ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম আবাহনীকে টাইব্রেকারে হারিয়ে গ্রুপসেরা আরামবাগ

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ৫ নভেম্বর ২০১৮

 চট্টগ্রাম আবাহনীকে টাইব্রেকারে হারিয়ে গ্রুপসেরা আরামবাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এ’ গ্রুপ থেকে দু’দলের আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়। দু’দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারায় ৩-১ গোলে। চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের মধ্যকার ম্যাচটি ছিল তাই গ্রুপসেরা নির্ধারণের। রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এই লড়াইয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মতিঝিল পাড়ার ক্লাব আরামবাগ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র হলে গ্রুপসেরা নির্ধারণে পেনাল্টি শূটআউট বেছে নেয়া হয়। এতে কপাল পোড়ে আবাহনীর, আর বিজয়ীর হাসি হাসে আরামবাগ। ম্যাচের অস্টম মিনিটেই গোলের দেখা পায় বন্দরনগরীর দল চট্টগাম আবাহনী। কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার ড্যানিয়েলের উঁচু পাসে ফাঁকায় ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড আওয়ালা মাগালান। বল ধরেই দক্ষতার সঙ্গে ডান পায়ের শটে আরামবাগের আগুয়ান গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান (১-০)। দুই মিনিট পরই গোল পরিশোধের সুযোগ হাতছাড়া হয় আরামবাগের। বামপ্রান্ত থেকে জাহিদের কর্নার থেকে আরামবাগের উজবেক ডিফেন্ডার নরমাটুভিচের নেয়া হেড বারে লেগে ফেরত আসলে হতাশায় ডুবতে হয় কোচ মারুফুল হকের দলকে। ৩৮ মিনিটে জটলার মধ্য থেকে মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনের নেয়া শট সরাসরি চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক মোঃ নেহালের হাতে জমা পড়লে গোল পরিশোধ করা হয়নি মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটির। উল্টো ৩৯ মিনিটে আরেক গোল হজম করে বসে আরামবাগ। সংঘবদ্ধ আক্রমণে দলটির ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামানকে ডজ দিয়ে বাঁপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যেয়ে কোনাকুনি প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মমোদু বাহ (২-০)। অবশেষে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ব্যবধান কমায় আরামবাগ। মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটির হয়ে আক্রমণে যান মিডফিল্ডার জাহিদ হাসান। তাকে ডি বক্সে ফেলে দেন আবাহনীর ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার বোস। এরপর সফল স্পট কিকে গোল করেন উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার ইকবালজন নরমাটুভিচ (২-১)। এই ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলের প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন আরামবাগ গোলরক্ষক হিমেল। ফ্রিকিকে ডি বক্সের ভেতর থেকে মমোদুর নেয়া দুরন্ত হেড হিমেল বামদিকে ঝাঁপিয়ে ফিস্ট করে প্রতিহত করেন। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে যাচ্ছে চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু ৮৫ মিনিটে মিডফিল্ডার শাহরিয়ার বাপ্পির অসাধারণ গোলে সমতা ফেরায় আরামবাগ। এ সময় চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় হেডের সাহায্যে বল ক্লিয়ার করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফিরতি বলে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে বাম পায়ের অসাধারণ শটে আবাহনীর জাল কাঁপান শাহরিয়ার বাপ্পি (২-২)। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা সমতাবস্থায় শেষ হয়। ফলে দু’দলের পয়েন্ট, হেড টু হেড, অন্যান্য ম্যাচের ফলাফল ও গোল পার্থক্য সমান হয়ে যায়। যে কারণে পেনাল্টি শূটআউটে নির্ধারণ করা হয় ম্যাচের ভাগ্য। এতে আবাহনীকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয় আরামবাগ। টাইব্রেকারে আরামবাগের হয়ে গোল করেন ইকবালজন নরমাটুভিচ, রাজন মিয়া, অধিনায়ক রবিউল হাসান ও কিংসলে চুকুদি। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে দুই গোল করেন কেষ্ট কুমার বোস ও ড্যানিয়েল নিল। তাদের নাজমুল ইসলাম রাসেলের শট ফিরিয়ে দেন আরামবাগের গোলরক্ষক হিমেল। আরেকটি শট বারের ওপর দিয়ে মারেন মমোদু। আরামবাগের হয়ে একমাত্র মিসটি করেন জসিমউদ্দিন সুজন। গ্রুপে দু’দল দু’টি করে ম্যাচ খেলে একটিতে জয় ও একটি ড্র করে। দু’দলের ভা-ারেই জমা হয় ৪ পয়েন্ট করে। সব সমান হওয়ায় পেনাল্টিতে গ্রুপসেরা নির্ধারণ হয়।
×