ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে মাঠে ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৪ নভেম্বর ২০১৮

অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে মাঠে  ট্রাম্প

চলতি সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেস এবং মার্কিন রাজনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য রিপাবলিকান পার্টি এখন শেষ সময়ের প্রচারাভিযান চালাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার থেকে তার শেষ দুটি অস্ত্র অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে বক্তব্য রাখবেন। এএফপি। ট্রাম্প শুক্রবার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালান। এরপর তিনি ইন্ডিয়ানা ও মিসৌরি যাবেন। মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে যাত্রা শুরুর আগে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বলেন, ‘আগামী পাঁচদিন হবে খুবই উত্তেজনাপূর্ণ’। তিনি বলেন, মঙ্গলবারের নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান পার্টি ভাল অবস্থায় আছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে এবং অর্থনীতি উর্ধমুখী অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদ দখলের লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান জোরদার করেছে। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে, ট্রাম্পের আর্থিক রেকর্ড নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এদিন ডেমোক্র্যাট দলের পক্ষে প্রচারাভিযানে অংশ নেন। ট্রাম্পের মিডিয়া তারকা পরিচিতির বিপরীতে প্রচারাভিযানের মাঠে ডেমোক্র্যাটদের উজ্জীবিত রাখেন বক্তৃতায় দক্ষ ওবামা। তিনি শুক্রবার ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাটদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ওই অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রায় সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে আছে। ওবামা বলেন, ‘অন্ধকারচ্ছন্ন রাজনীতির ফল স্বরূপ দেশে এখন নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের সময় মার্কিন রাজনীতিতে পপুলিজম ও রাজনৈতিক বিতর্ক বেশ জমে উঠেছে। তিনি লড়াই পছন্দ করেন। শুক্রবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ট্রাম্পকে অর্থনৈতিক ইস্যুতে এগিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প টুইটারে বলেন, হারিকেনের আঘাত সত্ত্বেও অক্টোবরে আড়াই লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে, বেকারত্ব ৩.৭ শতাংশে নেমেছে, বেড়েছে মজুরি।’ মজুরি বৃদ্ধিকে বেশিরভাগ মার্কিনী অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচক মনে করে। রিপাবলিকান পার্টির জন্য এটি ভাল খবর। ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধকেও নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে অন্যায্য প্রতিবন্ধকতা আরোপ করছে এবং মেধা সম্পদ চুরি করছে। দেশটির বিরুদ্ধে তাই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ইতিবাচক প্রচারের পাশাপাশি ভয় ও বিদ্বেষমূলক প্রচারও বাদ দেননি ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে মধ্য আমেরিকা থেকে রওনা হওয়া অভিবাসীর ঢলকে তিনি ‘আগ্রাসন’ অভিহিত করেন। ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী অভিবাসীর পরিমাণ এক চতুর্থাংশ কমলেও সম্প্রতি মধ্য আমেরিকা থেকে প্রচুর সংখ্যক শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা হেঁটে মেক্সিকো সীমান্তের ভেতর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছে। ট্রাম্প তাদের আগমন আটকাতে সীমান্তে সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
×