ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হল জীবনের দিনগুলো...

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ৪ নভেম্বর ২০১৮

হল জীবনের দিনগুলো...

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ মুহূর্ত ঘনিয়ে আসার কথা মনে আসলেই মনের কোণে এক বিষণœতা বাসা বাঁধে। সুন্দর এক জগৎ ছেড়ে এই বুঝি চলে যেতে হবে নতুনদের জায়গা করে। একজন শিক্ষার্থী যখন প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় তখন সে নিজের ভুবনকে নানা স্বপ্নের জালে আবদ্ধ করে। ধীরে ধীরে যখন সে একটি সেমিস্টার পার করে একটি বর্ষ উত্তীর্ণ হয়। এভাবে চতুর্থ বর্ষে পা রাখে, তখনি সে অনুভব করে ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবার অনুভূতি। যাবার আগে সতীর্থদের সঙ্গে তাই একত্রে মিলিত হয়ে নিজেদের রাঙ্গায় নতুন ভুবনে। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলে, একই বর্ষের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী থাকে। বিদায় লগ্নে তাই সকলে নিজেদের সুখ, দুঃখ আর একত্রে কাটানো স্মৃতিগুলো স্মরণীয় করে রাখতে মিলিত হয় একত্রে। যেটিকে বলা হয় হল সমাপনী। সেই হলো সমাপনীকে কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী চত্বরে গত সোমবার একঝাঁক তরুণীর প্রাণঢালা উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। আকাশের পশ্চিম কোণে তখন সূর্যটা হেলে পড়েছে। চারদিকে আলোর নিস্তেজ রক্তিম আভা। গোধূলির শেষ লগ্নে এমন এক সময় তারা একত্রে মিলিত হয়ে নিজেদের স্মৃতির মিনারে তুলে রাখতে ব্যস্ত। তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩-১৪ সেশনের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। সকলে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল তাপসী রাবেয়া হলের ছাত্রী। বিদায়ক্ষণের শেষ বেলার অনুভূতি জানাতে গিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী পলি আক্তার জানান, জীবন এত সৌন্দর্যম-িত আর উপভোগ্য হয়ত সেটা উপলব্ধি করতে পারতাম না! যদি না বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতাম। ভাবতেই কষ্ট হয় এমন সুখের হাজারো স্মৃতিমাখা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে হবে। ভাবতেই চোখে জ্বল চলে আসে। এ ব্যাচর আরেক শিক্ষার্থী অর্ণব আলম বলেন, জীবনে হয়ত এমন সময় আর আসবে না! এক সঙ্গে থাকা গল্প করা, হলের বেলকোনিতে আড্ডা, বিকেলের আবছা রোদে বোসে কপি খাওয়া, মিস করব প্রাণের চেয়েও প্রিয় এ মুখগুলোকে। সমাপনীতে অংশ নেয়া আরেক শিক্ষার্থী শারমিনা সিমু বলেন, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল বড় কোর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব। ¯্রষ্টা সে ইচ্ছে পূরণ করেছেন। শিক্ষা জীবন প্রায় শেষের দিকে। ক্যাম্পাসে কাটানো বিগত চার বছরে হলকে ঘিরে রয়েছে অনেক রোমান্সক স্মৃতি। সেই স্মৃতিপটে যুক্ত আর একটা দিন। আজকের এই আয়োজন আমার কাছে শেষ বিকেলে গোধূলি লগ্নে আলোর ঝলকানির মতো। আসিফ হাসান রাজু
×