ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিরঞ্জন রায়

দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে!

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ৫ নভেম্বর ২০১৮

 দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে!

॥এক ॥ সম্প্রতি আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উল্লেখ করেছেন যে, দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক বেশি বড় হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যাংক, অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটোই এ মুহূর্তে দেশে বেশী। এটা মনে হয় একটু সীমিতকরণ করার প্রয়োজন হতে পারে। টু ম্যানি ব্যাংকস, টু ম্যানি ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস।’ তিনি তার আলোচনায় এটিও উল্লেখ করেছেন যে, সার্বিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাত ভাল আছে। দেশের ব্যাংকিং খাতের এই অবস্থার কথা উল্লেখ করে এর সংস্কারের উদ্দেশ্যে তিনি একটি প্রস্তাবনা প্রতিবেদন রেখে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অর্থমন্ত্রী একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি সহজ-সরলভাবে অনেক সময় অনেক কথা বলেছেন এবং অনেক কিছু করতেও চেয়েছেন। আমাদের দেশের বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের জটিল বিষয়গুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে তার অনেক সহজ-সরল বক্তব্য অনেক ক্ষেত্রে সরকারকেও যেমন বিব্রত করেছে, তেমনি বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে এবং টেলিভিশনের টকশোর অনেক তথাকথিত বিজ্ঞ আলোচকদের আলোচনার খোরাক যুগিয়েছে। কিন্তু এ কথা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, দেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার সফলতার পাল্লাই ভারি। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই সম্ভবত একমাত্র অর্থমন্ত্রী যিনি জাতীয় সংসদে একটানা দশবার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন। বিগত দশ বছরে দেশে যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে সেই পুরোটা সময় ধরে তিনিই অর্থমন্ত্রী ছিলেন, যদিও এই ব্যাপক উন্নতির একক কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের জনগণ। তথাপিও এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহায়ক ভূমিকা পালনের কৃতিত্বটুকু অর্থমন্ত্রীরই প্রাপ্য। এত সফলতার মধ্যেও তার দু-একটি ব্যর্থতা যে নেই তা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে খোয়া যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে না পারার ব্যর্থতা তো আছেই। একই ধরনের ঘটনায় টাকা হারিয়ে ইকুয়েডরের একটি ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্র এবং হংকংয়ের আদালতে যুগপৎ মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত ব্যাংককে চাপে ফেলে আদালতের বাহিরে (আউট অব কোর্ট) নিষ্পত্তি করে তাদের খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধার করেছে। এ রকম সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এপথে অগ্রসর হয়নি। যদিও এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা, তথাপিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিভাবক হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না। তাছাড়া দেশের ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারার ব্যর্থতাও অর্থমন্ত্রীর ওপরই বর্তায়। তবে পর পর দুটো টার্মে সফলভাবে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের শেষ প্রান্তে এসে যে তিনি দেশের ব্যাংকিং খাতের এই বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন এবং এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট সুপারিশ সংবলিত এক প্রতিবেদন পেশ করতে চেয়েছেন, এটিও আশার কথা। কেননা অর্থমন্ত্রীর প্রতিবেদন নিছক কাগুজে প্রতিবেদন হবে না, বরং এটির গুরুত্ব বিবেচনা করেই প্রতিবেদনটি যথাযথ এবং বাস্তবভিত্তিক হবে বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। প্রতিবেদনে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী তেমন কিছু বিস্তারিত উল্লেখ করেননি। নিশ্চয়ই এটি এখনও তার চিন্তা-ভাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। প্রতিবেদনটি কিভাবে তৈরি হবে এবং এতে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকবে তার ওপরই নির্ভর করবে এখাতে কিভাবে সংস্কার করা হবে এবং কিভাবেই বা এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। দেশের ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা এবং আমাদের দেশের বাস্তবতার আলোকে এই সমস্যার সমাধান করার পদক্ষেপ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করার মাধ্যমেই একটি কার্যকর প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব। অর্থমন্ত্রী নিশ্চয়ই কাউকে না কাউকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেবেন। যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দেশের ব্যাংকিং খাতের বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয় বা চিহ্নিত করলেও আমাদের দেশের বাস্তবতায় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নীতির আলোকে সঠিক সমাধান বের করতে ব্যর্থ হয় তাহলে এই প্রতিবেদন কোন কাজেই আসবে না। অবস্থা যে তিমিরে আছে সেখানেই থেকে যাবে। অতীতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিতে দেখেছি। গত শতকের আশির দশকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এফএসআরপি (ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর রিফর্মস প্রোগ্রাম) গ্রহণ করা হয়েছিল। এই শতাব্দীর শুরুর দিকে আরেক ব্যয়বহুল পদক্ষেপ ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (সিআরএম) কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু এসবের ফলাফল সবারই জানা। এতসব ব্যয়বহুল ব্যাংকিং খাত সংস্কার কর্মসূচী থেকে এই খাতের তেমন কোন লাভ তো হয়নি, উল্টো বর্তমানে এক বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এসব ব্যর্থতার প্রকৃত কারণ যথাযথভাবে নিরূপণ করে তার ওপর ভিত্তি করে বর্তমান সমস্যাকে চিহ্নিত করা এবং তা সমাধানের জন্য সুস্পষ্ট সুপারিশ প্রণয়নই হওয়া উচিত আলোচ্য প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য। আর এ কাজের জন্য কোন বিদেশী বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। বরং আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে যারা অভিজ্ঞ ও দক্ষ এবং যারা এই খাতের সমস্যাগুলো সম্পর্কে ওয়াকিফহাল, তাদের এই দায়িত্ব দিলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যাবে বলেই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমাদের দেশে কোন কিছুই রাজনৈতিক বিতর্কের উর্ধে নয়। এমনকি ব্যাংকিং একটি স্পর্শকাতর বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এই খাত নিয়ে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কের ঝড় থেমে থাকেনি। বাস্তবে আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত তত খারাপ নয় যতটা মিডিয়া বলার চেষ্টা করে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের মৌলিক ভিত্তিগুলো বেশ মজবুত। তাই অর্থমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন যে, দেশের ব্যাংকিং খাত সার্বিকভাবে ভাল আছে। এখাতে যত বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কথা উচ্চৈঃস্বরে বলা হয় তার সবকিছুকে সমান গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। এই খাতের মাত্র কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারলেই বাকি সমস্যাগুলো এমনিতেই দূর হয়ে যাবে এবং এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আমি নিজে এই পেশার সঙ্গে জড়িত এবং দীর্ঘদিন বাংলাদেশে একাধিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে প্রবাসে চলে এলেও নিজেকে দেশের ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি। বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় লেখালেখি করার কারণে আমি দেশের ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থা এবং বিরাজমান সমস্যাগুলো কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। সেই প্রেক্ষাপটে বলতে পারি যে ব্যাংকিং খাতের মাত্র চারটি ক্ষেত্রে সংস্কার করতে পারলেই সমগ্র ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসতে বাধ্য এবং আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এগুলো হলো (১) ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় কর্পোরেট গবার্নেন্স নিশ্চিত করা, (২) খেলাপী ঋণ নিয়ন্ত্রণ বা লাঘব করা, (৩) ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং (৪) সমগ্র ব্যাংকিং কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটানো। ব্যাংকে কর্পোরেট গবার্নেন্স শুধু ব্যাংকিং নয়, যে কোন প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্পোরেট গবার্নেন্সের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্পোরেট গবার্নেন্স নেই বললেই চলে। এমনকি কর্পোরেট গবার্নেন্স সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণাও অনেকের মধ্যে নেই। এর ফলে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা, দায়িত্ব, কর্তব্য মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এতে করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এমন সব দায়িত্ব পালন করে যা তাদের করার কথা নয়। তেমনি ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এমন সব দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকেন যা তাদেরই করার কথা। যেমন আমাদের দেশের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা, উর্র্ধতন নির্বাহীর বা কর্মকর্তার পদোন্নতি দেয়াসহ এমন সব দায়িত্ব পালন করেন যা কোনভাবেই তাদের করার কথা নয়। কেননা এই দায়িত্বগুলো পালন করবেন ব্যাংক ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত পেশাদার ব্যাংকাররা। তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়গুলো নিরূপণ করা এবং তা লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কাজটি মূলত পরিচালনা পর্ষদের। কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশে ব্যাংকারই এই কাজগুলো করে থাকেন যদিও পরিচালনা পর্ষদ সবকিছুর মতো এগুলোও অনুমোদন করে থাকেন। এ কারণে দেখা যায় যে, আমাদের দেশে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সুস্পষ্ট কোন সীমারেখা নেই। এর ফলে কোন রকম সমস্যা দেখা দিলে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে অভিযুক্ত করা যায় না। উল্টো একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি দোষারোপের খেলা শুরু করে দেয়। যেমন প্রদত্ত ঋণ খেলাপী হলে পরিচালনা পর্ষদ বলে ব্যাংকাররা ঠিকমতো ঋণ দেয়নি। আবার ব্যাংকাররা অভিযোগ করে যে, পরিচালনা পর্ষদ এই ঋণ অনুমোদন করেছে। সে কারণে এই খাতের সংস্কার করতে হলে প্রথমেই ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্পোরেট গবার্নেন্স নিশ্চিত করতে হবে, যার আলোকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব কর্তব্য এবং কর্তব্যে অবহেলার শাস্তি সুস্পষ্ট করে দিতে হবে। এটাও উল্লেখ থাকতে হবে যে, কোন পক্ষই তাদের সীমা অতিক্রম করবে না এবং করলে চরম শাস্তি পেতে হবে। আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত যে আধুনিক কর্পোরেট গবার্নেন্সের অর্থ হলো পরিচালনা পর্ষদ শুধু শেয়ার মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কাজ করবেন। প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস বা আরনিং পার শেয়ার) বৃদ্ধি করা, ব্যাংক পরিচালনার নীতি প্রণয়ন, ব্যাংক ব্যবসার ঝুঁকি নিরূপণ এবং তা লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক প্রণীত বিধিবিধান বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নিয়োগদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্যেই পরিচালনা পর্ষদের কার্যাবলী সীমাবদ্ধ থাকে। পরিচালনা পর্ষদ প্রধান নির্বাহীর মাধ্যমে ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। পক্ষান্তরে প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে পেশাদার ব্যাংকাররা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রণীত নীতি অনুসরণ করে ব্যাংক পরিচালনা করবেন। সুতরাং উভয় পক্ষের দায়িত্ব কর্তব্য এবং তাদের কাজের পরিধি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা এবং তা মেনে চলা ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখার পূর্বশর্ত। লেখক : ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা [email protected]
×