ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৭ নবেম্বরের মধ্যে সংলাপ শেষ হবে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৪ নভেম্বর ২০১৮

৭ নবেম্বরের মধ্যে সংলাপ শেষ হবে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল-জোটের সঙ্গে যে সংলাপ চলছে তা আগামী ৭ নবেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এর মধ্যেই হয়ে যাবে। ৭ নবেম্বরের পর আর আলোচনা হবে না। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর ধানম-ির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। কাদের বলেন, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮৫টির মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষ হয়েছে। আজ রবিবার ১৪ দলের সঙ্গে, আগামীকাল সোমবার জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপ হবে। এরপর ইসলামী কিছু দল, সিপিবির নেতৃত্বে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বসব। সংলাপে বিএনপির অসন্তুষ্টির কথা জানানো হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা তাদের নেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন, ‘ভাল আলোচনা হয়েছে’। আমরা সেখানেই আপাতত থাকি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিকল্পধারার যুক্তফ্রন্টের নেতারাও কিন্তু একই সুরে কথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে কিন্তু তারা দ্বিমত করেননি। তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাহিরে যাবে না, সেগুলো মেনে নেয়া হবে। বিকল্প ধারার দাবি অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয়ে ইলেকশন কমিশনকে বলার জন্য রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করবে বলেও বলেছেন। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বলেছেন দাবির মধ্যে যেগুলো গ্রহণযোগ্য, যেগুলো সংবিধান লঙ্ঘন করবে না, যেগুলোর জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে না, সেগুলো মেনে নিতে কোন আপত্তি নেই। আর কিছু বিষয় আছে ইলেকশন কমিশনের ব্যাপার। ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সব সময় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায় এবং নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করছে। কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমরা সতর্ক আছি, কারণ কারও মনে যদি কোন মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেই দিকেও আমরা সতর্ক আছি। নির্বাচন বানচালের যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। এর কোন ব্যত্যয় দেশের জন্য শুভ নয়। জেলহত্যা দিবস সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকা-ের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
×