স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের নাট্যদল কসবা অর্ঘ্য ‘লোকরঙ্গ ২০১৮’ শিরোনামে ৬ দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসব। আজ ৪ নবেম্বর উৎসব শেষ হচ্ছে। উৎসবের শেষদিন কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে বাংলাদেশের পদাতিক নাট্যসংসদের ‘গহনযাত্রা’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। নাটক মঞ্চায়নের লক্ষ্যে গত ২ নবেম্বর পদাতিক নাট্য সংসদ কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।
রুবাইয়াত আহমেদের রচনা ও সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ‘গহনযাত্রা’ নাটকে একক অভিনয় করেছেন সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা। ‘গহনযাত্রা’ নাটকের নির্দেশনা সহযোগী সঞ্জীব কুমার দে, সঙ্গীত পরিকল্পনা সাইম রানা, সঙ্গীত সঞ্চালনা মেহেদী হাসান মেধা, মঞ্চ পরিকল্পনা সুদীপ চক্রবর্তী, আলোক পরিকল্পনা আতিকুল ইসলাম জয়, দ্রব্য ও মুখোশ পরিকল্পনা সঞ্জীব কুমার দে, মঞ্চ ও মুখোশ নির্মাণ তৈমুর হান্নান, পোশাক ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা শামছি আরা সায়েকা, পোশাক নির্মাণ, প্রকাশনা রুবাইয়াত আহমেদ, বিন্যাস অশেষ সাহা, মঞ্চ ব্যবস্থাপনা মমিনুল হক দীপু। দ্বৈত ও অদ্বৈতের আখ্যান ‘গহনযাত্রা’ নাটকের কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে বিশেষ এক গল্প। এই ভূখ-ের কোন এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা বিপরীত সব মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে শুধু একটি মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য তারা চালায় ধ্বংসলীলা, বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে। বন্দীদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। কিন্তু মারা পড়ে তারা। শুধু একজন বেঁচে যায় সালমা। কিন্তু বেঁচে গিয়ে ফিরে আসে সালমা খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে। এই সময় সালমা নিজের অভ্যন্তরে টের পায় অপর কারও অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব হয়তো তারই বর্ধিত কোন রূপ কিংবা অপরূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। আমরা জানি না। সেই অস্তিত্ব তার সঙ্গী হয়। মৃতদের কবর দেয়ার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের। খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তক ঝুলে আছে সেই পুরুষ। সালমা উগ্রপন্থীদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক তখন সালমা উপলব্ধি করে এ তার পরীক্ষা, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে পাবে পরমের সান্নিধ্য। সালমার নিজের অন্তর্ধানের মধ্য দিয়ে মঙ্গল কামনা করে, যেন সব অনাচার আর বিভেদ পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়।