন না। আমিও তা করি না। শুধু আল্লাহর কাছে ছাড়া কারও কাছে মাথানত করি না। আর আল্লাহ ছাড়া কাউকে আমি ভয়ও করি না। শুধু আল্লাহ’র কাছে এইটুকু চাই, যেন মান-সম্মানের সঙ্গে যেতে পারি এবং মানুষের সেবা করে যেতে পারি। মানুষের কল্যাণ করে যেতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন গড়ে দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমার জায়গা নির্ধারণ, ওআইসির সদস্যপদ, হাজীদের নিরাপদে পাঠাতে জাহাজ ক্রয় করেছিলেন। তারই কন্যা হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে শিক্ষা পায়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সে চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র উপায় ছিল এই কওমি মাদ্রাসা। যারা বৃটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারা মুসলমানদের শিক্ষা দেয়ার জন্যই কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য তাদের আমরা সবসময় সম্মান প্রদর্শন করি। আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কাজ আপনারা করছেন। যারা এতিম হয়ে যাচ্ছে, যারা একেবারে হতদরিদ্র, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাদের আপনারা আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের খাদ্য দেন, তাদের শিক্ষা দেন। আপনারা এতিমদের আশ্রয় দিচ্ছেন। এর থেকে বড় কাজ আর কী হতে পারে। কাজেই আপনাদের স্বীকৃতি দেব না এটা তো হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে শিক্ষা নীতিমালা গ্রহণ করেছি সেখানে ধর্মীয় শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারণ, আমি মনে করি একটা শিক্ষা তখনই পূর্ণাঙ্গ হয় যখন ধর্মীয় শিক্ষাও তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। লাখ লাখ ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে, অথচ তাদের সেই ডিগ্রীর যদি স্বীকৃতি না থাকে তাহলে তারা কোথায় যাবে? কী করে তারা চলবে? তিনি বলেন, আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ থেকে যখন এই স্বীকৃতিটার জন্য বলা হলো দাওরায়ে হাদিস যেন মাস্টার্স ডিগ্রীর সমমর্যাদা পায়, আমরা সেটা করে দিলাম পার্লামেন্টে আইন পাস করে। কারণ, আইন পাস না করে দিলে সেটার আর কোন বাধ্যবাধ্যকতা থাকে না। এ সময় আল্লামা শফী ও আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই মিলে এমনভাবে কাজ করুন, যাতে যারা দাওরায়ে হাদিস থেকে মাস্টার্সের সমমানের ডিগ্রী পেলেন তারা যেন দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। এই দেশকে যেন আমরা উন্নত করতে পারি। বাংলাদেশের একটা মানুষও যেন গরিব না থাকে। ক্ষুধায় যেন কষ্ট না পায়। তিনি বলেন, ইমাম মোয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি। এই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে তারা যে কোন সহযোগিতা নিতে পারে, মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি, এতে ৮০ হাজার আলেম-ওলামা এর মাধ্যমে বিশেষ ভাতা পেয়ে থাকেন। সরকার প্রধান বলেন, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও মাদ্রাসা করে দিচ্ছি। প্রথমে নিজেরা শুরু করলেও এখন সৌদি আরবের সহযোগিতায় এসব মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ হবে। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বায়তুল মোকাররমে জাতীয় মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন করেছি, বিশাল মিনার নির্মাণ করেছি। আরবী-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে দ্বীনের শিক্ষা যাতে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হয় তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গীদের সংসর্গ যাতে না লাগে সেজন্য কওমি ছাত্রদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা আল্লাহ ও নবী (স.)-এর শিক্ষা নিয়ে পথ চলব। প্রধানমন্ত্রী দুঃখ করে বলেন, আজ বিশ্বে মুসলমানদের মধ্যে হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি। অন্যরা অস্ত্র বেচে লাভবান হয়, আর রক্ত যায় মুসলমানদের। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
×